કરના কলিকাতার “যাদুঘরে” সযত্নে সুরক্ষিত হইতেছে। যে সরোবরতীরে এই পুরাতন প্রস্তরলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছিল, তাহ! এখনও বর্তমান আছে ;—এখনও তাহার জল তক্ তকু করিতেছে। এক পাশ্বে পদ্মবন সমুদ্ভূত হইয়া, তাহার স্বাভাবিক শোভা বৰ্দ্ধিত করিয়া তুলিয়াছে । এই সরোবরে অবতরণের জন্য সোপানবলী ছিল ; তাহা অদৃষ্ঠ হইলেও, তাহার স্থান-নির্দেশের সম্ভাবন তিরোহিত হর নাই । সাহিত্যিকবর্গ প্রত্যুষে শিবির ত্যাগ করিয়া, পদব্রঙ্গে এই সরোবরতীরে উপনীত হইব মাত্র, ইহার শোভা-সন্দর্শনে পুলকিত হইয়া উঠিলেন । “কব। মধুর সরসী শোভা। নিরমল পরিপূরিত জল, এহি কত কত ভ'তি কমল, অতুলিত অলি বলিত মঞ্জু গুঞ্জত চিতলোভা।” সরোবরট সুবিস্তু ত বলিয়াই কথিত হইতে পারে । তীপুভুমিতে পুর গুন প্রাসাদাবীর ধ্বংসাবশেষ ভূগর্ভে বিলীন হইয়া রহিয়া:ছ। উত্তর তীরে একটি সুবিস্তৃত ভূমিপণ্ডের সকল স্থানে ইষ্টকচি ; একটি স্থান "দরগ,” বলিয়া সুপরিচিত । কাহার “দরগা” কবে প্রতিষ্ঠিত হষ্টয়াছিল, কতদিন হইতে ভয় খুপে পর্যবসিত হইয়াছে, কেহ তাহfর সন্ধান প্রদান করিতে পারে না । মুসলমান-শাসন প্রবৰ্ত্তিত হইবার প্রবল প্রকোপের সময়ে যে সকল "দরগ?” গৌরবে আকাশে মস্তকোত্তোলন করিয়াছল, তাহার অনেক “দরগা”ই এখন এই পে ভূমি চুম্বন করিয়া, ক্রমে চিহ্নগীন হইয়া বঙ্গদর্শন । নfম বfরকে । { ১০ম বর্ণ, পৌষ, ১৩১৭ । পড়িতেছে । ইহাও সেইরূপ একটি জয়পরাজয়ের কীৰ্ত্তিচিন্ধু ;-কালের কঠোর শাসনের অসংfদগ্ধ নিদর্শন ! “দরগা” ছিল ; তাহার স্মৃতি এখন ও একেবারে বিলুপ্ত হষ্টয় পড়ে নাই। কিন্তু তাহার পূৰ্ব্বে কি ছিল, সে স্মৃতি একেবারে বিলুপ্ত হুইয়। পড়িয়াছে। কেবল একটি অতীত সাক্ষী স্মৃতিচিহ্ন “দরগা"র ধ্বংসাবশেষের পাশ্বদেশে নীরবে কালগণনা করিতেছিল । তাহ। এক পানি মসৃণ কৃষ্ণ প্রস্তর ;–সুবিন্যস্ত শিল্পকৌশলে স্বরচিত মকরযুগের ভগ্নাবশেষ । এখানে এক দিন এক দেবমন্দির ছিল, তাতার উপর “টরগা” উঠিয়ছিল ; এখন আবার “দরগা’র ধ্বংসাবশেষের উপর এক লিস্বরক্ষ জন্মগ্রহণ করিয়াছে । লে:কে তাহার ফ:োর উপর গুস্ত}পণ করে মা ; ভূপতিত তই লেণ, অঙ্গরণ করার জঙ্গ সাহস প্রকাশ করে না । এপ বীর এক হত ভাগা যুবক একটি ফল পাড়িতে গিয়। জা না পিসর্গুন পরিয়াছে ; তাঙ্গা র কথ। এখন ও পল্লীসমা দিকে সস্ত্র স্থ কfরয়। রাখিয়াছে ; পল্লি সিগণ যুপ কর তুর। কাজক্ষ। প্রতিনির ত্ত কfরতে চেষ্টা করিয়াfছল ;– যুবক ইংরাজ ;- সে ক{হ1রও কথায় কর্ণপাত না করিয়. যেমন তাঙ্গার বন্দুকের সাহায্যে ফল পাড়িপার উপ ক্রম কfরল, অমনি তfহার গুলি তাহারই মস্তক ভেদ করিয়া বাহির হইয়া গেল ! যুবকের হস্তভাগ্য বা রক্লে জীপনের কত অাশা লইয়। এদেশে আসিয়া, এইরূপে অকালে প্রাণ পিসর্জন করিয়াছিল । বারক্লে লেখকের সহিত মু।fরচিত
