পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రి 3 তাহাতে আলোকপাত করিয়া দেখিয়াছিলেন, —প্রাণিচক্ষুতে অালোকপাত হইলে, যেমন অক্ষিপর্দা ও অক্ষিস্নায়ুর মধ্য দিয়া একটা বিদ্যুৎপ্রবাহ পরিচলন করে, কৃত্রিম চক্ষুতেও অক্ষিপুট ও সেই রৌপ্যদণ্ডের মুক্তপ্রান্তসংলগ্ন তারের মধ্য দিয়াও তদ্রুপ তড়িৎপ্রবাহ দেখা যায় । পূৰ্ব্ববর্ণিত সহজ ও অতিস্বল্প যন্ত্রটি অধ্যাপক বস্থমহাশয়ের দৃষ্টিতত্ত্বসম্বন্ধীয় আবিষ্কারের প্রধান অবলম্বন। প্রাণিচক্ষু ও উক্ত কৃত্রিম চক্ষুর উপর আলোকের কার্য্য যখন অবিকল এক, সে স্থলে প্রথমে কেবল কৃত্রিম চক্ষুর উপরে আলোকের নানা খুটিনাট কাৰ্য্য পরীক্ষা করিলে, দৃষ্টিতত্ত্বসম্বন্ধীয় অনেক সমস্তার মীমাংসা হইবে বলিয়া ইহার মনে হইয়াছিল। এই প্রথায় পরীক্ষা করিয়া এবং পরীক্ষণলব্ধ ফল প্রাণিচক্ষুর উপর আলোকের নানা কাৰ্য্যের সহিত তুলনা করিয়া, অধ্যাপক মহাশয় অত্যাশ্চর্য্য ফললাভ করিয়াছেন । এত অনায়াসে এবং এপ্রকার বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, কীৰ্ত্তিক। সহজ যন্ত্রের সাহায্যে দৃষ্টিতত্বের নানা জটিল রহস্তের উদ্ভেদ দেখিয়া আজি সমগ্র জগৎ স্তম্ভিত হইয়া পড়িয়ছে । প্রাণি চক্ষেপতিত আলোক ও পুৰ্ব্ববর্ণিত কৃত্রিম চক্ষে পাতিত আলোক দ্বারা যে সকল বৈছাতিক লক্ষণের বিকাশ হয়, অধ্যাপক বসুমহাশয় তাহীদের ঐক্য কিপ্রকারে আবিষ্কার করিয়াছেন, এখন দেথা যাউক । প্রাণিচক্ষে একই প্রকারের আলোকরশ্মি ঃপুন নিয়মিতভণবে আঘাত করিলে, প্রতি আঘাতেই তড়িৎপ্রবাহ উৎপল্প হইয়া অল্পক্ষণের মধ্যে লয়প্রাপ্ত হয় । আচাৰ্য্য বস্থমহাশয় এই প্রকার নিয়মিত আলোক তাড়নজাত প্রাণিচক্ষুর সাড়ালিপি অঙ্কিত করিয়া, এবং ঠিক সেই অবস্থায় কৃত্রিম চক্ষুর বৈদ্যুতিক প্রবাহপরিবর্তন পরীক্ষা করিয়া, অবিকল একই সাড়ালিপি পাইয়াছেন । নিম্নস্থ চিত্রগুলি দেখিলে পাঠক বক্তব্যটা সহজে বুঝিতে পারিবেন । ১ম চিত্রটি প্রাণিচক্ষুর উপর পতিত আলোকোৎ ১ম চিত্র । ছবির নিয়মিতভাবে প্রতিবারে কি পল্প সাড়ার - ছবি । আলোকপাত হওয়াতে, জীবচক্ষুর সাড়ালিপি । I T | | প্রকারে বিদ্যুৎতরঙ্গের উৎপত্তি ও লয় হইয়াছিল, তাহ চিত্রের ছয়টি তরঙ্গরেখ+