পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা । ] শত্রুপক্ষ বলিয়া জ্ঞান করে । ধৰ্ম্মকে তাহারা সংসার হইতে বহুদূরে স্থাপিত করে—পাছে ধয়সীমানার মধ্যে মানুষ আপন হাস্ত, আপন ক্ৰন্দন, আপন প্রাত্যহিক ব্যাপারকে, আপন জীবনের অধিকাংশকে লইয়। উপস্থিত হয় । সপ্তাহের এক দিনের এক অংশকে, গুহের এক কোণকে বা নগরের একটি মন্দিরকে ধন্মের জন্য উৎসগ করা হয় -বাকি সমস্ত দেশকালের সহিত ইহার একটি পার্থক্য, এমন কি, ইহার একটি বিরোধ ক্রমশ মুপরিস্ফুট হইয়া উঠে। দেহের সাহত আত্মার, সংসারের সহিত বঙ্গের, এক সম্প্রদায়ের সাইত অস্ত সম্প্রদায়ের বৈষম্য ও বিদ্রে হ ভাব স্থাপন করা হ, মগ্ন ব্যুধের মাঝখান গৃহবিচ্ছেদ উপস্থিত করাহ যেন ধর্মের বিশেষ লক্ষ্য হহয়। দাড়ায় । অথচ , সংসারে একমাত্র যাহ। সমস্ত বৈষম্যের মধ্যে ঐক্য, সমস্ত বিরোধের মধ্যে শাস্ত আনয়ন করে, সমস্ত বিচ্ছেদের মধ্যে একমাত্র যাহা মিলনের সেতু, তাহাকেই ধাম ব*: যায় । তাহী মস্থষ্যহের এক অংশে অবস্থিত হইয়। অপর অংশের সহিত অহরহ কcহ করে ন। -- সমস্ত মস্থ৭}তু তা হার আ স্তভূ ত – তাহাই যথাথভাবে মমুখjহের ছোটবড়, অগুর-বাহর সধ্বাংশের পুখ সামঞ্জস । সেহ স্ববৃহৎ সামঞ্জস্য ইহতে খচ্ছিন্ন হলে মহষ্যত্ব সত্য হইতে খলিত হয়, সৌন্দর্য্য হইতে ভ্ৰষ্ট হইয় পড়ে । সেহ অমোঘ ধমের আদর্শকে যদি গির্জার গণ্ডির মধ্যে নিধ্বসিত করিয়া-দিয়৷ অন্ত যে-কোনো উপস্থিত প্রয়োজনের আদর্শদ্বারা সংসারের ব্যবহার চালাহতে যাই, তাহাতে সৰ্ব্বনাশী অমঙ্গলের ধৰ্ম্মপ্রচার । QミQ স্বষ্টি হইতে থাকে । আপাতত ধৰ্ম্মের প্রয়োজন নাই, আপাতত সত্য অব্যবহার্য্য, কার্য্য উদ্ধার করিয়া লইয়। যথাসময়ে ধৰ্ম্মকে স্বীকার করিলেই চলিবে, এ কথা যদি আমরা স্পষ্ট না-ও বলি, প্রতিদিন কন্মের দ্বারা বলিয়া থাকি হাহার কারণ, ধৰ্ম্মকে আমরা আংশিক করিয়া, খণ্ডিত করিয়া, মুদুর করিয়া, সম্প্রদা সুগত, মন্ত্রগত, বিশেয-অনুষ্ঠান-গত করিয়া রাখি—তাহাকে পুজার বিষয় বলিয়া জt:ন, ব্যবহারের সামগ্রী বলিয়া মনে করি না । সংসারে যেমন এক একটি প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিবার উপযুক্ত একএকটি ভোগ্যবিষয় আছে, ধৰ্ম্মকে সেইরূপ ভক্তি প্রবৃত্তির বিলাসপরিতৃপ্তর উপযোগী ক্ষণকালীন ভোগায়োজন বলিয়াই জানি । সেই সময়টা বক্তৃতা, সঙ্গীত, মস্ত্রোচারণ প্রভৃতির দ্বার একটা ভগবাবেগ উৎপাদন করিয়া ধৰ্ম্মসাধন করিলাম বলিয়া একটা আরাম অনুভব করি এবং, পরক্ষণেহ সংসারে প্রবেশ করিয়া সেই ক্ষণিক সংযম, সেই ভক্তিবৃত্তির ক্ষণিক উদ্যমের শাসনপাশ হইতে নিস্কৃতিলাভ করিয়া সৰ্ব্ব প্রকার শৈথিল্যের মধ্যে আত্মসমর্পণ করিয়া থাকি । কিন্তু ভারতবর্ষের এ আদেশ সনাতন নহে । আমাদের ধৰ্ম্ম রিলিজন নহে, তাহা মনুষ্যত্বের একা শ নহে—তাহা পলিটিক্স • হই.ে৩ তিরস্কৃত, যুদ্ধ হইতে বহিস্কৃত, ব্যবসায় হইতে নিববাসিত, প্রত্যাঙ্গক ব্যবহার হইতে দূরবত্তী নহে । সমাজের কোনো বিশেষ অংশে তাহাকে প্রাচীরবদ্ধ করিয়া মানুষের আরাম-আমোদ হইতে, কাব্যকলা হইতে, জ্ঞান বজ্ঞান হহুতে তাহার সীমান-রক্ষণর