পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পড়ে এবং স্বত্রলম্বিত গোলকের আন্দোলনের ষ্ঠায় অণুসকল বস্তৃক্ষণ গমনাগমন করিয়া শেষে সাম্যাবস্থা প্রাপ্ত হয় । অধ্যাপক বস্থমহাশয় পদার্থের অণুসকলের এই প্রকার আন্দোলনজাত তড়িৎপ্রবাহকে “পরান্দোলন” সংজ্ঞা প্রদান করিয়াছেন। পাঠক একটি উজ্জল আলোকের প্রতি কিয়ৎকাল দৃষ্টিপাত করিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিলে, উক্ত আন্দোলনের কার্য, বেশ বুঝিতে পারিবেন । চক্ষু বন্ধ করিবামাত্র ঘোর অন্ধকার সম্মুখে দেখা দিবে। পূৰ্ব্ব-আলোকপাত-জাত আণবিক লিচলন দ্বারা যে তড়িৎপ্রবাহ উৎপন্ন হুইয়াছিল, চক্ষুর অণুগুলির স্বভাব প্রাপ্তির প্রবল চেষ্টায় এখনকার আণবিক বিচলন ঠিক্‌ তাহার বিপরীত দিকে হয় বলিয়া, সেই প্রবাহ ক্রমে লক্ষ্মপ্রাপ্ত হয় । কাজেই চক্ষর বৈছাতিক সাম্যাবস্থায় ঘোর অন্ধকার ব্যতীত আর কিছুই দেখা যায় না । কিন্তু পাঠক যদি কিঞ্চিৎ দীর্ঘকাল চক্ষু মুদ্রিত করিয়া অপেক্ষা করেন, তাহা হইলে সেই পূৰ্ব্বদৃষ্ট উজ্জল আলোকের ছবি চক্ষু বুজিয়াও দেখিতে পাইবেন । বলা বাহুল্য, স্বভাবপ্রাপ্তির অতিরিক্ত চেষ্টার নিদিষ্টস্থান অতিক্রম করার পর, পুনরায় স্বাভাধিক স্থানে আসিবার চেষ্টায় অণুগুলির যে নুতন বিচলন হয়, উক্ত অস্পষ্ট ছবি তাহারই কাৰ্য্য । • - কোন উজ্জ্বল পদার্থে দৃষ্টিপাত করিয়ু চক্ষু মুদ্রিত রাখিলে, সেই পদার্থের যে আলোকময় ছবি ক্রমে আবিভূতি ও তিরেীভূত হয়, তাহ আমরা অনেক সময়েই দেখিতে পাই । পুৰ্ব্ব-বৈজ্ঞানিকগণও এই | په تمه د ' . د . : . ৩য় বর্ষ, অগ্রস্থায়ণ দৃষ্টিবিভ্রম দেখিয়াছিলেন, এবং তাঁহার ইহার একটা কারণও স্থির করিয়াছিলেন। ইহার বলিতেন,—উজ্জল পদার্থে দৃষ্টি আবদ্ধ রাখায়, আলোক অস্তজিত হইলেও সেই উত্তেজনার কতকটা চক্ষে থাকিয় যায় ; কিন্তু চক্ষু আলোকদর্শনে ক্লাস্ত হইয়। পড়ায় সে সময়ে আমরা ঐ উত্তেজনার কোন কাৰ্য্যই দেখিতে পাই না । ক্লান্তির উৎপত্তিসম্বন্ধে পণ্ডিতগণের তুইটি প্রচলিত সিদ্ধান্ত আছে । একদল পণ্ডিত বলেন, শ্রমদ্বারা শরীরে এক প্রকার অবসাদgas-F viorgos; ( Tatigue substance ) উৎপত্তি হয়, বিশ্রামসহকারে শোণিতপ্রবাহদ্বারা সেই পদার্থ স্থানান্তরিত হইলে, জীব আবার শ্রমক্ষম হইয়। পড়ে । আর একদল পণ্ডিত বলেন,—শ্রম শরীরের ক্ষয়সাধন করে, এবং ক্ষয়ই শ্রান্তির কারণ । প্রাণীকে বিশ্রাম করিতে দt s, স্বাভাবিক শারীরকার্যে সেই ক্ষয়ের পূরণ হইয়া যাইবে, এবং সঙ্গে সঙ্গে তাহাকে নুতন শ্রমভারবহনের উপযোগী দেপিবে। দৃষ্টিবিভ্রমটির উল্লিখিত ব্যাখ্য। নিভুল হইলে,—বিশ্রামসহকারে চক্ষুর প্রকৃতিস্থ হওয়ার পর অন্ধকারের মোচন হওয়াই সঙ্গত ; কিন্তু প্রত্যক্ষ ব্যাপারে বিশ্রামলাভের পরও আময়। পূৰ্ব্বসৃষ্ট পদার্থের আলোক ও অন্ধকার ময় ছবির গুনঃপুন বিকাশ দেখিতে পাই । এই বিসদৃশ ঘটনার কারণ উক্ত দৃষ্টিবিভ্রমের প্রচলিত ব্যাখ্যানে খুজিয়া পাওয়া যায় না। অধ্যাপক বয়মহাশয় প্রচলিত সিদ্ধান্তের এইপ্ৰক্ষার জারও অনেক ভ্রম দেখাইয়া, তাহাঙ্গ জাবিরুত তত্ত্বটিকে অপ্রতিষ্টিক্স করিয়া তুলিয়াছেল ।