পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] যক্তিয়ার খিলিজির বঙ্গবিজয় । t్సలి ছুর্গাদি বর্তমান ছিল না । এই প্রদেশ অপেক্ষাকৃত আধুনিক । গৌড়ীয় হিন্দুসাম্রাজ্যে বঙ্গ, রাঢ় ও বরেন্দ্র প্রদেশেই প্রাদেশিক রাজধানী সংস্থাপিত হইয়াছিল । সমতট প্রদেশে কখনও কোন রাজধানী থাকার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় না। উত্তরকালে কেবল কিছুদিনের জন্ত সুন্দরবনীন্তর্গত চন্দ্রদ্বীপে রাজধানী সংস্থাপিত হইয়াছিল । এই সকল কারণে সমতটের অন্তর্গত নবদ্বীপে রাজধানী থাকিবার কোন ইতিহাস বা প্রমাণ বা জনশ্রুতিও প্রাপ্ত হওয়া যায় না । মিনহাজ নিজেও তথায় কোন রাজধানীর অস্তিত্ব দেখিয়া যান নাই । কেবল বক্তিয়ারের পাশ্বচর মুসলমানসেনার নিকট গল্প শুনিবার সময় তাহীরই মুখে নবদ্বীপে রাজধানী থাকার কথা শুনিয়াছিলেন । মিনহাজ বিচারে বা তথ্যাঙ্গুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলে, প্রকৃত তথ্য জ্ঞাত হইতে পারিতেন । কিন্তু তিনি বিচারবুদ্ধির আশ্রয়গ্ৰহণ অবিশুক মনে করেন নাই । যেখানে যাহা শুনিয়াছিলেন, তাহাই লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । য়েনরাজবংশের রাজ্যবিস্তারের পূৰ্ব্বে রাঢ়, বরেন্দ্র, বঙ্গ ও সমতট পালরাজবংশের অধিকারভুক্ত ছিল । তাহাদের শাসনসময়ে গৌড়ীয় হিন্দুসাম্রাজ্যের নানা রাজধানীর নাম ও পরিচয় পুরাতন তাম্রশাসনে খোদিত হইয়াছিল । তাহাতে দেখা যায়, প্রথমাবস্থায় পাল-নরপালগণ তাছাদের ইতিহাসবিখ্যাত পাটলিপুত্রের পুরাতন রাজধানীতে বসিয়াই গৌড়রাজ্য শাসন কল্পিতেন । পরে মুদগগিলি-(সুজের )-নগরে রাজধানী স্থানান্তরিত হইয়াছিল। তাহার পর গোঁড়ান্তর্গত পোঁও,বৰ্দ্ধন ও পৌও বৰ্দ্ধনের নানা উপবিভাগে রাজধানী সংস্থাপিত হয় । কিন্তু পাল-নরপালবর্গের শাসনসময়েও সমতটের অন্তর্গত কোন স্থানে কোন রাজধানী সংস্থাপিত হওয়ার প্রমাণ নাই । নারায়ণপালের তাম্রশাসনে দেখা যায়, সমতটনিবাসী শিল্পী ঐ তাম্রশাসনে রাজাজ্ঞা উৎকীর্ণ করিয়াছিল । সেনরাজবংশের অধিকার বিস্তৃত হইয়া সমগ্র গৌড়ীয় হিন্দুসাম্রাজ্য · র্তাহাদের করতলগত হইবার পর রাঢ়, বরেন্দ্র ও বঙ্গেই রাজধানী সংস্থাপিত হুইয়াছিল । তাহারাও শ্ৰীবিক্রমপুরের পুরাতন রাজধানীকেই প্রধান রাজধানী মনে করিতেন । বক্তিয়ার খিলিজির এদেশে উপনীত হুইবার সমসময়ে, সমতটপ্রদেশে কোন রাজধানী থাকিলে, তাহা জয় করিবার জন্য র্তাহাকে অবগুই চেষ্টা করিতে হইত। বক্তিয়ারের বঙ্গবিজয়সম্বন্ধে যতদূর জানিতে পারা সম্ভব, তাহাতে লক্ষেীর, লক্ষ্মণাবতী ও ঐবিক্রমপুর আক্রমণের চেষ্টাই জ্ঞাত হওয়া যায় । বক্তিয়ার জীবিত থাকিতে, লক্ষ্মণাবতী ভিন্ন আর কোন গৌড়ীয় হিন্দুরাজধানী তাহার করতলগত হয় নাই । তিনি আর যেখানে গিয়াছেন, সেখানেই পরাস্ত হইয়া প্রত্যাগত হইয়াছেন । বক্তিয়ার খিলিজির বঙ্গবিজয় । বলিতে বি বুঝিব, তাহ নির্ণয় করিতে হইলে, তাহার to. এ দেশের অবস্থা কিরূপ ছিল তাহার আলোচনা করা আবশুক । যে সকল প্রমাণ অবলম্বন করিয়া এই আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতে হইবে, তাহ সংক্ষেপে উল্লিখিত হইতেছে । - (১) প্রথম প্রমাণ,—বিজয়সেনের