পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাগরমন্থন । হে জনসমুদ্র, আমি ভাবিতেছি মনে কে তোমারে আন্দোলিছে বিরাটু মন্থনে অনন্ত বরষ ধরি’ ! দেবদৈত্যদলে কি রত্নসন্ধান লাগি? তোমার অতলে আশাস্ত আবৰ্ত্ত নিত্য রেখেছে জাগায়ে পাপে পুণ্যে সুখে দুঃখে ক্ষুধায় তুষ্ণায় ফেনিল কল্লেীলভঙ্গে ? ওগো দাও দাও কি আছে তোমার গর্ভে -- এ ক্ষোভ থামাও ! তোমার আস্তরলক্ষ্মী যে শুভপ্রভাতে উঠিবেন অমৃতের পাত্র বহি হাতে বিস্মিত ভুবনমাঝে,—লয়ে বরমালা ত্ৰিলোকনাথের কণ্ঠে পরাবেন বালা সেদিন হুইবে ক্ষান্ত এ মহামন্থন, থেমে যাবে সমুদ্রের রুদ্র এ ক্ৰন্দন । শ্মশানতলা । কাটোয়-অঞ্চলে শ্মশানতলা-নামক স্থান আছে । যোগেশ্বরমন্দির তথায় প্রসিদ্ধ এবং তাহার সমুন্নত ত্রিশূলাঙ্কিত চুড়া জাহ্লবীবক্ষ হইতে আজিও নৌকাযাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দেবস্থানের চারিদিকে চক্রাকারে প্রাচীন বটবৃক্ষের সারি, দেখিলে মনে হয় মূলের বিপুল তরু অনেকদিন অন্তৰ্হিত হইয়াছে এবং বর্তমান পাদপশ্রেণী তাহারই জটাঙ্গালোৎপন্ন সস্ততিধারা । এই শ্মশানতলার সঙ্গে ভূতপ্রেতের অনেক কাহিনী জড়িত আছে । অতএব সচরাচর এখানে লোকসমাগম বড় বিরল। বৎসরের মধ্যে দুইবার এখানে মেলা বলিয়া থাকে, ফাঙ্কনে শিবচতুর্দশীতে, আর চৈত্রসংক্রাত্তি উপলক্ষে। শিবরাত্রির ধুমধাম হুই দিনের বেশী থাকে না, কিন্তু গাজন উপলক্ষে দশদিন সমান ভিড় । তাহাতে বীরভূমপ্রদেশের সাওতালেরা পর্য্যস্ত যোগ দিয়া থাকে । p চল্লিশবৎসর পূৰ্ব্বে অরবিন্দ গঙ্গোপাধ্যায়