পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা। } কোন অংশে মহম্মদীয় ধৰ্ম্মের জয়পতাকা লইয়। একজন মহাবীর নিশ্চয়ই সমুখিত হইবেন । এই সৰ্ব্বদেশীয় মুসলমানের একতমূলক আন্দোলন, যাহা আপাতত দেখা দিয়াছে, এবং যাহা মৌলবীগণ ও সংবাদপত্রের সম্পাদকগণ তুর্ক-স্থলতানের অকুকুলে সৰ্ব্বত্র উত্তেজিত করিয়া দিতেছে, ভারতবর্ষে স্থল্পিসম্প্রদায়ের কোন কোন মুসলমান ঐ আন্দোলনের পক্ষপাতী হইয়া উঠিতেছে । কি তাড়িত-বার্তাবহ কি লৌহবস্থা, কি মুদ্রাযন্ত্ৰ— হিমালয় । میانه এই সমস্ত যুরোপীয় বৈজ্ঞানিক কাৰ্য্যোপায়সকলের বিস্তারে, মহম্মদীয় ধর্মের ধবংস হওয়া দূরে থাক, বরং উহার প্রচারের আরো সুবিধাই হইয়াছে । ইহার দ্বারা প্রমাণ হয়, যুরোপেয় নবোত্তাবিত কলকৌশল ও পদ্ধতিসমূহ দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত প্রাচ্যসমাজে সমানীত হইলে, পাশ্চাত্যভাব জাগরিত হওয়া দুরের কথা, আপাতত তো তৎসম্বন্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিকারের নুতন উপায়সকল উহাদের হস্তে অপিত হয় । শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। হিমালয় । হে নিস্তন্ধ গিরিরাজ, অভ্ৰভেদী তোমার সঙ্গীত তরঙ্গিয়া চলিয়াছে অমুঙ্গাত্ত উদাত্ত স্বরিত প্রভাতের দ্বার হ’তে সন্ধ্যার পশ্চিম নীড়পানে দুর্গম দুরূহ পথে কি জানি কি বাণীর সন্ধানে । ছঃসাধ্য উচ্ছসি তব শেষপ্রান্তে উঠি আপনার সহসা মুহূর্তে যেন হারায়ে ফেলেছে কণ্ঠ তার, জুলিয়া গিয়াছে সব স্বর,—সামগীত শব্দহীর নিয়ত চাহিয়া শূন্তে বরষিছে নিঝরিণীধারী ! হে গিরি, যৌবন তব যে ছদম অগ্নিতাপবেগে আপনারে উৎসারিয়া মরিতে চাহিয়াছিল মেঘে— সে তাপ হীরায়ে গেছে, সে প্রচণ্ড গতি অবসান, নিরুদেশ চেষ্টা তব হয়ে গেছে প্রাচীন পাষাণ ! পেয়েছ আপন সীমা, তাই আজি মৌন শান্ত হিয়া সীমাবিহীনের মাঝে আপনারে দিয়েছ সঁপিয়া ! ബജമ്മങ്ങ