পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা] একটু বেশীমাত্রায় ফুৰ্ত্তিৰাজ বলিয়। তাছাদের থ্যাতি ছিল । ব্যৰসায়ে বসিয়াও কলেজের সে আমোদ-প্রবণতা তাছাদের বিন্দুমাত্র হ্রাস পায় নাই। প্রমাণ-পূৰ্ব্বল্পজনীর অভিনয় দর্শন সম্ভোগ । থিয়েটারওয়tলাদের মধ্যে পরস্পর প্রতিযোগিত মিউনিসিপাল-আইন- প্রহসনে যতদিন না যবনিক পড়িতেছে, ততদিন বঙ্গীয় নাট্যশালার অভিনয়-দশকবৃন্দের এ দুর্ভাগ্য ঘুচিবার উপায় নাই। তাই প্রতি রবিবার এবং সোমবার প্রাতঃকালে বিবর্ণমুখ কোঠরগতাক্ষি, সুদীর্ঘ রজনীর ঘৰ্ম্মসিক্তবেশী থিয়েটার যাত্রীর দলকে, সুদীর্ঘকালের আসামীর স্থায়, অভিনয়-কার হইতে একে একে বাঙ্গির হইয়া আসিতে দেখি স্বাস্থ্যের বিনিময়ে অভিনয়-সম্ভোগ এ একমাত্র আমাদের মত হতভাগ্য দেশেই সম্ভবপর । কথাটা নেহাৎ *ধান ভানিতে শিবের গীত’ নয় ; আমার এ গল্পের সহিত ইহার একটু বিশেষ সম্বন্ধ আছে বলিয়াই, এটা একটু বেশী করিয়া বলিতে হইল । সে দিন প্রাতঃকালে মানাদি করিয়া দুই বন্ধু যখন আলিয়া ডাক্তারখানা খুলিল তখন তাহাঁদের উভয়েরই অবস্থা সমান,—শরীর অবসর, চক্ষু নিদ্রা কুর তার উপর, কম্পউণ্ডার ও সেদিন দিন বুঝিল্লী, অমুস্থ বলিয়! রিপোর্ট করিয়া কাজে আসে নাই । কাজেই সে দিনেয় দোকানের সব ভার রতনের স্কন্ধে পড়িল ; ললিত থাকিতে পারিল না,—ভবানীপুরে ডাক্তারখানাসংক্রান্ত একটা জরুরী কাজে কিয়ৎক্ষণ পরেই তাহাকে ছুটিতে হইল। এক রতন মুস্কিলে পড়িল । অফিসের এবং “a t tनदीं९-” 8bべ) ছোড়া কালীচরণটাকে ডাকিয়া লই কাজের একটু স্বসার করিবার চেষ্টা কৰিল -কিন্তু সে একটা অজ যব-চুর্ণ ; ঔষধ-চুর্ণাদি লইয়া, আহাৰ্য্য বিশেষে রূপাস্তরিত করিবার উপক্রম করিল ; কাজেই বাধ্য হইয়া তাঁহাকে বিদায় দিয়া রতন নিজেই সব কাজ করিতে লাগিল । বেলা যখন চারিটা, তখনও কাঞ্জের ভীড়ে তার জলযোগ করিবার সুবিধা ঘটিয় উঠে নাই,—এদিকে ঘুমের ঘোর ও তখন তাহাকে বেশ চাপিয় ধরিতেছিল । তারপরও একঘণ্টা কাটিয়া গেল—রতন শিব নেরে তন্দ্রাবিষ্টের মত কোন রকমে কাজ করিয়া যাইতে লাগিল । ৫ টার সময় আর সে চক্ষু মেলিতে পারিল না,—রক্তমাংসের শরীরে আর কত সয় ?—হাত পী ছড়াইয় অবসন্নভাবে একখান চেয়ারের উপর বসিয়া পড়িবে-এমন সময় দেবেন্দ্রনাথ তার প্রেসক্লপসনথান টেবিলের উপর রাখিয়া দিয়া বলিল—“ওষুধটা श्राभि निरब्रहे बाद ।। ७क मा इब्र दनहि” বলিয়, একথান চেয়ার টানিয়া লইয়া, কপালটা টিপিয়ু ধরিয়া বসিয়া পড়িল । রতনের তখনকার মনের ভাব সহজেই অমুমের । তবু সে প্রেসক্লপ সলখানা ধীরে ধীরে উঠাইয়া লইয়া, ল্যাবোরেটারীতে ঢুকিয়া ঘুম-বিজড়িত নেত্রে বহুকষ্টে ভাষ্কার পাঠোদ্ধার করিল। ঔষধের রকমারী বেশী ছিল না— এক সোডিয়ম ছাড়া হাতের কাছেও সবগুগ। ছিল । সোডিয়মটা দেয়ালে অtটা লক্ষ্মণ তক্তার উপর, অষ্টান্ত ঔষধের বোতলের সঙ্গে বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজানো ছিল ; তায় একপার্থে পিলিসিয়ম (Silicium) এবং অপর পাখে । st+fntzia ( Strychnine ) est sa stvi i