পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] সৌন্দৰ্য্যকল্পনা । ե Տ՝ বক্ষের অতিপীনতাসম্বন্ধে রাজা রাজেন্দ্রলাল বলিয়াছেন, বঙ্গদেশ ও উড়িষ্যার জলবায়ুর প্রভাবে শিলামূৰ্ত্তিতে যাহা সহসা অস্বাভাবিক বোধ হয়, প্রকৃত জীবনে তাহ প্রকৃতই স্বাভtবিক । কিন্তু রাজার মত স্বদেশের প্রাচীন কীৰ্ত্তিতে অসাধারণশ্রদ্ধাবান ব্যক্তিও নিতম্বের পৃথুতা, কটির ক্ষীণতা ও নয়নের অতিবিস্তৃতি সম্বন্ধে উড়িষ্যার শিল্পীর ক্রটি অস্বীকার করিতে পারেন নাই। . x: আবার উড়িষ্যার জলবায়ুর প্রভাব ও মহারাষ্ট্রদেশের পূর্বসীমার জলবায়ুর প্রভাব সুম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । অথচ উড়িষ্যার শিল্পসম্বন্ধে ষে সকল কথা বলা হইয়াছে, সে সকল অজণ্টণর গুহাচিত্রসম্বন্ধেও প্রযোজ্য । সেখানেও পুরুষচিত্রে অনাস্বাস স্বাভাবিকত। ও নারীচিত্রে সৌন্দর্য্যরচনার সচেষ্ট° চেষ্ট। পরিস্ফুট—সেখানেও নারীমূৰ্ত্তিতে উড়িষ্যার নারীমূৰ্ত্তিতে লক্ষিত বিশেষত্বসকল বর্তমান । সে সকল চিত্রেও নারীমূৰ্ত্তিতে নয়ন অত্যন্ত বিস্তৃত । ভারত গভমেন্টের আদেশে কোম্বাই শিল্পবিদ্যালয়ের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যক্ষ মিষ্টার গ্রিফিথস অজন্টাগুহা-চিত্রাবলী-সম্বন্ধে যে পুস্তক রচনা করিয়াছেন, তাহাতে তিনি .णिथिब्रां८छ्न-“An exaggeration of the femińiné-hip and breasts has cver been a snare to the Hindu sculptor, who seems to othink more of the conventional phrases of poetry than of the actuat form.” «i* .syssi f§ta; শিল্পী কি সুন্দরক্ষপে মানবহৃদয়ের শত ভাব "ख कब्रिब्राटइन । नििर्होम्न क्रप्रङाश অবিশ্বাস করিবার অবকাশমাত্ৰ নাই। কিন্তু সৌন্দৰ্য্যরচনার পরিস্ফুট চেষ্টায় "কল্পনা বাস্তবকে অবহেলে অতিক্রম করিয়া গিয়াছে । এই নারীমূৰ্ত্তিতে সৌন্দৰ্য্যবিকাশকল্পনার । প্রভাব ভারতে শিল্পীকে এমনই অভিভূত করিয়াছিল যে, পুরুষের দেহে সৌন্দৰ্য্যরচনাকালে তিনি দেহের গঠন নারীসুকুমার করিয়াছেন। প্রমাণস্বরূপে ভুবনেশ্বরের মন্দিরে কাৰ্ত্তিকেয়মুক্তির উল্লেখ করা যাইতে পারে । কীৰ্ত্তিকেল্পের অলঙ্কার, মাল্য ও বসন বিষয়ে শিল্পী অসাধারণ মনোযোগ দান করিয়াছেন ; কিন্তু দেবসেনাপতির দেহ নারীদেহেরই মত। - বাহু, চরণ, বক্ষ ও স্কন্ধ সবই পরিপূর্ণকোমল, মাংসল । শিল্পীর পক্ষে নারীদেহে সৌন্দৰ্য্যবিকাশের চেষ্টা এতই অভ্যস্ত হইয়া দাড়াইয়াছিল যে, নরদেহে সৌন্দর্য্যবিকাশের চেষ্টা করিবার সময় তিনি নারীদেহে অভ্যস্ত আদশই গ্রহণ করিয়াছেন—দেবসেনাপতির দেহে শক্তির ও পৌরুষের বিকাশের কথা বিস্কৃত হইয়াছেন । সাঞ্চী ও অমরাবতী উভয়স্থানেই উলঙ্গ পুরুষমূৰ্ত্তির গঠন সযত্নে বর্জিত, ভুবনেশ্বরেও নগ্ন পুরুষমুক্তির সংখ্যা অধিক নহে। " किरू এই তিন স্থানেই প্রায়-সকল মারীমুক্তি নগ্ন । শিল্পী যে স্থানে সৌন্দৰ্য্যস্থজনে ব্যস্ত, সে স্থানে আবরণ দিয়া তিনি সৌন্দর্য্যের সম্পূর্ণত ক্ষুণ্ণ করিতে অসম্মত ; শিল্পীর মানসকল্পিত সৌন্দর্য্যের আদর্শ কেবল “সৌন্দর্য্যের নগ্ন আবরণ” ধারণ করিয়া আপনার পূর্ণতা ও লাবণ্য নিঃসঙ্কোচে ব্যক্ত করিতেছে। এই সৌন্দৰ্য্যকল্পনার বিকাশ কেবল নারীমুভিতে —নরদেহে নহে !