পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] চৈত্রের গান। Sa: তুমি যাদের চিনি বলে’ টানচ বুকে নিচ্চ কোলে । অামি তাদের চিনতে নাহি পারি । অাজকে নবীন চৈত্রমাসে পুরাতনের বাতাস আসে, খুলে গেছে যুগাস্তরের সেতু । মিথ্যা আজি কাজের কথা, আগজ জেগেছে যে সব ব্যথা এই জীবনে নাইক তাহার হেতু । গভীর চিত্তে গোপন-শালা সেথা ঘুমায় যে রাজবালা জানিনে সে কোন জনমের পাওয়া, দেখে নিলেম ক্ষণেক তারে, যেমনি আজি মনের দ্বারে যবনিকা উড়িয়ে দিল হাওয়া ! ফুলের গন্ধ চুপে চুপে আজি সোনার কাঠিরূপে ভাঙাল তার চিরযুগের ঘুম । দেখাচে লঙ্গে” মুকুর করে অণক তাহার লালাটPপরে কোন জনমের চন্দন-কুকুম ! অাজকে হৃদয় যাহা কহে* মিথ্যা নহে সত্য নহে, কেবল তাহ অন্ধপ অপরূপ । খুলে গেছে কেমন করে’ আজি অসম্ভবের ঘরে; মর্চে-পড়া পুরাণে কুলুপ । " সেথায় মায়াম্বীপের মাঝে যক্ষশালায় বীণা বাজে, ফেণিয়ে ওঠে নীল সাগরের ঢেউ, মৰ্ম্মরিত-তমাল-ছায়ে ভিজে-চিকুর শুকায় বায়ে তাদের চেনে চেনে না বা কেউ । শৈলতলে চরায় ধেন্থ রাখালশিশু বাজায় বেণু, চুড়ার তারা সোনার মালা পরে। সোনাৰু তুলি দিয়ে লিখা চৈত্রমাসের মরীচিকা - কাদায় হিয়া অপূৰ্ব্বধন-তরে । গাছের পাতা যেমন কঁপে দখিন বায়ে মধুর তাপে, তেমনি মম কাপচে সারাপ্রাণ ! : .