পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] সাহিত্যের তাৎপর্য্য । ৩৫৯ লইতে চায়। কিন্তু তাহার কল্পনা এবং হৃদয়াবেগ কবির তুলনায় সামান্ত । কবি আপন হৃদয়ের দ্বারা, কল্পনার স্বারা বহিঃপ্রকৃতিকে ওতপ্রোত করিয়া লইয়াছেন-— ছোট বনফুল হইতে বৃহৎ পৰ্ব্বতশৃঙ্গ পর্য্যস্ত সমস্তই তাহার—এবং সেই স্থত্রে মানলের । যে কবির হৃদয়বৃত্তি জগতের যত বিচিত্র ও অধিক স্থান ব্যাপ্ত করিয়া লইতে পারে, তাহার কবিত্বের গৌরব তত বাড়ে । কারণ, তিনি বিশ্বকে অধিক পরিমাণে এবং বিচিত্রভাবে মামুষের আপনার করিয়া গড়িয়া ¢णन } এক-একটি জড়প্রকৃতি লোক অাছে, জগতেয় খুব অল্প বিষয়েই যাহার হৃদয়ের ঔৎসুক্য—তাহারা জগতে জন্মগ্রহণ করিয়া ও অধিকাংশ জগৎ হইতে বঞ্চিত । তাহাদের হৃদয়ের গবাক্ষগুলি সংখ্যায় অল্প এবং বিস্তৃতিতে সঙ্কীর্ণ বলিয়া বিশ্বের মাঝখানে তাহারা প্রবাসী হইয়া আছে । এমন সৌভাগ্যবান লোকও আছেন, যাহাদের বিস্ময়, প্রেম এবং কল্পনা সৰ্ব্বত্র সজাগ— প্রকৃতির কক্ষে কক্ষে তাহদের নিমন্ত্রণ ; লোকালয়ের নানা আন্দোলন তুাহীদের চিত্তবীণাকে নানা রাগিণীতে স্পন্দিত করিয়া রাখে । * বাহিরের বিশ্ব 'ইহাদের মনেয় মধ্যে হৃদয়বৃত্তির নানা রসে, নানা রংয়ে, নানা ছাচে নানারকম করিয়া তৈরি হইয়া উঠিতেছে । ভাৰুকের মনের এই জগৎটি বাহিরের জগতের চেয়ে মানুষের বেশি আপনার । তাই.হৃদয়ের সাহায্যে মানুষের হৃদরের পক্ষে °ब्रिगंम श्रेब फे८% । डाङ् उमामाप्नद्र চিত্তের প্রভাবে যে বিশেষত্ব লাভ করে, তাছাই মামুষের পক্ষে সৰ্ব্বাপেক্ষ উপাদেয় । " অতএব দেখা যাইতেছে, বাহিরের জগতের সঙ্গে - মানবের জগতের প্রভেদ আছে । কোনটা শাদা, কোনটা কালো, কোনটা বড়, কোনটা ছোট, মানবের জগৎ সেই খবরটুকুমাত্র দেয় না। কোনটা প্রিয়, কোনট অপ্রিয়, কোনটা স্বন্দর, কোনটা অসুন্দর, কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ, মানুষের জগৎ’ সেই কথাটা নানা স্বরে বলে । এই যে মানুষের জগৎ, ইহা অামাদের হৃদয়ে হৃদয়ে বহিয়া আসিতেছে। এই প্রবাহ পুরাতন এবং নিত্যনুতন । নব নব ইন্দ্রিয়—নব নব হৃদয়ের ভিতর দিয়া এই সনাতন স্রোত চিরদিনই নবীভূত হইরা চলিয়াছে। কিন্তু ইহাকে পাওয়া যায় কেমন করিয়া ? ইহাকে ধরিয়া রাখা যায় কি উপায়ে ? এই অপরূপ মানস-জগৎকে রূপ দিয়া পুনৰ্ব্বার বাহিরে প্রকাশ করিতে না পারিলে ইহা চিরদিমই স্বই এবং চিরদিনই নষ্ট হইতে থাকে। কিন্তু এ জিনিষ নষ্ট হইতে চায় না । হৃদয়ের জগৎ আপনাকে ব্যক্ত করিবার জন্ত ব্যাকুল । তাই চিরকালই মানুষের মধ্যে সাহিত্যের আবেগ। তাই মাহুষ কেবলি . লিখিতেছে, খুদিতেছে, গাহিতেছে, আকিতেছে —তাহার বিশ্রাম নাই । তাহার প্রকাশচেষ্টা নানারূপে স্তু পাকার হইয়া উঠিতেছে i ইহ প্রয়োজন বুঝিয়া কাজ করে না—ইহা বিস্তর অনাবশ্যক স্বষ্টি করে — ইহা কেবল আকার ধরিতে চায়, বাহির হইতে চায়। অতএব সাহিত্যকারের প্রথম কাজ কল্পনাশক্তির দ্বারা, হৃদয়বৃত্তির দ্বারা বাহিরের ·