পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stre दछमध्ॉन । [ ৩য় বর্ষ, শ্রাবণ । মায়"ত্যাগ করিয়া উত্তাল ভাগীরথীতরঙ্গে বাপাইরা পড়িতেছিলেন। তাহাতে স্ত্রীপুরুষের অনেকগুলি দেহ তীরে উঠিল বটে, কিন্তু হর্ভাগ্যবশত কোনটিতেই প্রাণ ছিল না । মধ্যাহ্বরাত্ৰি পৰ্য্যন্ত ঝড়বৃষ্টিতে এইরূপ পরিশ্রাত্ত হওয়ার পর অকস্মাৎ তাহার মনে হইল, যোগেশ্বরমন্দিরচুড়া ভূমিসাৎ হইয়াছে। গঙ্গোপাধ্যায়মহাশয় দ্রুতগতি ফিরিয়া চলিলেন। দুর হইতে দেখিলেন, তাহার অক্ষ পড়ে নাই বটে, কিন্তু ভগ্ন বটের ডালে প্রাঙ্গণ ছাইয়া গিয়াছে। তখন দেবমূৰ্ত্তির অনিইআশঙ্কায় তিনি মন্দিরদ্বারাভিমুখে ছটিয়া চলিলেন । পরদিন প্রভাতে দেখা গেল, গঙ্গোপীধ্যায়মহাশয়ের জীবনশূন্ত দেহ মন্দিরদ্বার রোধ করিয়া পড়িয়া আছে—এবং এক প্রকাও ভগ্ন বটশাখা অপ্রতিহত বেগে আসিয়া দেউলের কিয়দংশসহিত তাহার মান কতকটা সত্য। মন্সিরশীর্ষ ভাঙিয়া উত্তমাঙ্গ চুর্ণবিচূর্ণ করিয়া দিয়াছে। শ্ৰীশ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার। আজিকার ভারতবর্ষ। S. কোন অপ্রকাশিতনাম দাতার অর্থে, পৃথিবীপ্রদক্ষিণ-উদ্দেশে, প্যারিস-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাচটি বৃত্তিভাণ্ড স্থাপিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্তকাগারে, কোন-বিদেশ-সম্বন্ধে তত্ত্বাক্ষসন্ধান আরম্ভ করিয়া, যদি কোন অধ্যাপক সেই দেশে স্বয়ং উপস্থিত হইয়া স্বীয় আরব্ধ গবেষণার চুড়াস্ত করিতে চাহেন, তাহ হইলেই তিনি এই বৃত্তির অধিকারী হইবেন। এই বৃত্তিভাণ্ডের সাহায্যে, অধ্যাপক “অ্যালবের মেৰ্ত্যা” ভারতবর্ষে ভ্রমণ করিয়া, ভারতবর্ষীয় সামাজিক অবস্থা সম্বন্ধে, “আজিকার ভারতবর্ষপ এই নামে একটি অতীব উপাদেয় গ্রন্থ সম্প্রতি প্রকাশ করিয়াছেন । এই গ্রন্থের যে অংশগুলি আমাদের কৌতূহলজনক অথবা শিক্ষাপ্রদ, তাহার সারমৰ্ম্ম এই প্রবন্ধে উদ্ধৃত করা যাইবে । আর-একটি কথা এখানে বলা আবশুক । সৰ্ব্বপ্রকার পূর্বসংস্কার মন হইতে বিদূরিত করিয়া, প্রত্যক্ষ দেখিয়াশুনিয়া গ্রন্থকারের যেরূপ ধারণা হইবে, ঠিকৃ তাহাই তিনি নিরপেক্ষভাবে লিখিবেন, বৃত্তিসংস্থাপক মহোদয়ের এইরূপ সুস্পষ্ট অভিপ্রায় ছিল । অধ্যাপক মের্ত্যার লিখিবার ধরণধারণ দেখিয়া মনে হয়, তিনি সেই-অভিপ্রায়অনুযায়ী লিখিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। তবে, কোন বিদেশীয় পৰ্য্যটক, কোন দেশে স্বল্পকাল অবস্থিতি করিয়া, সেই-দেশ-সম্বন্ধে সব কথা ঠিকৃ-মতে বলিতে পারিবেন, এরূপ আশা করা যায় না । 够 গ্ৰন্থকার,--হিন্দু, মুসলমান ও পাসা

  • L’Inde d’aujourd’hui–Albert Metin.