পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

beج বঙ্গদশন । { ৩য় বর্ষ, আশ্বিন । দীপ্তিদীপ্ত হইয়াছে, এবং যতদুর রবিকরে সমুদ্ভাসিত, ততদুর ব্রহ্মাও । ব্ৰহ্মাণ্ডের পরিধি আছে শুনিয়া ভাস্করাচার্য্য অবাকৃ হইয়াছিলেন। কিন্তু যাহাদিগের নিকট ব্ৰহ্মাও করামলকবৎ আমল বোধ হইত, তাহাদিগের কথা খণ্ডন করিতে ভাস্করের সাধ্য ছিল না । ফলত তিনি কথাটা মানিয়া ও মানেন নাই, এবং নুতন ব্যাখ্যা কল্পনা করিয়া কথাটার একটা সঙ্গত অর্থ দিতে প্রয়াসী হইয়াছিলেন । আমাদের কোন কোন পৌরাণিক ব্রহ্মাও .কোটি কোটি বলিয়া ও ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তিবর্ণনস্থলে উহাকে সসীম ভাবিয়াছিলেন । ডাঃ বালস এই প্রাচীন বিশ্বাস আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার সাহায্যে পুনঃস্থাপিত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন । তিনি বলেন, এবং আধুনিক জ্যোতিষ হইতে প্রমাণ ও দিয়াছেন যে, তারামন্ত্র ব্রহ্মা গু সসীম, স্বৰ্য্য ছায়াপথের ঠিক তলে ( plane ) এবং প্রায় মধ্যস্থলে অবস্থিত । স্থৰ্য্য সমগ্র দুশু ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যস্থিত বলিয়া সম্ভবত সমগ্র জড়ময় ব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্রে অবস্থিত । তদনন্তর তিনি জীবসঞ্চারের অমুকুল অবস্থাসকল অমুসন্ধান করিয়া বলেন যে, একমাত্র পুথিবীই জীবের বাসাপযোগ হইয়াছে । শত শত নহে, সহস্ৰ সহস্ৰ নহে, কোটি কোটি বৎসর কোন গ্রহের পৃষ্ঠদেশ সমমাত্রায় উষ্ণ না থাকিলে জীবের বাসোপদোগী হইতে পারে না । জীবের আবির্ভাবপক্ষে এই পৃথিবীতে অনেক গুলি অনুকুল অবস্থা বিস্ত মান ছিল । স্বৰ্য্য হইতে পৃথিবীর এমন অস্তুর যে, পৃথিবীর উষ্ণতার সমভাৰ সম্পাদিত হইতে পারিস্কাছে। পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করিয়া আবশুকমত ঘন আবহ রহিয়াছে : পৃথিবীতে গভীর বিস্তীর্ণ সমুদ্র রহিয়াছে ; মরুভূমি ও আগ্নেয়গিরি সমুহ রহিয়াছে। স্বর্য্য তারাময় ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যস্থলে অবস্থিত বলিয়াই পৃথিবীর অবস্থা এরূপ হইতে পারিয়গছে । ব্ৰহ্মাণ্ডের প্রাস্তুে এমন কোন তারারূপ স্বর্য্য নাই, যাহার গ্রহসকলে জীবসঞ্চারের অমুকুল অবস্থা থাকিতে পারে । বলা বাহুল্য, ডাঃ বালেসের জ্যোভিষিক আধার শিথিল হইলে তাহার জীবসঞ্চারবিষয়ক অম্বুমান নিরর্থক হইবে । ইহা ও বল বাহুল্য, এমন একটা কথা বিনা আলোচনায় বিদ্বৎসমাজে স্থান পাইতে পারে না । কয়েকজন জ্যোতিষী ঘোরতর আপত্তি তুলিয়াছেন । তন্মধ্যে ইংলেণ্ডের মওর-সাহেব এবং ফরাসীদেশের প্রসিদ্ধ ফু মারিয়ে"-সাহেব যে সকল যুক্তি দ্বারা বালেসের অম্বুমান খণ্ডন করিয়াছেন, তৎসমুদয়ের সারাংশ সঙ্কলিত হইল - ব্রহ্মা গুসম্বন্ধে আধুনিক জ্যোতিষের মত কি, তাহার কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইবে । অবগু কথাটা হাসিয়া উড়াইয়া' দিবার নহে । হাসিয়া সকল তর্কের মীমাংসা করা যাইতে পারে। বিচারে, প্রমাণ প্রয়োগে বিমুখ হইয়া স্ব স্ব সংস্কারের বশবৰ্ত্তী হইলে কোন বিষয়েরই বিচার আবশ্যক হয় না । ব্ৰহ্মাও সাস্ত না অনস্ত, এ প্রশ্ন আধুনিক

  • Know/edge for April and June.