পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭છે. সংখ্যা J. - সমাজে আসিয়াছিলাম। কোনও দিনই ব্রাহ্ম সমাজের লোকমতকে সেই সত্যের আসনে প্রতিষ্ঠিত করি নাই। দেবেন্দ্রনাথের মতকে সংকীর্ণ ও কেশবচন্ত্রের সিদ্ধান্ত ও সাক্ষ্যকে কল্পিত বলিয়া ছাড়িয়া আসিয়া, বিদ্যা-বয়সসাধন-ও-চরিত্র-গত উৎকর্ষপকর্ষ-নিৰ্ব্বিশেষে ব্রাহ্মসমাজের অধিকাংশ সভ্যের মতামতকে সত্যের প্রামাণ্যরূপে গ্রহণ করাতে, আর কারে! ব্রাহ্মধৰ্ম্ম রক্ষ পাইতে যদি পারে, পারুক ; আমার ব্রাহ্মধৰ্ম্ম রক্ষণ পায় বলিয়া বিশ্বাস করি নf । প্রথম যৌবনে স্বাচুভূতির খাতিরে সনাতন শ্রীতি ও প্রাচীন স্মৃতির প্রামাণাকে বজ্জন করিয়াছিলাম । আজ শ্রীতি ও স্বানুভূতি উভয়কে ভাসাইয়া দিয়া, পঞ্চাশ ঘাটবৎসরের স্মৃতিকে ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা ও প্রামাণ্যরূপে গ্রহণ করিতে পারি না । যারা এ পথে, এই ভাবে, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের শুদ্ধত রাখিবার জষ্ঠ চেষ্টা করিতেছেন, র্ত{হাদেরই হাতে রামমোহন-প্রবৰ্ত্তিত সমাজের অপঘাতযুতু্যু ঘটিতেছে। এ মরণকে যে আলিঙ্গন করিতে চাচ্ছে না, সেই ষে ব্রাহ্মসিদ্ধা স্তকে বজ্জন করিতেছে, এরূপ অনুমান সঙ্গত নহে । যেখানে জীবন, সেইখানেই গতি ও বৃদ্ধি। যেখানে বিকাশ ও স্মৃত্তি, সেইখানেই পারবৰ্ত্তন । সুতরাং পরিবর্তনকে ভয় করিলে, মৃত্যুকেই আলিঙ্গন কয়িতে হয়, অমৃতের পথে চলা যায় না । স্বাভিমতের হাত ধরিয়া, স্বাধীনতার ও সত্যের সন্ধানে, প্রথমযৌবনে ব্রাহ্মসমাজে আসিয়াছিলাম। ক্রমে শুদ্ধ স্বামুভূতির উপরে ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হয় না দেখিয়া, সদগুরুর আশ্রয়লাভ করিয়া, তারই কৃপায়, ধীরে -ধীরে সার্থক শাস্ত্রেরও আশ্রয়লাভ করিতেছি। ঐস্ত্রীকৃষ্ণতত্ত্ব 8Sፄ একদিন ভাবিপ্নাছিলীম কেবল আমি যাহাকে সত্য ভাবি, তাহাঁই বুঝি সত্য। এখন দেখিতেছি, আমার স্বাভিমত সত্যের একদিক্‌ মাত্র প্রকাশিত করে । আমার স্বাভিমতের সত্যাসত্যের কষ্টিপাথর বিশ্বজনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা । এই সঞ্চিত অভিজ্ঞতারই নামস্তর শাস্ত্র । আর এই শাস্ত্রেয়ও সত্যাসত্যের কষ্টিপাথর আছে । সে কষ্টিপাথর সাধনাভিজ্ঞতাসম্পন্ন, তত্ত্বদশী সদৃগুরু। এই তিনের কেহই স্বতন্ত্র ও স্বপৰ্য্যাপ্ত নছেন। শাস্ত্র গুরুবাক্যকে স প্রমাণ করে। গুরু শাস্ত্রবাক্যকে সার্থক করেন । আর স্বাভিমত শাস্ত্র ও গুরু উভয়কে সংপ্ৰমাণ করে। গুরু গ্ৰহণ করিয়া স্বাভিমতকে বর্জন করি নাই, তাহাকে সত্যেতেই প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি । শাস্ত্রকে মৰ্য্যাদা দিয়া গুরু এবং স্বামুহুতির প্রামাণ্যমৰ্য্যাদা নষ্ট করি নাই, বরং দৃঢ় করিয়াছি। যে পথ ধরিয়া প্রথম যৌবনে ব্রাহ্মসমাজে আসিয়াছিলাম, সেই পথেই গুরু পাইয়াছি, শাস্ত্র পাইতেছি । কুলগুরু ছাড়িয়া সঙ্গগুরু পাইয়াছি। কুশাস্ত্র ছাড়িয়া মুশাস্ত্র পাইয়াছি । মানস-কল্পনাকে ছাড়িয়া বিশুদ্ধ স্বামুভূতির সন্ধান পাইতেছি । কিম্বদন্তি প্রতিষ্ঠিত, প্রাণহীন কৃষ্ণোপাসনা ছাড়িয়া, গুরুকৃপায়, অতি অকিঞ্চল এবং অকৃতি হইয়াও, ধীরে ধীরে পরমতত্ত্ব কৃষ্ণতত্বের আভাস পাইতেছি। জীবন মাত্রেই গতিশীল । গতিমাত্রেই পল্লিবর্তন আনে। বাচিয়া থাকিলেই চলিতে হয় । চলিতে গেলেই ঘাটীর পর ঘাট পার হইয়া शाङ्गे८ङ इब्र । मिठांख खफ़र ७धांखिं न इ३८ण, জীবমের প্রত্যক্ষ পরিবর্তন-জোতের বাছিয়ে *क्लिव्र थारु नख्य इब्र नौं । औषम कठ