পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] নৌকাডুবি । ৪৬৭ গেল । ব্যাপারখান। কি, জানিবার জন্য ইন্দ্রজিৎ সৈন্য পাঠাইয়া দিলেন । পসৈনিক আসিয়া কহিল, ‘কুমার, ইহারাও আর-একটি বিবাহের যাত্ৰিদল । ইহারাও আমাদের স্বশ্রেণীর ক্ষত্রিয় অস্ত্রোদ্ধাহ সমাধা করিয়া বধূকে পতিগৃহে লইয়। চলিয়াছে। পথে নানা বিল্পভয় আছে, তাই ইহারা কুমারের শরণ প্রার্থনা করিতেছে আদেশ পাইলে কিছুদূর পথ ইহারা আমাদের আশ্রয়ে যাত্র। করে ” “কুমার ইন্দ্রজিৎ কহিলেন, ‘শরণাপন্নকে আশ্রয় দেওয়া আমাদের ধৰ্ম্ম ৷ যত্ন করিয়া ইহাদিগকে রক্ষা করিবে ।”

  • এইরূপে দুই শিবির একত্র মিলিত হইল ।

“তৃতীর রাত্রি অমাবস্তা । সম্মুখে ছোট ছোট পাহাড়, পশ্চাতে অরণ্য । শ্রাস্ত সৈনিকের ঝিল্লীর শব্দে ও অদূরবত্ৰী ঝরণার কলধবনিতে গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন । “এমন সময়ে হঠাৎ কলরবে সকলে জাগিয়া উঠিয়া দেখিল, মদ্রশিবিরের ঘোড়াগুলি উম্মত্তের ন্যায় ছুটাছুটি করিতেছে—কে তাহাদের’রজজু কাটিয়া দিয়াছে— এবং মাঝে মাঝে একএকটা তাবুতে আগুন লাগিয়াছে ও তাহার দীপ্তিতে আমাৰুত্রি রক্তিমবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে । “বুঝা গেল, দস্থ্য আক্রমণ করিয়াছে । মারামারি, কাটাকাটি বাধিয়া গেল—অন্ধকরে শক্ৰ-মিত্র ভেদ করা কঠিন । সমস্ত উস্থখল হইয়া উঠিল—দজ্যর সেই সুযোগে ইটপাট করিয়া অরণ্যে-পৰ্ব্বতে অশুদ্ধান কৰিল । “যুদ্ধ-অস্তে রাজকুমারীকে আর দেখা গেল না । তিনি ভয়ে শিবির হইতে ৰাহির হইয়া পড়িয়াছিলেন এবং একদল পলায়নপর লোককে স্বপক্ষ মনে করিয়া তাহদের সহিত । মিশিয়া গিয়াছিলেন । “তাহার। অন্ত বিবাহের দল । গোলেমালে তাহাদের বধুকে দস্থ্যর, হরণ করিয়া লইয়া গেছে । রাজকন্ত চন্দ্রাকেই তাহারা নিজেদের বধু জ্ঞান করিয়া দ্রুতবেগে স্বদেশে যাত্র। কfয়ল । “তাহার দরিদ্র ক্ষত্রিয় ; কলিঙ্গে সমুদ্রতীরে তাইশদের বাস । সেখানে রাজকদ্যার সক্তিত অন্ত্যপক্ষের বরের মিলল হইল । বরের নাম চেৎসিং । “চেৎসিংহের মা আসিয়া বরণ করিয়া বধূকে ঘরে তুলিয়া লইলেন । আত্মীয়স্বজন সকলে আসিয়া কহিল, ‘আহা, এমন রূপ ত দেখা যায় না ?” “মুগ্ধ চেৎসিং নববধূকে ঘরের কল্যাণলক্ষ্মী বলিয়া মনে মনে পুজা করিতে লাগিল । রাজকন্যা ও সতীধৰ্ম্মের মর্য্যাদা বুঝিতেন— তিনি চেংসিংকে আপন পতি বলিয়া. জানিয়া তাহার নিকট মনে মনে আত্মজীবন উৎসর্গ করিয়া দিলেন । “নবপরিণয়ের লজ্জা ভাঙিতে কিছুদিন গেল । যখন লজ্জা ভাঙিল, তখন কথায়কথায় চেৎসিং জানিতে পারিল যে, যাহাকে সে বধু বলিয়া ঘরে লইয়াছে, সে রাজকন্য ā!” ২৮ -- কমলা রুদ্ধনিশ্বাসে একান্ত আগ্রহের সহিত - জিজ্ঞাসা করিল—“তার পরে ?” میه