পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] বুঝিতে পারা যায়। কিন্তু বৌদ্ধ প্রচারক খ্ৰীষ্টানের দেশে বাস করিয়া বৌদ্ধমত প্রচার করিয়াছিল, এরূপ ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় মা । কাজেই বৌদ্ধ আচারামুষ্ঠান খ্ৰীষ্টানকর্তৃক অস্থঙ্কত হইয়াছে, ইহা বিশ্বাস झङ्काः क्षींश्व नः । কথাটা ঠিক । ঐতিহাসিক প্রমাণ ব্যতীত কোন ঐতিহাসিকু তথ্য নির্ণীত . হইতে পারে না । আমরা ঐতিহাসিক নহি । কিন্তু ঐতিহাসিকগণের মুখেই শুনিতে পাই, মহারাজ অশোক সিরিয়া, মিশর, কাইরিনি, এপাইরাস প্রভূতি যবনদেশে বৌদ্ধমতপ্রচারের জন্ত লোক পাঠাইয়াছিলেন ; পরবর্তী হিন্দু ও বৌদ্ধ রাজগণ গ্রীক ও রোমক নৃপতিগণের সভায় দুত পাঠাইতেন ; প্রাচ্যদেশের সহিত ভারতবর্ষের বহুদিন হইতে বিস্তৃত বাণিজ্যসম্পর্ক প্রচলিত ছিল ; যবন নরপতির ভারতবর্ষের সন্ন্যাসীদিগকে ধরিয়া স্বদেশে লইয়া ঘাইতেন ; বৰ্ত্তমান বিচারে এইগুলি ঐতিহাসিক প্রমাণ বলিয়া কেন গৃহীত হয় না, ঠিক্‌ বুঝা যায় না । খ্ৰীষ্টালি পরিত্রাণতত্বের মুলকথা, খোদার করুণ ব্যতীত পাপাত্মা মানবের মুক্তির সম্ভাবনা নাই, এবং তিনি মানবপ্রেমের বশীভূত হইয়া, স্বয়ং অবতীর্ণ হইয়া, স্বেচ্ছাক্রমে সমুষ্যের পাপেক্ষ ৰোঝা নিজের উপর গ্ৰহণ ক্ষরিয়াছিলেন । ধীশুখ্ৰীষ্ট তাহার অবতার এৰং তিনিই মন্থয্যের পরিত্রাণকর্তা বুদ্ধৰে ঈশ্বন্ধের অস্তিৰে ৰিখাস **न कोछ; लॉरें कक्रम, कॉइंब्रिख कब्र°ii মুক্তি । বৌদ্ধদেশে প্রবেশলাভ করিয়াছিল, ইহা । - છ૧૧ দ্বারা মহুষ্য আপন কৰ্ম্মফল হইতে । মুক্ত হইতে পারে, এরূপ বিশ্বাস , তিনি করিতেন না । একমাত্র জ্ঞানের পন্থী ভিঞ্জ । মুক্তির দ্বিতীয় পন্থা তিনি দেখান নাই। তৰে সেই পন্থ তিনি নিজে আবিষ্কার করিয়াছিলেন। তিনি মুক্তির পথপ্রদর্শক ছিলেন মাত্র ; মুক্তিদাতা বলিয়া আপনাকে প্রচার করেন নাই ; এবং পুনরুক্তির প্রয়োজন মাই যে, খ্ৰীষ্টানের পরিত্রাণ ও বৌদ্ধের নির্বাণমুক্তি একবিধ পদার্থ নহে । কিন্তু বুদ্ধ নিজে যে ক্ষমতার স্পৰ্দ্ধা করেন নাই, তাহার শিষ্যেরা তাহার প্রতি সেই ক্ষমতা অর্পণ - করিয়াছিল । তাহাকে জীবের করুণাময় পরিত্রাণকৰ্ত্ত বলিয়া নির্দেশ করিক্স ছিল । বুদ্ধগণের ও বোধিসত্ত্বগণের ও বুদ্ধশক্তিগণের শরণগ্রহণ ও উপাসন সংসার হইতে উদ্ধারপ্রাপ্তির সহজ উপায় বলিয়া নির্দেশ করিয়াছিল । এমন কি, বেীদ্ধের বুদ্ধমুখে বলাইয়াছিলেন, “কলিকদুষকৃতানি যানি লোকে, মন্ত্রি নিপতন্তু বিমুচ্যতাং তু লোকঃ” (তন্ত্রবাৰ্ত্তিক ১১৬১৩ —কলির বশে জীব যে সকল পাপকৰ্ম্মের অঙ্গুষ্ঠান,করে, সেই পাপের ভার আমার উপর পতিত হউক, জীব সেই পাপভার হইতে মুক্ত হউক—দয়াময় বুদ্ধে আরোপিত এই উক্তির সহিত দয়াময় ধীশুজীষ্ট্রের উক্তির অধিক প্রভেদ নাই। এই উক্তিকে খাটি খ্ৰীষ্টানি মত বলিলে অভু্যক্তি হইবে না । “আমি অতি দীনহীন, মুই অতি পাপী, প্রভু নিজগুণে দয়া করিয়া জামাকে উদ্ধার কর’—আধুনিক বৈষ্ণবেরা এ কখ আধুনিক ৰৌদ্ধের নিকট শিখিয়াছিলেন, মনে করা যাইতে পারে। বৌদ্ধসম্প্রদাৰ,