পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

disests অবস্থার দারুণ পীড়নে নিষ্পেষিত হইয়া তিনি দুইএকটি অধীরৰাক্য প্রয়োগ করিয়াছিলেন, তাহ লইয়া হট্টগোল করা এবং হিমালয়ের কোন শিলা কি পাদপে একটু ক্ষতচিহ্ল আছে, তাহ আবিষ্কার করিয়া পৰ্ব্বক্তরাজের মহত্বকে তুচ্ছ করা, দুইই একবিধ । সাহিত্যিক ধূৰ্ত্তগণ রামচরিত্রের তক্ষপ সমালোচনার ভার লইবেন। ৰাক্ষ্মীকি-অঙ্কিত রামচরিত্র অতিমাত্রায় জীবস্ত—এ চিত্রে স্থচিকা বিদ্ধ করিলে তাহ। হইতে যেন রক্তবিন্দু ক্ষরিত হয়—এই চরিত্র ছায় কিংবা ধুম্রবিগ্রহে পরিণত হইয়৷ পুস্তকান্তর্গত আদর্শ হইয় পড়ে নাই । সঙ্গীতের দ্যায় মানবজীবনেরও একটা জুলরাগিণী আছে—গীতি যেরূপ নানারূপ আলাপচারিতে ঘুরিয়-ফিরিয়াও স্বীয় মূলরাগিণীর বাহিরে যাইয়া পড়ে না, মানৰচরিজেরও সেইরূপ একটা স্বপরিচায়ক স্বাতন্ত্র্য আছে—সেইটিকে জীবনের মুলরাগিণী বলা ষায়, জীবনের কার্য্যকলাপ সমগ্রভাবে বিবেচনা করিলে উহা আবিষ্কৃত হয় । যিনি বাছাই বলুন,—সেই অভিষেকোপযোগী বিশাল সম্ভারের প্রতি তাচ্ছল্যের সহিত দৃষ্টিপাত করিয়া অভিষেকত্ৰতোজ্জল শুদ্ধপট্টবস্ত্রধারা রামচন্দ্র যখন বলিয়াছিলেন—“এবমস্ত গমিব্যামি বনং ৰত্তমহং দ্বিতঃ । জটাচীরধরে রাজ্ঞঃ প্রভিজ্ঞামছুপালম্বন"- তোহাই হউক, জামি রাজার প্রতিজ্ঞা পালনপুৰ্ব্বক জটাবহুল ধারণ করিয়া বনবাসী হইব’-- সেই দিনের পেই চিজই রামের অমর চিত্রণ এই অপূৰ্ব্ব ৰৈয়াগ্যের শ্ৰী তাহাকে চিনাইয়। দিবে। প্রজাগণ জলভারাচ্ছন্ন আকুল চক্ষে তাহাকে क्छेजस्तमि. - দিয়া বলিতেছেন— ৩য় বর্ষ, জগ্রহাণী খিরিয়া ধরিয়াছে, তিনি তাহাদিগকে সাখঙ্গা “বা প্রীতির্বহমানশ্চ মৰ্য্যবোধ্যালিবাসিনা। ’ মৎপ্রিয়ার্থং বিশেষেণ ভরভোস বিধীয়ভাগ " ‘অযোধ্যাবাসিগণ, তোমাদের জামার প্রতি খে ৰহমান ও প্রীতি, তাহা ভরতের প্রতি বিশেষভাবে অর্পণ করিলেই আমি প্রীত হইৰ ? এই উদার উক্তিই রামচরিত্রের পরিচারক। লক্ষ্মণের ক্রোধ ও বাগবিতও পরাভূত করির ঋষিবৎ সৌম্য রামচন্দ্র অভিষেকশালার প্রতি দৃষ্টিপাতপূর্বক বলিলেন— “সৌমিত্রে যে ইভিলেকার্থে মম সভারসম্রামঃ । অভিষেকনিবৃত্তার্থে সোহৰ সম্ভারসামঃ ” “সৌমিত্রে, অামার অভিষেকের জন্ত বে সন্ত্রম ও আয়োজন হইয়াছে, তাহ আমার অক্তিষেকনিবৃত্তির জন্ত হউক ৷” এই বৈরাগ্যপূর্ণ কণ্ঠধবনি সমস্ত ক্ষুদ্রস্বর পরাজিত করিয়৷ আমাদের কর্ণে বাজিতে থাকে । যেদিন রাবণ রামের শরাসনের তেজে ভ্ৰষ্টকুণ্ডল ও হতশ্ৰী হইয়া পলাইবার পস্থা পাইতেছিল না, সেদিন . রামচন্দ্র ক্ষমাশীল গভীরকণ্ঠে বলিয়াছিলেন—“রাক্ষস, তুমি আমার বহুসৈন্ত নষ্ট করিয়া এখন একাত্ত ক্লাস্ত হইয়া পড়িয়াছ, আমি ক্লান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করি না, তুমি আজ গৃহে বাইয়। ৰিশ্ৰাম কর, কল্য সবল হইয়া পুনরায় যুদ্ধ করিও ।” সেই মহাছবের মহতী প্রক্ষিণভূমিতে থাকি<थवाब्रव्र ७झे क♚चञ्च ऋ*ौंब्र चकमा ओष्ठांग्र* করিয়াছিল ;– উহাই তাহার. চিন্নাভ্যস্ত কণ্ঠধ্বনি,—রাম ভিন্ন জগতে এ কথা শক্রকে জার ৰে ৰলিতে পারিত ? কৈকয়ীকে লক্ষ্মণ প্রসঙ্গক্রমে লিঙ্গ কস্কিলে রাষচজ