পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यत्रभ*ाँन । [ ৩য় বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । আমরা ‘কৰ্ম্ম নামে অভিহিত করি। আর যে আন্তঃস্রোত অামাদের নিবিড় বিশ্রামের মধ্যে ও অবিশ্রাম বহিয়া চলিয়াছে, তাহার দিকে সহসা দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় না । মামুষ যখন গভীর চিন্তার নিমগ্ন, তখন সে সুপ্তমীন হ্রদের ছায় প্রতী মান হইতে থাকে। কিন্তু সে হ্রদের মৃত্যুকম্পন কখনও এ-কবারে তিরোহিত হয় না । চিস্তার সময়ে মস্তিক্ষের যন্ত্র অনবরত . ক্রিরা করিতে থাকে । নিদ্রার সময়েও সে ক্রিয়ার বিরাম নাই । স্বপ্নদর্শন ত নিদ্রার নিত্যসহচর। তদ্ভিন্ন হস্তপদাদিসঞ্চালন, পাশ্বপরিবর্তন এবং মশকনিবারণ প্রভৃতি হইতে জানা যায় যে, নিদ্রিতাবস্থার চৈতন্তের একেবারে বিলোপ হয় না । চৈতন্ত তথন ও ক্রিয়া করিত্বে থাকে । ঘুমন্তশিশুর হাসি এবং অভিমানশ্বরিতাধর দেখিলে মনে হয়, ঘুমের যেন একটি রাজ্য আছে । অক্সিা সেখানে জাগ্ৰত জীবনের পুনরভিনয় করিয়া হাসি ও অশ্রুর স্বষ্টি করিয়া থাকে । ইহা হইতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, কৰ্ম্ম এক জীবনব্যাপী সাধন। –জীবনে তাহার ইয়ত্তা নাই, শেষ নাই, বিনাশ নাই। কৰ্ম্ম জীবনের ধৰ্ম্ম । কৰ্ম্মমরই জীবন অথবা জীবনই কৰ্ম্ম । কৰ্ম্মশৃঙ্খলপরস্পরায় জীৱন গাথা ; কৰ্ম্মবন্ধনে জীবন বাধা ; এই কৰ্ম্মগ্রন্থি যেদিন টুটিয়া গেল, সেদিন জীবনের:গ্রন্থও সমাপ্ত হইল । অনস্তজীবনের কথা বলিতেছি না । পার্থিব জীবন এবং পার্থিব কৰ্ম্ম একই সময়ে শেষ হয় । স্বতরাং জীবন কৰ্ম্ম বই আর কি ? জীবনে কৰ্ম্মের বিশ্রাম নাই ; পূর্ণবিশ্রাম,—চিরবিশ্রাম মরণে । জীবন কি ? জীবজগতের উচ্চতম স্তর হইতে নিম্নতম স্তর পর্য্যন্ত, যে অবিচ্ছেদ্য জীবস্বত্র বিলম্বিত রহিয়াছে, তাহার প্রকৃত স্বরূপ কি ? এ প্রশ্ন চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রেরই মনে উদিত হয় । কিন্তু এ তত্ত্বের মীমাংস বড়ই কঠিন । হাৰ্বাট স্পেন্সার জীবনে’র সংজ্ঞা নির্দেশ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। তিনি বলেন—“বাহপ্রকৃতির সহিত অস্তঃপ্রকৃতির সামঞ্জস্তস্থাপনের নামই জীবন ৷” জীবজগতে এই সামঞ্জস্তস্থাপনের জন্ত বসতের সম কত সংগ্রাম । জীবন প্রসিত সংসারবিরাণর ( Environments ) NtųT şfstes - gwtRłąমিত হয় । শিশু যে মানসিক, নৈতিক এবং আধিভৌতিক অবস্থার মধ্যে তাহার দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করিয়াছে, তাহার প্রভাব সে জীবনে অতিক্রম করিতে সমর্থ হয় না । ফলত পারিপাশ্বিক অবস্থার দ্বারা জীবন গঠিত । তাহার সহিত চিরবৈরিতা করিয়া জীবন বহে না । যে কোন উপায়ে হউক, জীব তাহার অবস্থাকে, হয় আপনার অনুকুল করিয়া লইবে, না হয়, আপনাকে সেই অবস্থার অনুরূপ করিয়া তুলিবে । রোমে বাস করিতে হইলে যেমন রোমীয়দিগেল্প মত হইতে হয়, সংসারে থাকিতে হইলে,— বাচিতে হইলে, তেমনি সংসারের উপযোগী প্রকৃতি গঠন করিতে হইবে । নহিলে জীবন বহিবে কেন ? সংসারের উপযোগী ইইতে পারিল না বলিয়া যে অসংখ্য জীব বিলক্ষ্মপ্রাপ্ত হইয়াছে, পৃথিবী কেবল সযত্নে হৃদয়ের অস্তস্তলে তাহাদের স্মৃতি রক্ষা করিতেছেন । অতএব জীবনধারণ করিতে হইলে পারিপাশ্বিক অবস্থার সহিত অম্বুকুল সম্বন্ধ স্থাপন করিতে হইবে । কোন কোন জীবাণু এমন অৰস্থার মধ্যে ৰাস করে যে, সামান্স”চেষ্টা