পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] ছিল ;–এই গ্রামে এই সরোবর-তীরে তাহার আপন বন্দুকেই তাহার অকাল মৃত্যু সংঘটিত হইয়াছিল ;–এ সকলই সত্য কথা । কিন্তু এইরূপে এই চৈত্যরক্ষের ফলাহরণ করিতে গিয়াই যে দুর্ঘটনা সংঘটিত হইয়াছিল, তাহ। এখানে অসিয়া প্রথম অবগত হইলাম। কি জানি কেন,–একটি ফল লইয়া বারঃ ক্লর সমাধির উপর রাশিয়া আসিতে ইচ্ছা হইল ; কিন্তু বৃক্ষে তপন ফল ছিল না ! তাতার উদ্দেশে অজ্ঞা শুসারে একবিন্দু অশ্রু ঝরিয়া পড়িল ! সারালয়টির নাম “পদুম-সহর” । মপো আর ও দুইটি পুরাতন সরোবর আছে, —-এ কটির নাম “শীতল সহ র”, আর একটির “ওপৃসহর", স োবরের এরূপ নাম পল্লীর 과 지 অন্য কোন স্থানে প্ৰচলিত আছে fক না, জানি না। এ রূপ নামকরণের কারণ কি, কেহ তাহার সন্ধান প্রদান করিতে পারে না। “পদুম-সহরের” পূৰ্ব্ব তীরে এক বিস্তৃত ভূমিখণ্ড ; তাহার উপর দেয়। আধুনিক "রাজপথটি উত্তরাভিমুখে চলিয়া গিয়াছে। সেই পথের পুৰ্ব্বধারে—পথ হই তে অনতিদূরে— মেটকাফ সাহেব প্রস্তরলিপি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । লিপিটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত, পুরাতন বঙ্গাক্ষরে উৎকীর্ণ। তাহ এখন “বিজয়সেন-প্রশস্তি” বলিয়। সুধী-সমাজে সুপরিচিত । দক্ষিণাত্যের ব্ৰহ্ম ক্ষঞ্জিয়দিগের সুপরিচিত চন্দ্রবংশে বীরসেন প্রভৃতি কীৰ্ত্তিমানগণ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । সেই বংশে জন্ম ওীঃণ করিয়া, বিজয়ী বিজয়সেন এখানে একটি অত্যুচ্চ মন্দির নিৰ্ম্মিত করাইয়া, • বরেন্দ্ৰ-ভ্ৰমণ । 8૨૨ তন্মধ্যে হরিহর-মূৰ্ত্তির প্রতিষ্ঠা করিয়ছিলেন । এই সকল কথা রাজকবি উমাপতি ধরের রচনা-কৌশলে সুলিপিত, এবং "বাপেন্দ্রকশিল্পি-গোষ্টি চূড়ামণি রাণক শূলপাণি" কর্তৃক প্রস্তরফলকে উৎকীর্ণ হষ্টয়াছিপ। বিজয় সেন দেব সুবিখ্যাত বল্লালসেনের পি তা ; —সেন-রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ; –ৰ্তাহার रक्त ५] র্তা তার প্রতিষ্ঠিত এই দেবমন্দিরের কথা প্রস্তরফলকে যেরূপ ভাবে লিখি ত আছে, তাহল একটি ঐতিহাসিক প্রমাণ বলিয়া স্বীকুত হইলেও, অতিশয়ে।ক্তির আধার বলিয়। পরিচিত হইয়াছে । সেকালে এবং ক’লে,—কোন কালেই মানুষ অতিশয়োক্তির হাত হইতে সম্পূর্ণ পরিত্রাণ লাভ করিতে পারে নাই ; কখনও পরিবে বলিয়া ও বোধ হয় না। সেকালের অলিস্করিকগণের বিচারে অতিশয়োক্তি দোষ-পরিচ্ছেদে স্থান লাভ ক{বোর অলঙ্কার বলিয়াই বিবেচিত হইত। এখন এই বিজ্ঞান-যুগের রুচিবিবর্তনে তাহ দোযের মধ্যেই গণ্য হষ্টয়া পড়িয়াছে । এখন মাপকাঠি হাতে লই য়। রচনা-কর্য্যে হস্তক্ষেপ করিবার দিন পড়িয়াছে –একচুল ইও রবিশেষ হইলেই সৰ্ব্বনাশ! কিন্তু অতিশয়োক্তি যে অতিশয়োক্তি, তাহা ত বালকেও বুঝিতে পারিত । তবে সকালে তাহ। অলঙ্কার বলিয়। মর্য্যাদ। লাভ করিয়াছিল কেন ? তাহা একটি সাহিত্য-সমস্তা। সাহিত্যিকগণ তাহার মীমাংসার জন্ত সময় নষ্ট করিতে পাfরলেন ন। —সরোবরতীরে কোথায় সেই পুরাতন দেবমন্দিরের ধ্ব সাবশেষ ভূগর্ভে বিলীন جمة بوه করিত না,