পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శి(f8 স্পৰ্দ্ধ হইতে নিজেকে সৰ্ব্বপ্রযত্নে বঁাচাইয়া, স্থায়নীতির সীমার মধ্যে কঠিনভাবে নিজেকে ংবরণ করিয়া দুঃশাসনের কৰ্ত্তব্য আমাদিগকে গ্রহণ করিতেই হইবে । শারীরিক কষ্ট, ক্ষতি বা অকৃতকার্য্যতা ভয়ের বিষয় নহে—ভয়ের বিষয় এই যে, ধৰ্ম্মকে বিস্তৃত হইয়া প্রবৃত্তির হাতে পাছে আত্মসমর্পণ করি, পরকে দও দিতে গিয়া পাছে আপনাকে কলুষিত করি, বিচারক হইতে গিয়া পাছে ওও হইয়া উঠি । আমরা দেখিয়াছি, ছুইদিক বাচাইয়া চলা সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন, এইজন্ত ভালমন্দ ওজন করিয়া অনেকসময় আমাদিগকে একটা দিকু অবলম্বন করিতে হয়। কিন্তু ধৰ্ম্মের বঙ্গদশন । [ ৩য় বর্ষ, ভাদ্র । সঙ্গে সেরূপ রফা করিতে গেলেই সেই ছিদ্রযোগে শনি প্রবেশ করে—প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির যে সামঞ্জস্যপথ আছে, তাহ অত্যন্ত দুরূহ হইলেও তাহাই আমাদিগকে নিয়তযত্নে অমুসন্ধান ও অবলম্বন করিতে হইবে—নতুৰা বিনাশপ্রাপ্ত হইতেই হইবে । ধৰ্ম্মের এই অমোঘ নিয়ম হইতে যুরোপ বা এসিয়া কাহারো নিস্কৃতি নাই । অতএব ঘুষালুষি-মারামারির কথা যখন ওঠে, তখন সাবধান্স হইতে বলি । দেবতার তুণেও অস্ত্র আছে, দানবের তুণও শূন্ত নহে —অপ্রমত্ত হইয়া অস্ত্রনিৰ্ব্বাচন যদি করিতে পারি, তবেই যুদ্ধের অধিকার জন্মে, তখন— কৰ্ম্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন । সরলা দেবী । স্বভদ্র। সারথি হয়ে কি অক্ষুব্ধ করে চালাইলা জয়রথ ! কি দৃপ্ত ভঙ্গীতে কৃষ্ণা সংহরিলা বেণী তৃপ্ত গৰ্ব্বভরে । কি উদ্দীপ্ত, চণ্ডতেজে জনার ইঙ্গিতে যুঝেছিলা ক্ষুদ্র সেনা ! যেদিন রমণী রচি দিত ধনু গুণ নিজ কেশপাশে,— পতিরে পরাত বৰ্ম্ম স্বহস্তে আপনি, সেদিন শমনত্ৰাস মরিত তরাসে । তুমি শক্তিরূপ দেবী, তব মাতৃভাষা এ বঙ্গে অভয়মন্ত্র করুক প্রচার ! কটাক্ষেতে কর চুর্ণ দীনতা নিরাশা— কাৰ্য্যে কাৰ্য্যে কর পুর্ণ জীবন-প্রসার । তোমার তরুণ তেজে নবীন গৌরবে প্রভাত অরুণ-রশ্মি জাওক পুরবে ! ঐস্বরেশচন্দ্র চৌধুরী।