পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৰৰ সংখ্যা । ] কি কাহারও স্বরণ নাই ? শুধু এখানে কেন, যাত্রা - ছিল ভাল ; বিদেশী থিয়েটার মহা । ফ্রান্সে যখন ঐরুপ কথা হয়, তখন রূমের জুলতান আপত্তি করিয়া অভিনয় রহিত করিয়াছিলেন। যীশুখুষ্টের চরিত্র থিয়েটারে অভিনয় করিলে কি খৃষ্টানের চুপ করিয়া থাকেন ? তাহার পর চৈতন্তের চরিত্র পুরুষে অভিনয় না করিয়া যখন স্ত্রীলোকে অভিনয় করিতে লাগিল, তখন এই ধৰ্ম্মগত প্রাণ হিন্দুজাতির হৃদয়ে কি কিছুমাত্র আঘাত লাগিল ন। ? এইজন্ত নাট্যজগতের ধৰ্ম্মযুগ অধিকদিন টিকিল না । লোকের মন অভিনয়ে আকৃষ্ট হয় নাই, অভিনেত্রীদিগের প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিল। বুদ্ধদেব কিংবা চৈতন্যলীলার অভিনয় হইলে এখন আর থিয়েটারের দ্বারদেশে ঠেলাঠেলি হয় না । থিয়েটারে আজকালকার অন্তঃসারশূন্ত নাটকসকল অভিনীত হয় কেন, স্ত্রীলোককে পুরুষের পার্ট অভিনর করিতে দেওয়া হয় কেন, জিজ্ঞাসা করিলে উত্তর এই যে, লোকে যেমন চায়, তেমন পায় । আগে লোকে ঐতিহাসিক কি ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় নাটক চাহিত, তাহাই পাইত। এখন লোকে রসবহুল নাটক চায়, সুতরাং তাহাই জোগাইতে হয় । পুরুষ স্ত্রীলোক সাজিলে ভাল দেখায় না, কিন্তু স্ত্রীলোক পুরুষ সাজিলে, চৈতন্ত কিংবা শ্ৰীকৃষ্ণ সাজিলে দেখিতে বেশ মোলায়েম হয়, লোকে দেখিয়া খুসী হয় । রাত্রে থিয়েটার দেখিয়া যদি লোকের বিরক্তি হয়, তাহ হইলে দিনেও তাহাদিগকে দেখাইতে পারা যায়। . চরম সীমার থিয়েটার যে কোথায় পৌছিৰে, তাহ কল্পনা করিতে জাশঙ্কা হয়। cनषेिब-७निद्रा यथन भ८म इब्र, जांयां८नब्र ८मनै অনর্থ ঘটাইতেছে । . . . . .থিয়েটারের অবনতি যে লোকের রুচিবিকারের সঙ্গে সঙ্গে সাধিত হইয়াছে, এ কথা আর স্বীকার করি না। শ্ৰীযুক্ত ক্ষীরোদপ্রসাদ বিস্তাবিনোদ প্রণীত “প্রতাপাদিত্য” নাটকের অভিনয় দেখিলে আর সে ভ্রম থাকে না । ইহাতে ভাষার প্রতি অত্যাচার নাই, হিন্দীর মস্তকচৰ্কণের ঘটা নাই। নৃত্যগীতের আড়ম্বর বড় নাই। থিয়েটারে যেমন নাটক অভিনয় হওয়া উচিত, যেমন পূর্বে হইত, সেইরকম । অথচ লোকে লোকীরণ্য । প্রতি রাত্রে শত শত লোক স্থান না পাইয়া ফিরিয়া যায় । স্ত্রীলোকে পুরুষ সাজে ম৷ —কেবল একটি ছোট বালিকা বালক সাজে। স্ত্রীলোকে প্রতাপাদিত্য সাজিলে কেমন মানাইত ? এ কথায় যদি কেহ রাগ করেন, তাহ হইলে বলিব যে, স্ত্রীলোক যদি চৈতন্ত সাজিতে পারে, তাহা হইলে প্রতাপাদিত্য সাজিলে ক্ষতি কি ? যাহাই হউক, প্রতাপাদিত্যের অভিনয়ে কোনরূপ রীতিবৈপরীত্যের প্রয়োজন হয় নাই । তথাপি থিয়েটারে এত লোকসমাগম, এরূপ আগ্রহ, উৎসাহ ও সহানুভূতি অনেকদিন দেখিতে পাওয়া যায় নাই । যাহারা বহুকাল থিয়েটার দেখেন নাই, যাহারা ক্ষুব্ধ হইয়া সে পথ ত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহারাও প্রতাপাদিত্য দেখিয়া প্রীত হইয়াছেন। পেটিল্পটিসম্ প্রতাপাদিত্যের প্রধান আকর্ষণী শক্তি ; সে মোহিনী কতদিন থাকিবে বলিতে পারি না । কিন্তু সে মোহিনী উৎকৃষ্ট, না বিভ্রমবিলাসযুক্ত সঙ্গীতলাস্তের মোহিনী উৎকৃষ্ট ? অনেকে ।