পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] সাহিত্যের সামগ্ৰী । ●›ዓ জাত এই অনিয়মিত সাড়ার ফলে, প্রাণীর যে দৃষ্টিবিভ্রম হয়, তাহ যথাস্থানে আলোচিত হইবে । প্রাণী মরণোন্মুখ বা মৃত হইলে তাহীদের চক্ষুর অণুসকল বিকৃত হইয় পড়ে, কাজেই গলিতচক্ষে আলোকপাত করিলে যে বৈদ্যুতিক লক্ষণ বিকাশ পায়, তাহ সুস্থচক্ষুর সাড়ার সহিত মিলে না । অধ্যাপক বস্থমহাশয় সুকৌশলে কৃত্রিমচক্ষুর আণবিক বিকার উপস্থিত করাইয়া, ঠিক গলিতচক্ষুর সাড়ালিপির অমুরূপ রেখাচিত্র পাইয়াছেন । প্রাণিচক্ষে আলোকপাত করির হঠাৎ সেই আলোক রোধ করিলে, কখন-কথন সেই পুর্বের আলোকজাত বৈদ্যুতিক প্রবাহ যথানিয়মে হ্রাস না হইয়া ক্ষণিককালের জন্ত প্রবলতর হইয়া পড়ে। কুনে ( Kuhne ) এই ব্যাপারের সহিত পরিচিত ছিলেন । প্রথম চিত্রের ৪র্থ এবং ৫ম সাড়ালিপিতে ইহা দেখা যায়। অধ্যাপক বসুমহাশয় তদবস্থ কৃত্রিমচক্ষে বৈছাতিক সাড়ার উক্ত উচ্ছৃঙ্খলতাও আবিষ্কার করিয়াছেন । ২য় চিত্রের প্রথম সাড়ালিপিতে ইহ। প্রদর্শিত হইতেছে । এতদ্ব্যতীত শৈত্যতাপাদিভেদে এবং আলোকের প্রাথর্য্য অনুসারে চক্ষে যে পরিবর্তন হয়, কৃত্রিমচক্ষে অবিকল তাহাই প্রত্যক্ষ দেখা গিয়াছে । সুতরাং দেখা যাইতেছে, প্রাণিচক্ষু ও কৃত্রিমচক্ষুর উপর আলোকের কার্য্য অবিকল এক, এবং অতি খুটিনাটি ব্যাপারেও এই একতার ভঙ্গ দেখা যায় না । উভয় চক্ষুর এই ঐক্য অবলম্বন করিয়া অধ্যাপক বক্ষমহাশয় কিপ্রকারে নানা দৃষ্টিবিভ্রমের উৎপত্তিতত্ত্ব স্থির করিয়াছেন, পরপ্রবন্ধে আমরা তাহা বিশেষভাবে আলোচনা করিব । শ্রীজগদানন্দ রায় । সাহিত্যের সামগ্রী। 聯 একেবারে খাটিভাবে নিজের আনন্দের জন্যই লেখা সাহিত্য নহে । অনেকে কবিত্ব করিয়া বলেন যে, পার্থী যেমন নিজের উল্লাসেই গান করে, লেখকের রচনার উচ্ছ সিও সেইরূপ আত্মগত –পাঠকেরা যেন তাহা আড়ি পাতিয়া শুনিয়া থাকেন । পার্থীর গানের মধ্যে পক্ষিসমাজের প্রতি যে কোনো লক্ষ্য নাই, এ কথা জোর করিয়া বলিতে পারি না । না থাকে ত না-ই রছিল, তাহা লইয়। তর্ক করা বৃথা—কিন্তু লেখকের রচনার প্রধান লক্ষ্য পাঠকসমাজ । তা বলিয়াই যে সেটাকে কৃত্রিম বলিতে হইবে, এমন কোন কথা নাই। মাতার স্তন্ত, একমাত্র সন্তানের জন্ত, তাই বলিয়াই তাহাকে স্বতঃস্ফূৰ্ত্ত বলিবার কোন বাধা দেখি না। নীরব কবিত্ব.এবং আত্মগত ভাবোচ্ছাস, সাহিত্যে এই দুটো বাজে কথা কোন কোন মহলে চলিত আছে । যে কাঠ জ্বলে নাই,