পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जल्लेबकश्शी । ] জগতের অক্তি, বৃহৎ অৰিষ্কারগুলির মূলাম্বেষণ করিলে, অনেকস্থলেই একএকটা তুচ্ছ অৰাস্তর ঘটনাকে মন্থদাৰিষ্কারের কারণ হইতে দেখা যায় । চক্ষুসম্বন্ধীয় পুৰ্ব্বোৰু পরীক্ষার সময়ে, বক্ষমহাশয় ঐ প্রকার এক ক্ষুদ্র ব্যাপারে দৃষ্টিতত্বসম্বন্ধীয় একটা মহদাবিষ্কার সাধন করিয়াছেন । চক্ষুর দৃষ্টিশক্তি এই আবিষ্কারের বিষয় । উভয় চক্ষুরই দৃষ্টিশক্তি অপরিবর্তনীয় বলিয়া, এ পর্য্যস্ত বৈজ্ঞানিকগণ বিশ্বাস করিয়া আসিতেছিলেন। বল্পমহাশয় প্রত্যক্ষ পরীক্ষণ দ্বারা দেখাইয়াছেন, প্রকৃত ৰ্যাপার তাহ নয় । বামচক্ষুর দৃষ্টিশক্তি যখন প্রবল থাকে, দক্ষিণচক্ষ তখন ক্ষীণশক্তি হইয়া বিশ্রাম করে, এবং পরমুহূৰ্ত্তে দক্ষিণচক্ষু যখন বিগতশ্রম হইয়া দাড়ায়, তখন দর্শনের ভার তাহার উপর দিয়া বামচক্ষু বিশ্রামের অবকাশ লয় । চক্ষুর দৃষ্টিশক্তির এই পরিবর্তন অতি ঘনঘন হইয়া থাকে, কিন্তু স্থলত উভল্পের সমবেতশক্তি অপরিবর্তনীয় থাকিতে দেখা যায় । অধ্যাপক বস্থমহাশয়ের আবিষ্কৃত ব্যাপারটি সহজে পরীক্ষা করিবার একটি সুন্দর উপায় আছে । ১ম-চিত্রাঙ্কিত রেখার স্থায় বিপরীতদ্বিকে হেলানো দুইটি স্থল সরলরেখা কাগজে অঙ্কিত করিয়া, সেটিকে ষ্টেরিরোস্কোপ (stereoscope)-খন্ত্রে সংযুক্ত কর । এই ষন্ত্রে ফোটোগ্রাফের ছবি যেমন ১ম চিৰ। - ২য় চিত্র । க উপযুপিরি বিদ্যঞ্চ হইয় পড়ে, এখানেও ঐ হেলানো রেখাদ্বয় পরস্পরের উপৱে পড়িকে এবং ২য়-চিত্রস্থ ক্রসের অনুরূপ একটা ছৰি দশক দেখিতে পাইবেন । কিন্তু এখন যদি যন্ত্রটিকে আকাশের উজ্জল অালোকের দিকে ধরিয়া দর্শক কিয়ৎকালের জন্য ছবিটিকে দেখিতে থাকেন, তৰে সেই ক্রসটিকে (cross) সম্পূর্ণ দেখিতে পাইবেন না ;—উহার একটি রেখাকে কিয়ৎকালের জন্ত খুব উজ্জল ও অপরটিকে লুপ্তপ্রায় দেখিবেন এবং পল্পক্ষণেই মানটিকে ফুটতর ও উজ্জ্বলটিকে ক্ষীণজ্যোক্তি হইতে প্রত্যক্ষ করিবেন । - দুইটি বিভিন্ন লেখার প্রতি যুগপৎ দুই চক্ষু দ্যস্ত রাখিয়া পড়িবার চেষ্টা করিলে, পূৰ্ব্বোক্ত আবিষ্কারটির পরিচয় সহজে গ্রহণ করা যাইতে পারে। একই সময়ে দুষ্ট চক্ষু দুইটা পৃথক্ লেখার উপর আবন্ধ থাকায়, পাঠক কোনটিই পড়িতে পারিবেন না। কিন্তু ইহার পরই যদি চক্ষু মুদ্রিত করা যায়, তাহ হইলে পর্য্যায়ক্রমে সেই লেখারই এক একটিকে চক্ষুর সম্মুখে ক্রমান্বয়ে ফুটিয়া মিলাইতে । দেখা যাইবে । এইজন্যই অধ্যাপক স্বর্থমহাশয় তাহার আবিষ্কারসম্বন্ধীয় গ্রন্থের একস্থানে বলিয়াছেন,—“মুক্তচক্ষে অম্বিক্ষণ যাহা পড়িতে না পারি, চক্ষু মুদ্রিত করিলে তাহাই সহজপাঠ্য হইয়া পড়ে।” । যে সকল পদার্থ আমরা স্বেচ্ছায় ও