পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] দ্বারা পাঠক দেখিতে পাইবেন । এই শ্রেণীর চিত্রে কখ, গ ঘ ইত্যাদি স্থল রেখাগুলির দৈর্ঘ্য ও ভূমির সহিত তাহাদের অবনতি তুলনা করিলে, প্রত্যেক আলোকপাতে, কত সময়ে, কি পরিমাণ, তড়িৎ উৎপন্ন হইয়াছিল, তাহা বুঝা যাইবে । চিত্রে কখ-রেখা গঘ অপেক্ষ দীর্ঘতর। ইহা হইতে বুঝিতে হইবে, প্রথম আলোকপাতে যে তড়িৎ উৎপন্ন হইয়াছিল, দ্বিতীয় আলোকপাতে তদপেক্ষ অল্প তড়িৎ উৎপন্ন হইয়াছে । গঘ-রেখা যদি কথ অপেক্ষা ও লম্বভাবে দণ্ডায়মান থাকিয় কগ-ভূমিরেখার সহিত বৃহত্তর দৃষ্টিতত্ত্ব d \ర్సీd কোণ উৎপন্ন করিত, তাহা হইলে পাঠক বুঝিবেন, দ্বিতীয় আলোকপাতজাত প্রবাহ, প্রথম প্রবাহটি অপেক্ষণ দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাগু হইয়া চরমসীমায় উপস্থিত হইয়াছিল । পুর্ণতাপ্রাপ্তির পর, প্রবাহ কিপ্রকারে ক্রমে লয় পাইয়া চক্ষুকে প্রকৃতিস্থ করে, নিম্নগামী স্বাক্ষ রেখাগুলিদ্বার:তাহা বুঝিতে হইবে । যে রেখা যত হেলিয়া ভূমির সহিত সংযুক্ত হইবে, তাহার উৎপাদক তড়িৎপ্রবাহ তত অধিক সময়ে লয় পাইয়াছে, বুঝিতে হইবে । ২র চিত্রটি সেই রৌপ্যনিৰ্ম্মিত কৃত্রিমচক্ষে পাতিত আলোক হইতে উৎপন্ন বিদ্যুতের ২য় চিত্র । কৃত্রিম চক্ষুর সাড়ালিপি । সাড়ালিপি । ঐক্য দেখুন । আলোকপাতের কাল ও তদ্যুৎপন্ন বিছাৎপ্রবাহের মধ্যে একটা অতি নিকট সম্বন্ধ আছে । প্রাণিচক্ষুতে একই আলোক যথাক্রমে ১, ২, ৩ ইত্যাদি সেকেও ধরিয়া পাতিত কর, এই সকল আলোকতাড়নায় সমান সাড়া দেখিতে পাইবে না। কালবৃদ্ধির সহিত সাড়া প্রথমে বৃদ্ধি পাইয় এমন একটি সীমায় উপস্থিত হইবে যে, তখন সময় বাড়াইলেও সাড়া অপরিবর্তনীয় থাকিয়৷ পাঠক উভয় চিত্রের অদ্ভুত যাইবে। ইহার পরও কালবৃদ্ধি করিতে থাকিলে চক্ষু অবসন্ন হইয়া পুৰ্ব্বাপেক্ষ মৃছ সাড়া দিতে থাকিবে । কৃত্রিম চক্ষুর সাড়ালিপিতে কাল ও সাড়ার পূৰ্ব্বোক্ত সম্বন্ধ অবি- - কল ধরা পড়িয়াছে। ৩য় ও ৪র্থ চিত্র দুইটি প্রাণী ও কৃত্রিমচক্ষুর পূর্ববর্ণিত সাড়ার ছবি। চিত্রের নিম্নস্থ সংখ্যাগুলি দ্বারা আলোকপাতের কাল এবং তাহীদের প্রত্যেকের উপরকার তরঙ্গরেখাদ্ধার তত্তৎকালের সাড়া-পরিমাণ স্থচিত হইতেছে । কালসহকারে সাড়ার পরিবর্তন যে প্রাণী ও কৃত্রিম