পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্য । ) পথে প্রাণের ভয় অাছে, মাতার মুখে শুনিয়া বীরকুঙর বলিল, পৃথিবীতে কে এমন মানুষ আছে, যে আমায় মারিবে ! বীরকুঙর কহলক, ধরিতামে কে জনম লেল বরিয়ার মানুষ cन इभोग्न भाग्नङ् । তখন মাতার কাছে বিদায় হইয়া যাইতে পথে মহিষেরা তাহার পথ আগুলিয়া দাড়াইল—কুমদার শ্বশুরার যাওয়া হইবে না । কে আমাদের সেবা “বরদীগু* করিবে ? বীরকুঙর রাখালদের উপর তাহাদের সেবাশুশ্ৰুষার ভার দিয়া দুইচারি প্রহরের জন্ত রওনা হইয়া গেল ! এজন কহেকে হুয়াসে চলল বীরকুঞ্জয়, রাস্তাপর গেলত ভাইস সব ছেকে মৎ যাও তু কুমদার শ্বশুরাম । কে হামারা সেব। বরদাস্ত করেগা ! বীরকুঙর ভইসকে ইাককে লে জমাওল বাথান । অাকর, বাগল্পেৎ সবকে কহ যে ছুইচার পহর হামারা ভাইরা রামকে রাখে। বিলমাকে । হাম কুমদার শ্বশুরার সে চল আও দুচার পহরকে লোটকে । এখন মধু্যক নামে ভু ইয়া কুমদার অঞ্চলে পূরবীর বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল। বারবৎসর পূৰ্ব্বে মরিয়া সে ভূত হইয়াছে। তাহার প্রেতাত্মা বীরকুঙরের সঙ্গ লইল । মামুষের রূপ ধরিয়া সে পথে বীরকুঙরের সহিত আলাপপরিচয় করিয়া লইল এবং একটু খিইনি তামাক ভিক্ষা করিল—“একখিলি খইনি খিলায় লেও ত যাও। বীরকুঙর তাহার প্রার্থনা ত পুৰ করিলই না, তার रौद्रकूडब्र। रै२३ উপর কুমদারের সীমানায় পৌঁছিয়। খুব একচোট কুস্তি খেলিল । মারে তাল বীরকুঙর সম্সে কুমদার উঠে আন্ধকাল । ইহাতে মহন্যরূপী ভূতের বড় রাগ হইল । মধুৰ্যক্ জাকর কহে মারল গেল মাৎ আওর হরল তেীয় গেয়ান । বারবরিব মধুৰ্যক্কে মরণ ভেলই কভি নেহী কই হাত রোপাই, সয়ম খেলইল মুস্তি তোর জীব জান মারল যাইতো । এই অভিশাপ ও ভয়প্রদর্শন বীরকুঙর গ্রাহ করিল না দেখিয়া মধুযক বসান ক্ষীরহরের বাথানে গেল এবং তাহার সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট মহিষ চুরি করিয়া জঙ্গলে বাধিয়া রাখিল । ইহাতে শ্বশুরের মন খারাপ হওয়ায় সে জামাতাকে ভালরূপ অাদর-অভ্যর্থনা করিল না । বীরকুঙর সকল শুনিয়া জঙ্গলে চলিয়া গেল এবং মহিষকে উদ্ধার করিয়া ফিরিয়া আসিতেছিল, এমন সময়ে মধু্যকের প্রেতাত্মা সেই বনবাসী এক ব্যাঘ্রকে বলিয়া দিল যে, তাহার মুখের শীকার কে কাড়িয়া লইয়া যাইতেছে । তথন বাঘ আসিয়া বীরকুঙরের পথরোধ করিল এবং উভয়ে তর্ক আরম্ভ হইল । তব বীরকুঙর বোলাকি জানকে ডর হার তে আলগ হে যাও । তব না বোলা বাঘ কি হামহ বাঘিনকে দুধ পিলে। * আর ডোছে আহৗরীনকে দুধ পিলে তব, হামারাসে লড়কে লে যাও । যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া ব্যাস্ত্র বীরকুঙরের হস্তে প্রাণত্যাগ করিল। দেখিয়া ভূত ব্যাঘ্ৰপত্নীর—নাম তাহার লুলি—নিকট উপস্থিত হইল এবং কহিল—