পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সংখ্যা । ] দিন ও রাত্রি । (t)(? তাহাতে ত কিছুই বিশ্লিষ্ট হইয়া যাইতেছে ন, জগৎ জুড়িয়া ত হাহাকারধ্বনি উঠিতেছে না, মহাকাশতলে বিশ্বের আরামেরই নিশ্বাস পড়িতেছে । দিবস আমাদের জীবনেরই প্রতিকৃতি বটে। দিনের অালোক যেমন আর-সমস্ত লোককে আবৃত করিয়া অামাদের কৰ্ম্মস্থান এই পৃথিবীকেই একমাত্র জজিল্যমান করিয়া তুলে –আমাদের জীবনও আমাদের চতুর্দিকে তেমনি একটি বেষ্টন রচনা করে, ' —সেইজন্যই আমাদের জীবনের অন্তর্গত যাহা-কিছু, তাহাই আমাদের কাছে এত একান্ত, ইহার চেয়ে বড় যে আর-কিছু আছে, তাহা সহসা আমাদের মনেই হয় না । দিনের বেলাতেও ত জমাকণশ ভরিয়া জ্যোতিষ্কলেণক বিরাজ করিতেছে, কিন্তু দেখিতে পাই কই ? যে আলোক মামাদের কৰ্ম্মস্থানের ভিতরে জলিতেছে, সেই আলোকই বাহিরের অন্যসমস্তকে দ্বিগুণতর অন্ধকারময় করিয়া রাখে । তেমনি আমাদের এই জীবনকে চতুর্দিকে বেষ্টন করিয়া শতসহস্ৰ জ্যোতিস্ময় বিচিত্ররহস্য নানা আকারে বিরাজ করিতেছে, কিন্তু আমরা দেখিতে পাই কই ? ধে চেতনা, যে বুদ্ধি, যে ইন্দ্রিরশক্তি আমাদের জীবনের পথকে উজ্জল করে, আমাদের কৰ্ম্মসাধনেরই পরিধিসীমার মধ্যে আমাদের মনোযোগকে প্রবল করিয়া তোলে, সেই জ্যোতিই আমাদের জীবনের বহিঃসীমার সমস্তই আমাদের নিকটে অগোচর রাখিয়। দেয় । - জীবনে যখন আমরাই কর্তা, যখন সংসারই সর্বপ্রধান, যখন আমাদের মুখ > • দুঃখচক্রের পরিধি আমাদের আয়ুকালের মধ্যেই বিশেষভাবে পরিচ্ছিন্ন বলিয়া প্রতিভাত হইতে থাকে, এমন-সময় দিন অবসান হইয়া যায়, জীবনের স্বৰ্য্য অস্তাচলের অন্তরালে গিয়া পড়ে, মৃত্যু আমাদিগকে অঞ্চলে আচ্ছন্ন করিয়া কোলে তুলিয়া লয় । তখন পেই-যে অন্ধকারের আবরণ, সে কি কেবলি অভাব, কেবলি শূন্যতা ? আমাদের কাছে কি তাহার একটি স্বগভীর ও সুবিপুল প্রকাশ নাই ? আমাদের জীবনাকাশের অন্তরালে যে অসীমত নিত্যকাল বিরাজ করিতেছে, মৃত্যুর তিমিরপটে তাহ কি দেখিতে দেখিতে আমাদের চতুর্দিকে আবিষ্কৃত হইয় পড়ে ন। * তখন কি সহসা আমাদের এই সীমাবচ্ছিন্ন জীবনকে অসংখ্য জীবনলোকের সহিত যুক্ত করিয়া দেখিতে পাই না ? দিবসের বিচ্ছিন্ন পৃথিবীকে সন্ধ্যাকাশে যখন সমস্ত গ্রহদলের সঙ্গে নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে ংযুক্ত করিয়া জানিতে পারি, তখন সমস্তটির যেমন একটি বৃহৎ ছন্দ, একটি প্রকাও তাৎপৰ্য্য আমাদের চিত্তের মধ্যে প্রসারিত হইয়া উঠে, তেমনি মৃত্যুর পরে বিশ্বের সহিত যোগযুক্ত আমাদের জীবনের বিপুল তাৎপৰ্য্য কি আমাদের কাছে অতি সহজেই প্রকাশিত হয় না ? জীবিতকালে যাহাকে আমরা একক করিয়া,—পৃথক্ করিয়া দেখি, স্বত্যুর পরে তাহাকেই আমরা বিরাটের মধ্যে সম্পূর্ণ করিয়া দেখিবার অবকাশ পাই । আমাদের জীবনের চেষ্টা, আমাদের জীবিকার সংগ্রাম यथन चकांस्ड श्ब्रां यांच्च, एछथन ८नहे नखैौद्ध নিস্তব্ধতায় আমরা আপনাকে অসীমেরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত দেখিতে পাই, নিজের ব্যক্তি