পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] সাহিত্যের তাদেশ । 88@。 হৃদয়ে ধৰ্ম্মবিশ্বাসের তন্ত্রীটার উপর সজোরে আঘাত দেয় । এইজন্ত আমাদের প্রাচীন সাহিত্য বিয়োগান্ত-পরিসমাপ্তির এত প্রতিকুলে। যে দুঃখ, স্বষ্টির শুভবিধান প্রতিপয় না করে, সেই ছঃথকে আমরা বড় ভয় করি, তাহা অামাদের অন্তরাত্মা কখনই সহ্য করিতে চায় না | যুরোপে গার্হস্থ্যস্নেহ আমাদের দেশের স্যায় বিকাশ পায় নাই । ছেলেটি-হইল সেখানকার লোক তাহাকে অপরের ক্রোড় কিংবা বোডিংগৃহে রাখিয়া নিশ্চিন্ত হয় ; স্ত্রীর সহিত সম্পর্ক নালিশ করিয়া ছেদন করে ; পিতা বয়ঃ প্রাপ্ত পুত্রের ভার বহন করেন না ; পুত্রের গুহ পিতা অ’পিয়া অ}হ:র করলে তা চাকে বিল-শোধ করিয়া যাইতে হয় ; পুত্র কে পানে কিংবা পোপকেটপেটলে পাঠাইতে তfহাদের ছভাবনার লেশমাত্র হয় ন; i দুর:BBB B DBBSBBS BSBS DYBB iহার গৃহের ভাবন একেবারে ভুলিয়া যা হারা যে পরিমাণে আ মুনি ভরপরiয়ণ, সেই পরিমাণে স্নেহকে হৃদয় হইতে দুরে রাখে ; সুতর। তাহদের হৃদয়ে কোমলতা জাগাইবার জন্ত তীক্ষুধার ছুরিকার প্রয়োজন । ইঃপকে অতিমাত্রায় ফলাইয় তাহার একটু বেদনাবোধ করিতে চাহে ; আমরা যtহাতে শিখরিয়া উঠি, তাহার। তাহtহত অল্পই উত্তেজিত হয়—এজন্ত বিয়োগাস্ত না হইলে কবিদের সাহিত্যিক চেষ্টা সিদ্ধ হয় না ; গৃহ তাহাদিগকে অমাবদ্ধ করিয়া রাখিতে পারে না, এইজষ্ঠ গৃহকে তাহার খাটি বলিয়া চিত্রিত করে-তাহাতে সুখদুঃখের তীব্রমদিরার শাবাদ কল্পনা করে। কিন্তু যাহাকে খাটি বলে, ಕ್ರ で。 |

  • !

يع " র তাহাই প্রকৃতরূপে তাহীদের নিকট মিথ্যা : কারণ উহ। তাহাদিগকে বাধিয়া রাখিতে পারে না । আর আমরা যাহাঁকে “মায়ণ’ ‘মিথ্যাপ্রভূতি আখ্যা দিয়া অস্বীকার করিবার চেষ্টা পাই, তাহ আমাদিগকে নিবিড় বন্ধনে জড়ীভূত করিয়া রাখে । আমরা মায়া বলিয়া যাহা হইতে পরিত্রাণ পাইতে চাই, খাটি বলিয়া তাহা আমাদিগকে ধরিয়া রাখিতে চাহে । দুই সমাজের এই শিক্ষা-দীক্ষণ— উদয়াস্তের দ্যায় দুই বিরুদ্ধ দিকে । ইহা ছড়া আর-একটা কথা আছে । অামাদের সাহিত্য উচ্চনীতি লক্ষ্য করিয়া" আসিয়াছে । যে দুঃখ চিত্তকে উন্নত না করিয়া শুধু বেদন দেয়, শুধু নিষ্ঠুরতা কি বৰ্ব্বরতাকে জীবস্ত করে, তেমন ছঃখ আমাদের সাহিত্যে বর্ণনীয় নহে । উত্তপ্ত লৌহ দ্বারা আর্থ্যরের চক্ষু-উৎপাটনের চেষ্টা, হামূলেটের পিতার নৃশংস হত্যা কিংবা হামলেটের শোকোম্মাদ, এই সকল দুঃখময় ঘটনা কেবল নিষ্ঠুরতা বা বৰ্ব্বরতাকে জাজল্যমান করিতেছে । শুধু স্বভাব-অঙ্কনের নামে উহ মাজনীয় নহে ; পশুজগতে যদি একটা স্বাভাবিক কবিত্বের উচ্ছাস থাকিত, তবে সেই গাথা মনুষ্যজগতে কাব্য বলিয়া পরিfচত হইবার স্পদ্ধা করিতে পারিত না । কিন্তু যে সকল দুঃখ সৎপ্রবৃত্তির উন্মেষ করে-- হৃদয়কে মহিয়সী শক্তি প্রদান করে, অামাদের প্রাচীন কবিগণ তাঁহাই বর্ণনীয় মনে করিয়াছেন । এই দুঃখপীড়িত সংসারে নানারূপ যন্ত্রণা উৎকটভাবে মনুষ্যসমাজকে নিরস্তর আক্রমণ করিতেছে—তাহার উপর সাহিত্যে আবার অনর্থক একরাশ দুঃখের স্বষ্টি