পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] किक छौबछ*ांtड ग्रटेिंद्र बिकांt* यांद्र७ একটা নিয়ম কাৰ্য্য করিতেছে । তাছার প্রভাব এই সংগ্রাম-নীতি অপেক্ষ কোন অংশেই কম নছে ;–বরং অনেকস্থলে ভtহার কার্য্যই প্রবলতর ৰোধ হয় । তাছাকে বলা যাইতে পারে—সহানুভূতি ও প্রেম; পরস্পরের সাহায্য ও মৈত্রী । অতি নিম্নতম কীট পতঙ্গজাতীয় জীব হইতে সভ্যতম মঠুষ্যসমাজ পৰ্য্যস্ত সৰ্ব্বত্রই এই সহানুভূতি প্ৰ মৈত্রীর ক্রিয় দেখিতে পা ওয়া যায় । মামুষের মধ্যে যাহা শ্রেষ্ঠ ও উৎকৃষ্ট, মানুষের ধৰ্ম্ম ৪ নীতি সকলই এই নিয়মের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত । পূৰ্ব্বোল্লিখিত গ্রন্থে ৯ প্রিন্স ক্রপটনি এই তত্ত্বটী অতি সুন্দর রূপে বুঝাইয়াছেন । প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা প্রধানতঃ এই সহানুভূতি, প্রেম ও মৈত্রীর ভিত্ত্বির উপরেই প্রতিষ্ঠি গু হইয়াছিল । মানুষে মাসুযে এই যে বিরোধ এই যে সংগ্রাম তাঙ্ক। অল্পবিস্তর অপরিত্যজ্য হইলে প্ৰ, এই নীতিকে সে যথাসম্ভব দূরেই রাথিতে পারিয়াছিল । প্রকৃতির মধ্যে সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের যে প্রবাঙ্গ বহিয়া চলিয়াছে, তাহা সে অতি পূৰ্ব্বকালেই অকুভব করিয়াছিল । তপোবন হইতে উপনিষদের যে উদাত্ত সঙ্গীত উঠিয়াছিল, তাছাতে এই ত্যাগ ও প্রেমের সুরই ধবনিত হুইয়াছিল । এই খানেই “হিমাচল পাদমূলে, শৈলজা রোহিণীকুলে’ ষে * অঙ্কিংলা পরমেtধৰ্ম্মঃ” ও বিশ্বমৈত্রীর বাণী বিঘোষিত হইয়াছিল, “আজি ও অৰ্দ্ধজগৎ ভক্তিপ্রণত চিত্তে’ তাহা গুলিতেছে । এই তাঙ্গার শাস্ত নিজন রাডিয়ার্ড কিপলিং ও রবীন্দ্রনাথ • P. Kropotkin’s “Mutual factor of Evolution.” aid—a 8ఫి: পরম সাম্যের ক্ষেত্রে দাড়াইম্বাই ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়াছিলেন— । আত্মৌপম্যেন সৰ্ব্বত্ৰ সমং পশুতি ঘোহজুৰ । সুখং বা যদি বা দুঃখং স যোগী পরমে মতঃ । ( গীত–৬৩২ ) এই মহা মিলন-মন্দিরেই আর্য্য ও অনাৰ্য্য, শক ও চুণ, তাতার ও তুর্কী সকলেই সমভাবে আলিঙ্গিত হইয়াছিল। কেবল এইখানেই রাষ্ট্র-নীতিতে অসির পরিবর্তে প্রেমের ব্যবহার প্রথম দেখা গিয়াছিল ; সম্রাটু অশোক প্রভুত্বের পরিবর্তে মৈত্রীর দিগ্বিজয় করিয়াছিলেন । এই ভারতীয় সাহিত্যেই স্বার্থ ও বিলাসিঙার পরিবর্তে ত্যাগ ও বৈরাগ্যের আনন্দ কীৰ্ত্তিত হইয়াছিল । সমাজে বর্ণাশ্রমধৰ্ম্মের (পরবত্তী কালের জাতিভেদ নয় ) প্রতিষ্ঠা দ্বারা উচ্চ-নীচ, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে অধিকায়-সাম্যেয় চেষ্টা কয়৷ ইয়াছিল । আজ—কেবল আঞ্জ কেন বহুদিন হইতেই—সে আদর্শ মলিন হইয়া গিয়াছে ; fকন্তু তাহ ধবংস প্রাপ্ত হয় নাই ;–ভস্মাচ্ছাদিত অগ্নি ফুলিঙ্গের হায় কেবল প্রকাশের অপেক্ষা করিতেছে । পাশ্চা ?) সভ্যতার এই যে ‘‘সংগ্রামনীতি”: —“যোগ্যতমের উদ্ধ ইনে”র আদশ, তাহ বিশেষরূপে পরিস্ফুট হইয়াছে, ইংলণ্ডের আধুনিক প্রধান কবি রাডিয়ার্ড কিপলিংএ কিপলিং imperialism এর মুখপাত্র-সৰ্ব্বপ্রধান প্রবক্তা বলিলেই হয় । তাছার গান ও কবিতায় তিনি মানুষের এই সংগ্রামবৃত্তি— প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছাই জাগাইয়া তুলিয়াছেন। রাষ্ট্রের জিগীষা ও ক্ষমতা-বিস্তারকেই রমণীয় আদর্শে চিত্রিত করিয়াছেন। ষে সাম্যের আদর্শ সৰ্ব্বষধ সমাজনীতি ও ধর্ণনীত্তির মূল