একাদশ সংখ্যা । ] দ্বারা আবর্তবেগে ঘূর্ণিত হইয়া সে আপনাকে আপনি বৃহৎ করিয়া স্বষ্টি করিতে থাকে ; অবশেষে যখন সে আপনার সীমাবিহীন পরিণামে আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন সে বিচিত্রকে অতিক্রম করিয়া আসিয়াছে বলিয়াই মহান একের সহিত তাহীর মিলন সম্পূর্ণ হয় । বাব। যদি না থাকিত, তবে সে বৃহৎ হইতে পারিত না—বৃহৎ না হইলে ষিরাটের মধ্যে তাহার বিকাশ পরিপূর্ণ হইত soi দুঃখ আছে - সংসারে দুঃখের শেষ নাই। সেই দুঃখের আঘাতে, সেই দুঃখের বেগে সংসারে প্রকাগু ভাঙন-গড়ন চলিতেcছ— হহাতে অহরহ যে তরঙ্গ উঠিতেছে, তাহার ক তই ধ্বনি, ক তই বর্ণ, কতই গতিভঙ্গিম। । মাজব যদি ক্ষুদ্র হইত এবং ক্ষুদ্রতাতেই মাস্থষের যদি Gশষ হইত, তবে দুঃখের মত অসঙ্গ ভ কিছুই হইতে পারিত না । এত দুঃখ ক্ষুদ্রের নহে ৷ মহন্তরই গৌরব দুঃখ । বিশ্বসংসারের মধ্যে মমুষ্যত্বই সেই দুঃখের মহিমায় মহীয়ান —মশ্র জলেই তাহার রাজ্যভিষেক হইয়াছে । পুম্পের দুঃখ নাই, পশুপক্ষীর দুঃখসীমা সঞ্চশর্ণ—মাজুধের ছুঃথ বিচিত্র, তাহা গভীর, অনেক সময়ে তাহ আiন ধ্ব৮লীয়— এই সংসারের মধ্যে তাহার বেদনার সীম। যেন সম্পূর্ণ করিয়া পাওয়া যায় না । এই দুঃখই মামুষকে বৃহৎ করে, মানুষকে আপন বৃহত্ত্বসম্বন্ধে জাগ্ৰত-সচেতন করিয়া তোলে, এবং এই বৃহুত্বেই মাস্থষকে আনন্দের অধিকারী করিয়৷ তোলে। কারণ, “ভূমৈব জখং, নময়ে সুখমাস্ত”--- অল্পে আমাদের মাননা নাই । বাছাতে আমাদের থৰ্ব্বত, মনুষ্যত্ব । - _* Q(量> আমাদের স্বল্পতা, তাহা অনেক সময়ে আমাদের আরামের হইতে পারে, কিন্তু তাহা আiমাদের আনন্দের নহে । যাহা আমরা বীর্যের দ্বার। না পাই, অশ্রুর দ্বারা না পাই, ধাহ অনায়ালের - তাই আমরা সম্পূর্ণ পাই ন—ঘুহিকে দুঃখের মধ্য দিয়া কঠিনভাবে লাভ * করি, হৃদয় তাহাকেই নিবিড়ভাবে, সমগ্রভাবে প্রাপ্ত হয় । মমুয,ত্ব আমাদের পরমতুঃখের ধন, তাহা বীৰ্য্যের দ্বারাই লভ্য। প্রত্যহ পদে পদে বাধা অতিক্রম করিয়া যদি তাহাকে পাইতে না হইত, তবে তাহাকে পাইল্পী ও পাইতাম না—যদি তাঁহা সুলভ হইত, তবে আমাদের হৃদয় তাহাকে সৰ্ব্বতোভাবে গ্রহণ করিত না । কিন্তু তাহ দুঃখের দ্বার। দুলভ, তাহ। মৃত্যুশঙ্কার দ্বারা দুর্লভ, তাহt.ভরदि*८भब्र दाब झर्लंड, डाशु नtनांङिभूथो প্রবৃত্তির সংক্ষোভের দ্বারা দুর্লভ । এই দুর্লভ মনুষ্য ত্বকে অজ্জন করিবার চেষ্টায় আত্মা আপনার সমস্ত শক্তি অনুভব করিতে থাকে । সেই অমুভূতিতেই তাহার প্রকৃত আনন্দ । ইহাতেই তাহার যখtথ আত্মপরিচয় । ইহাতেহ সে জানিতে পায়, দুঃখের উদ্ধে তাহার মস্তক, মৃত্যুর উদ্ধে তাহার প্রতিষ্ঠা । এইরূপে সংসারের বিচিত্র অভিঘাতে, দুঃখবাধার সহিত নিরস্তর সংগ্রামে যে আত্মার সমস্ত শক্তি জাগ্রত, সমস্ত তেজ উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিয়াছে, সেই আত্মাই ব্ৰহ্মকে যথার্থভাবে লাভ করিবার উদ্যম প্রাপ্ত হয়—ক্ষুদ্র জারামের মধ্যে, ভোগবিলাসের মধ্যে যে আত্মা জড়ত্বে আবিষ্ট হইয়া আছে, ব্রন্ধের আনন্দ তাহায় .নহে । সেইজন্ত উপনিষদ বলিয়াছেন— । “নায়ুমণ্ডয়া বলহীনেন লত্যঃ”—‘এই আত্মা