পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cडामद्राह हेशद्र या रुद्र ७कऎो मैौमांश्न कब्रिब्र ठ ४ !* হেমনলিনী মুখ নত করিয়া বলিল—“বাবা, আমি ইহার কিছুই জালি না ।” এই বলিয়া, ঝড়ের মেঘের মুখে স্বৰ্য্যাস্তের মান আভাটুকু যেমন মিলাইয়া যায়, তেমনি করিয়া সে চলিয়া C অন্নদীবাবু খবরের কাগজ মুখের উপর তুলিয়া পড়িবার ভাণ করিয়া ভাবিতে লাগিলেন । রমেশ নিস্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল । হঠাৎ রমেশ একসময় চমকিয়া উঠিয়া চলিয়। গেল । বসিবার বড় ঘরে গিয়া লেখিল, হেমনলিনী জানলার কাছে চুপ করিয়। দাড়াইয়া আছে। তাহার দৃষ্টির সম্মুখে আসন্ন পুজার ছুটির কলিকাতা জোয়ারের নদীর মত তাহার সমস্ত রাস্তা ও গলির মধ্যে স্ফীত জনপ্রবাহে চঞ্চল-মুখর হইয়া উঠিয়াছে । রমেশ একেবারে তাহার পাশ্বে যাইতে কুষ্ঠিত হইল । পশ্চাং হইতে কিছুক্ষণের জন্ত স্থিরদৃষ্টিতে তাহাকে দেখিতে লাগিল । শরতের অপরাহ্ল-আলোকে ৰাতায়ন বৰ্ত্তিনী এই স্তব্ধমূৰ্ত্তিটি রমেশের মনের মধ্যে একটি চিরস্থায়ী ছবি আঁকিয়া দিল । ঐ সুকুমার কপোলের একটি অংশ, ঐ সব রচিত কবরীর ভঙ্গী, ঐ গ্রীবার উপরে কোমল-বিরল কেশ গুলি, তাহারি নীচে সোনার হারের একটুথানি জাভাস, বামস্কন্ধ হইতে লম্বিত অঞ্চলের বঙ্কিম প্রান্ত, সমস্তই রেখায়-রেখায় তাহার পীড়িত চিত্তের মধ্যে যেন কাটিয়াকাটিয়া বসিয়া গেল । ব্যৰ ৰেশবিদ্যাসের নৌকাডুৰি । & ミ○○ অাক্ষেপ বহন করিয়া একটি মৃদ্ধ সুগন্ধ ঘরময় তালিয় বেড়াইতেছিল। এই গন্ধটুকু, ঐ ছবিটি রমেশের কত ভবিষ্যৎ শারদীয় অবকাশকে আবিষ্ট করিয়৷ তুলিবার জন্য স্মৃতির মধ্যে সঞ্চিত হইয়া রছিল ! রমেশ আস্তে আস্তে হেমনলিনীর কাছে আসিয়া দণড়াইল। হেমনলিনী রমেশের চেয়ে রাস্তার লোকদের জন্ত যেন বেশি ঔৎস্বাক্য বোধ করিতে লাগিল । রমেশ বাপরুদ্ধকণ্ঠে কহিল, “আপনার কাছে আমারএকটি ভিক্ষণ আছে।” রমেশের কণ্ঠস্বরে উদ্বেল , বেদনার আঘাত অনুভব করিয়া মুহূৰ্ত্তের মধ্যে হেমনলিনীর মুখ ফিরিয়া আসিল । রমেশ বলিয়া উঠিল —“তুমি আমাকে অবিশ্বাস করিয়ো ন ? রমেশ এই প্রথম হেমনলিনীকে ‘তুমি’ বলিল । “এই কথা আমাকে বল যে, তুমি আমাকে কখনো অবিশ্বাস করিবে না ! অামি ও অন্তর্যামীকে আস্তরে সাক্ষী রণথিয়া বলিতেছি, তোমার কাছে মামি কখনো অবিশ্বাসী হইব না ।” রমেশের আর কথা বাহির হইল না, তাঙ্গর চোখের প্রান্তে জল দেখা দিল । তখন হেমনলিনী তাহার স্নিগ্ধকরুণ দুই চক্ষু তুলিয়া রমেশের মুখের দিকে স্থির করিয়া রাখিল । সেই অনিমেষ দৃষ্টি রমেশের প্রতি নীরবে সংশয়লেশহীন ধ্রুববিশ্বাস নিবেদন করিল—তাহার পরে সহসা বিগলিত অশ্রধারা হেমনলিনীর দুই কপোল বাহিয়া ঝরিয়৷ পড়িতে লাগিল । দেখিতে দেখিতে সেই নিভূত বাতায়নতলে দুইজনের মধ্যে একটি বাক্যবিহীন শাস্তি ও সাম্ভনার স্বৰ্গখণ্ড