পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলে জাগ মুক্তি দিয়ে ঘুম দিচ্চে। কোন "খা মাই—অথচ একরাশ কথা, কোন বিবয়ের সংলগ্ন বর্ণনা নাই—অথচ একএকটি কথাই একএকটি চিত্র। ঠিক নিয়মিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ গল্প শুনিতে হইলে বুদ্ধিকে বাধিয়া একদিকে চালাইতে হয়, আমাদের ছড়ার পাঠকগণের মনোযোগের উপর ততটা পীড়ন হইলে তাহারা ক্লাস্ত হইয়া ঘুমাইয়া পড়িবে – ভাই তাহাদের জন্ত মাতৃহৃদয় বসিয়া-বসিয়া এই সকল ছড়া প্রস্তুত করিয়াছিল । উহাতে কতকটা সত্যের অালো দেখাইয়া আবার তাহা কল্পনার কুহকে নিবাইয়া ফেলা হয়, শিশুবুদ্ধি আবার সেই আলোটুকুর জন্য হামা দিয়া খুজিয়া বেড়ায়—এইভাবে কৌতুহল জাগাইয়া ঐ সকল ছড়ার ভিতর পৃথিৰীট তাহাদের নিকট নানা বিচিত্র বর্ণে ফলিত হইয়া উঠে ; কোন মহাপণ্ডিত সহস্ৰ প্রতিভাবলে এই ছড়াগুলি নিৰ্ম্মাণ করিতে পারিতেন ন—ইহ। মাতৃস্নেহের অপু বি স্বষ্টি এৰঃ শিশু প্রকৃতিপোষণের একান্ত উপযোগী । এত যে অবাস্তর কথা, অসংলগ্ন প্ৰলাপ, তথাপি লক্ষ্য করিলে একটি জিনিষ ইহাদের প্রত্যেকটির মধ্যে প্রচুরপরিমাণে পাওয়া যায় -- তাহ খোকাবাবুর জন্ত মাতার ভালবাসা, কথাগুলির সর্বত্র সেই স্নেহাতুর शनरब्रग्न कक्रभाङ्ग हांब्रा नफिब्रॉtझ् । *'"$ानমুখে রোদ পড়েছে”—“খোকাবাৰু ক্ষিপ্ত হইয়া ঘরে এলেন, মা তপ্ত হধ, জুড়াইয়। খেতে দিলেন” প্রভৃতি কথায় নাম দিক হইতে একই চিত্র প্রকাশিত হইয়া উঠিতেছে— মেহের পুত্তলী যেন ঘুম ভেঙে উঠে ঢুলদুলে চোখে আমাদের কোলে ঝাপিয়ে পড়িবেন, এইরূপ একটি চিত্রের ভাব সৰ্ব্বত্র মনে হয় । বানর ষষ্ঠতলায় যে অপুৰ্ব্ব দৃপ্ত দেখিয়াছিল, তাহ পল্লীর পল্লবচ্ছায়ায় স্নেহসারে স্থিত শিশুগণকে শাস্ত করিবার জহু আবহমান কাল হইতে অবলম্বিত উপায়— স্নেহপূর্ণ হৃদয় সৰ্ব্বদেশে এই ডপায় অাবিস্কার করিয়া থাকে এবং দুধের বাটীর সঙ্গে সঙ্গে ইহারা ও বালক প্রকৃতি পোষণ করিবার জন্ত ঘরে ঘরে অাবস্তক হয় । ক্ষীরের পুতুলের গল্পে সেই সকল মনোহর ছড়া জীবন্ত হইয়। উঠিয়াছে। অবনীবাবু তাহ এমন কৌশলে গল্পে জুড়িয়া দিরাছেন যে, বহিখানিতে যেন শিশুদেহের একটা কোমল স্পশ ও স্নিগ্ধ গন্ধ ব্যাপিয়া আছে । “ক্ষীরের পুতুল’ স্থওরাণী ও হু ওরাণীর কথাসংক্রান্ত একখানি গল্পের বছি; ইহাতে অবনীবাবুর হাতের কয়েকখানি রঞ্জিত চিত্র আছে । ঐদীনেশচন্দ্র সেন ।