পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] ७लाtय जाँदैनक भ्रूणशमान छभिलाग्न उँहात्र পাত্রমি এ সমভিব্যাঙ্গারে সময়োচিত বিনম্র আপ্যায়নে সাহিত্যিকবর্গের যেরূপ সদর অভ্যর্থনা সুসম্পন্ন করিলেন,তাহাতে কাহারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের অবসর রহিল না । গড়গড়ার উপর হইতে তাম্রকুটের কু গুলায়িত ধুমপুঞ্জ আকাশম গুলে সুগন্ধ বিস্তার করিয়া, বিনা বাক্যব্যয়ে জয়স্কন্ধীবারে’র সকল স্থানে আরাম-আনন্দের সুসমাচার প্রচারিত করিয়া দিল । বরেক্সের নতোন্নত পুরাতন পরীভূমি বহুদিন জনশূন্ত অবস্থায় পড়িয়া ছিল । সম্প্রতি সাওতাল পাহাড়িয়া প্রভৃতি কৰ্ম্মঠ কৃষক আসিয়া হলপর্ষণের স্বত্রপাত করিতেছে । তাহারা জয়স্কন্ধাবার হইতে সসন্ত্রমে দুরে দাড়াইয়া, তাহদের পৌতুহলপুর্ণ নয়ন সকল আলোকপুলকে "ঝলকিত” করিয়া তুলিতেছিল। কোন কোন সাহিত্যিক তাহাদিগকে পট্টবাসের মধ্যে টানিয়! আী নয়া যন্ত্র সাহায্যে তাহদের মাথ। মাপিতে প্রবৃত্ত হইবা মাত্র, তাহীদের সকল কৌতুহল এক অনিৰ্ব্বচনীয় বিভীষিকায় পরিণত হইয়া পড়িল । কাব্যামোদিগণ প্রভাতে পল্লীচিত্র সংগৃহীত করিবার আশায়, যন্ত্রগৃহ সুবিন্যস্ত করিতে ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। ঐতিহাসিক সম্প্রদায় পলীবাসিগণকে সস্নেহে প্রত্যভিবাদন করিয়া, বিচিত্র মানচিত্রের উপর রেখাপাত করিতে করিতে নfন স্থানের পরিচয় সংগ্ৰহ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। সে দৃপ্ত অনুভব করিবার,— অনুভব করিয়া বঙ্গসাহিত্যের গৌরব উপভোগ করিবার ;– তাহ। ভাষায় প্রকাশিত বরেন্দ্র ভ্রমণ } 8&ፃ করিবার লহে। সত্তাব, সদালাপ, সাধুংকল্প, উদ্যম, অধ্যবসায়, অপরাজিত উৎসাহ, যেন মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া দেদীপ্য यॉन ! - - যেখানে এই “জয়স্কন্ধাকার” এরূপ সুব্যবস্থায় সুসংস্থাপিত হইয়াছিল, তাহার নাম পলাশপাড়ী, থান গোদাগাড়ী, জেলা রাজসাহী । পলাশবাড়ীর অনতিদূরে এক দিকে পালপুর,—তাহfর উত্তরে পশ্চিমে এবং দক্ষিণে দুর্গপরিখার পুরাতন চিহ্ন এখনও সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হইয়া যায় নাই। তাহার নিকটে ধরমপুর ; তাহার ডাকনাম পালপুর, ধরমপুর, উপকণ্ঠ এখনও "মালঞ্চ” নামে কথিত হইয়া আসিতেছে । পলাশবাড়ীর একপাশ্বে যে খাড়িটি বৰ্ত্তমান, তাহা ক্ষুদ্র হইলেও, সুগভীর। তাহার উপর একটি সেতু ; তাহা উত্তীর্ণ হইলেই একটি পুরাতন পল্লী । তাহ এখন “দেওপাড়া’ নামে সুপরিচিত। দেওপাড়ার নাম সকল সভ্যদেশের সাহিত্যেই স্থানলাভ করিয়াছে ; সুতরাং তাহ। এক্ষণে জগদ্বিখ্যাত । এই খ্যাতির মূগ একখানি পুরাতন প্রস্তরলিপি । এই পল্লীটি এখনও একরূপ জনশূন্ত বলিলে অত্যুক্তি হয় না ; অৰ্দ্ধশতাব্দী পূৰ্ব্বে ইহার অবস্থা অারও শোচনীয় ছিল । ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে মেটকাফ, সাহেব এখানে যুগয়া উপলক্ষে উপনীত হইয়া, একটি বিস্তৃত সরোবর তীরে কতকগুলি প্রস্তরখণ্ডের মধ্যে একখানি প্রস্তরে একটি প্রাচীন লিপি খোদিত থাকা দেখিতে পাইয়া, তাহ। এসিয়াটিক সোসাইটিতে পাঠাইয়। দিয়াছিলেন । সে প্রস্তব-লিপি এখন