পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se 8łyo ৰঙ্গদশন । [ ৩য় বর্ষ, ভাদ্র। গায়ের-পরে-কোমল-করে পরশ-বুলানী । মায়ের প্রাণে তোমারি লাগি জগৎ-মাতা রয়েছে জাগি, ভুবনমাঝে নিয়ত রাজে ङ्गवन-डू t ঘুমের বুক্তি আসিছে উড়ি नग्रन-छूणांनैौ । ঘুষালুষি । গত বৈশাখমাসের বঙ্গদর্শনে ‘রাজকুটুম্ব’শীর্ষক প্রবন্ধে নিযুইণ্ডিয়ায় প্রকাশিত কোন রচনার সমালোচনা করা হইয়াছিল। নিযুইণ্ডিয়ার সম্পাদকমহাশয় আমাদিগকে ভুল বুঝিয়াছেন। তিনি স্থির করিয়াছেন, এক গালে চড় খাইয়া অন্ত গাল ফিরাইয়া দেওয়া যদি-বা আমাদের মত না হয়, অন্তত অশ্রুজলপ্রবাহে আহতগণ্ডের আঘাতবেদনার উপশমচেষ্টাই আমাদের মতে শ্রেয়। ইংরাজের ঘুষিঘাষা খাইয়া নাকিম্বরে নালিশ করা এদেশে কিছুকাল পূৰ্ব্বে অত্যন্ত অধিকমাত্রায় প্রচলিত ছিল । একটা কাককে ঢেল মারিলে পৃথিবীমৃদ্ধ কাক যেমন চীৎকার করিয়া মরে, দেশি লোকের মার খাইবার খবরে আমাদের খবরের কাগজগুলি তেমনি করিয়া অবিশ্রাম বিলাপপরিতাপে আকাশ বিদীর্ণ কল্পিত । - আমরাই সৰ্ব্বপ্রথমে “সাধনা-পত্রিকায় এই নাকিকান্নার বিরুদ্ধে বারংবার আপত্তি উত্থাপন করিয়াছি—এবং কথঞ্চিৎ ফললাভ করিয়াছি, তাছা ও দেখা যাইতেছে । আজ হঠাৎ অণস্বপ্রতিবাদের যে কোন কারণ ঘটিয়াছে, তাহা বোধ হয় না । ছবিতে যেমন চৌকা জিনিষের চারিট পাশই একসঙ্গে দেখান যায় না, তেমনি প্রবন্ধেও এক সঙ্গে একটা বিষয়ের একটি, বড় জোর, দুইটি দিক দেখান চলে। রাজকুটুথ প্রবন্ধেও আমাদের বক্তব্য বিষয় খুব ফলা ও নহে। নিয়ুইণ্ডিয়ার সম্পাদকমহাশয় যখন ভুল বুঝিয়াছেন, তখন সম্ভবত অামাদের রচনায় কোন ক্রটি থাকিতে পারে। এবারে ছোট করিয়া এবং স্পষ্ট করিয়া বলিবার চেষ্টা করিব । ভারতবর্ষে যে মারে এবং ৰে মায় খায়, এই দুই পক্ষের অবস্থা লইয়া আমরা কিঞ্চিৎ তত্ত্বালোচনা করিয়াছিলাম মাত্ৰ। . আমিরা কোন পক্ষকেই কৰ্ত্তব্যসম্বন্ধে কোন উপদেশ निहे नाहे ।