পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা i ] বাহা ভারতবর্ষের উন্নতিপক্ষে নিতাস্তই stąsrst i Sir Alfred Lyall toist“আমরা ভারতবর্ষে অtসিয়াছি রাষ্ট্রীয় সুনীতি শিখাইবার জন্ত, শিথিবীর জন্ত নহে ।” ভারতের এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত, সমস্ত ইংরাজ রাজপুরুষেরা, সমস্ত খ্যাতনামা ইংরাজ, এই কথারই পোষকতা করেন । অrয় অধিক দৃষ্টাস্তের প্রয়োজন নাই, একটি ইংরাজি সংবাদপত্রের সম্পাদক আমাদের নিকট ধে কথা ব্যক্ত করিয়াছিলেন, তাহার উল্লেখ করিলেই ধথেষ্ট হইবে । যেখানেই আময় একটু উস্কাইয়। দিয়া ইংরাজের মনের কথ। বাহির করিয়াছি, সেইখানেই সেই সব উক্তির মধ্যে পরস্পর নৈকট্য লক্ষি ত হইয়াছে। “ অবগু, ভায়তবাসীরা এ কথা বলিতে পারে যে, তাহারা অামাদিগকে তাড়াইতে ইচ্ছ। করে না, কেন না, আমরা তাহদের পক্ষে নিতান্তহ জমা বগুক । আমাদের থাকাতে যে সুবিধা,সে সুবিধাটুকু ভারতবাসীরা খোয়াইতে চাহে না, তাহার। আমাদের দ্বারা শুধু ‘পুলিসম্যানে'র কাজ করাইয়া লইতে চাহে । তাহারা রাষ্ট্রসম্বন্ধার তত্ত্বকথার শিক্ষণ গুরু হইতে চাহে, এবং ভারতরাজ্যের লেখনী ও বাকু-যন্ত্র নিজtয়ত্ত করিতে চাহে । আমাদের সমস্ত অধিকার যদি তাহাদিগকে ছাড়িয়া দি, তবেই তাহাদের মনস্কামনা পূর্ণ হয় । এইরূপ হইলে, ব্রাহ্মণ-যুবকের বস্তার মতো অtসিয়া অামাদের কৰ্ম্মপ্রাথিগণের স্থান অধিকার করিবে । কিন্তু ইহ জানা উচিত যে, আমরা যদি আমাদের নিজস্ব অধিকার রক্ষা করি, তবেই ভারতের সাধারণ স্বাৰ্থ বৃক্ষিত হইবে । কেন না, Gł আজিকার ভারতবর্ষ। vව්LA আমাদের স্বজগতীয়েরাই এদেশকে একতা, শাস্তি, স্কায়বিচার ও সুনীতি প্রদান করিতে সক্ষম । আর, আমির। যদি এই দেশের প্রভু হইয়া থাকি, তবেই সম্যকৃরূপে এই কৰ্ত্তব্যটি পালন করিতে অমর সমর্থ হইব ।” —“তবে কি তোমার বিশ্বাস, ভারতে যুরোপীয় তত্ত্বtধধান আবখ্যক ?” —“না, যুরোপীয় নহে—ইংরাজের তত্ত্বাবধান আবখক, স্থনীতিমূলক তত্ত্বাবধান অণবগুক ।” প্রায়ই উক্তরূপ প্রত্যুত্তর ইংরাজদিগের মুখে শুনা যার । কেন না, ইংরাজের যুরোপীয় দৃষ্টিতে কিছুই দেখিতে ভালবাসে না ; অন্তান্ত পাশ্চাত্যজাতির সহিত উহার একদলভুক্ত হইতে ও চাহে না । তাহদের দ্বারা ভারতে যে সভ্যতাবিস্তার হইতেছে, তাহাদের মতে, উহ। ইঙ্গ-স্তাক্সন’-সভ্যতা ।” এক্ষণে আমরা ইংরাজ শাসনপদ্ধতির নিগুঢ়তত্ব অবগত হইলাম ; কিসে ইংরাজ কর্মচারীদিগের স্বার্থসাধন ও ব্রিটেনীয় ধনভাণ্ডারের পরিপূৰ্ত্তি হয়, তাহাই এই শাসনপদ্ধতির পক্ষপাতিগণের একমাত্র চিস্তা । তাহারা বলেন, পালেমেণ্ট পদ্ধতি অপেক্ষ। “জ্ঞানালোক-সমন্বিত অনিয়ন্ত্রিত কর্তৃত্ব”ই ভারতের উন্নতিসাধনপক্ষে শ্রেষ্ঠ তর উপার । ফলত, ইংরাজ-সরকার আধুনিক যুরোপের শাসনসংক্রান্ত মুলস্থত্র গুলি মানিয়া চলেন এবং অtসিয়াবাসিস্থলভ পুরাতন পদ্ধতি অনুসারে প্রজাশোযণনীতি অনুসরণ করাও উচিত বোধ করেন না। প্রতিবাদকারীদিগের সহিত র্তাহাদের মুলে কোন মত