পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা '] শ্ৰেষ্ঠ কবির রচনাতেই তাহ দেখিতে পাওয়া যায়। একটি ভাব দৃষ্টাস্তস্থলে লক্ষ্য করা যা’ক । দুহিতুমেহ আমাদের দেশে কি কল্যাণী কবিতার স্বষ্টি করিয়াছে ! আগমনীসংবাদের সঙ্গীতে সারা বঙ্গ ব্যাপির চিরসঞ্চিত অপত্যস্নেহের ভাষা ফুটিয়া উঠিয়াছে তাঙ্গ কেমন পবিত্র, বেদনাতুর ও সরস ! শকুন্তলার আশ্ৰমত্যাগ হিন্দুগৃহে কস্তার স্থানটি কি, তাহ পরিষ্কাররূপে দেখাইতেছে—লতা যেরূপ একটা কুঞ্জের পাদপ গুলিকে জড়াইয়া-ধরিয়া তাঙ্গদিগকে স্নিগ্ধ করিয়া রাপে, সমস্ত গৃহটি সেইরূপ কহু,র নানা মাদর ও স্নেহ কপায় অপুরিত ও সুশীতল হইয়া থাকে । স্নেহ শেক্স্পীয়রের রচনায় অনেক শ্লেষ্ট কেমন উৎকট ভাবে দেখা দিয়tCছ । ডেসসডনন; সভ:স্থলে দাড়াইয়া নিল জল ভাবে লিল, “ আপনি আমার পিতা, আপনার প্রতি আমার কৰ্ত্তব্য আছে, কিন্তু এখানে সীমার স্বামী উপস্থিত । আমি fর ত{হার পিতার অপেক্ষ আপনাকে অনেক পেশা ভাল বাসিয়াছেন, BB BB BBBB BBBBS BBSBBS বসিতে প্ৰাধ ।” এই কস্ত: পিতালুক না ত! びアエ ই ই কে ও সেই-- আলs্য র্ত ই | দর স্ত্রীলোকের শাল তার অাদশ ভিমরূপ, পি স্তু পি তাকে ইহার অপেক্ষ, একটু বেশ &িরভাষণ কি ডেসডেমনার প্রকৃতির অধিকতর উপযোগী হইত না ? অস্তুত পিতৃদেহের সহিত স্বামিপ্রেমের একট। নিষ্ঠুর পরিমাপ পিতার সমক্ষে এরূপ গুৰ্ব্বিতভালে না করিলে বোধ হয় তাহদের হিসাবে ও শীলতার চিত্র উংকৃষ্ট ইহঁত ! কর্ডেলিয়া ভগ্নীগণের অতিরঞ্জিত নেহ প্রকাশে বিরক্ত হইয়া , পিতাকে কঠোর সাহিত্যের তাদেশ । 88 কথা বলিয়াছিলেন, কিন্তু সেখানেও ভাবী স্বামীর প্রীতির সহিত পিতার প্রতি ভালবাসার এরূপ অদথা তুলা না করিলে বোধ হয় চলিত । মুক্ত লজ্জ হইয়া পিতার নিকট স্বামীর ভাগবাসীর এরূপ তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বপ্রতিপাদনা বোধ হয় স্বভাবশাসিত কেশন সমাজেই অনুমোদনা করিবে না । আমাদের শত শত বন্ধু থাকিতে পারে, কিন্তু একজনকে মুপের উপর যদি বলিয়া ফেলি যে, অমুককে তোমার অপেক্ষণ আমি বেশ খাতির করি, তাঙ্গা কেমন বিসদৃশ শুনায় । স্ত্রীলোকের পক্ষে পিতাকে স্বামীর নিকট এরূপ প্রকাশুভাবে খৰ্ব্ব করিবার চেষ্টা শালতাকে কতদুর তা তক্রম করে, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় ন। । মপি ন চিকার প্রয়োজন মনে করিয়া ইহার বা স্যা দি ধর চেষ্টা হয়—সে ব্যাখ্যা কখনই গ্ৰiহ ই হবে না। কারণ নায়িকীর চিত্রে কালিমাiপন করিলে নাটকের প্রকৃত গৌরব নষ্ট C ‘. を হইয়া যায় । রেমি ও টাই বণ্ট কে হত্যা করিয়া নিকা সনদ ও দণ্ডিত হইল, এই স্বত্র উপলক্ষ্য ক রস, জুলিপ্লেট টাই বণ্ট ও রোমি ওর প্রতি স্নেহ তুল দণ্ডে মাপ ক{ করিতে বসিলেন এবং এই সিকা: স্ত উপস্থিত হইলেন যে, শত শত ভ্রাতার মৃত্যুজনিত শোক ও তা হার হৃদয়ে স্থান পাইল না । এইরূপ তুলনা গুলি এত অযাচিত ও প্ৰগলভ তাপূর্ণ যে, আমরা উহাতে স্ত্রীজনসুলভ শীলতার একান্ত অভাব লক্ষ্য করিয়া দুঃখিত হই । এতদ্বারা মনে হয়, তদেশীয় মহিলা কুল যে পরিমাণে স্বামীর বাহু আশ্রয় করিতে শিখিয়াছে, সেই পরিমাণেই পিতৃ