পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাও বাহাদুর সর্দার সংসারচন্দ্র পঞ্চম পরিচ্ছেদ দুর্ভিক্ষকমিশনের কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া মন্ত্রিবর কান্তিচন্দ্রকে ভারতের নন:স্থানে কমিশনের বৈঠকে যোগদান করিতে হইয়:ছিল। এই কার্য্যের জন্য নাগপুরে অবস্থান কালে ১৯০১ সালের ১৪ই জানুয়ারী তিনি স্বৰ্গারোহণ করেন। যে কৰ্ম্মক্ষেত্রে এই সুযোগা বঙ্গ দস্তান বহুবর্য ধরিয়া অসাধারণ দক্ষতার সহিত রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিয়াছিলেন— সেখানে তাহার অভাব সম্যক্ আমু তৃত হষ্টতে লাগিল। এই বৎসর এপ্রেল মাসে মহারাজ সংসারচঞ্জকে মন্ত্রি-সভার বৈদেশিক বিভাগের অন্ততম সদস্তপদে মনোনীত করিলেন । কেন্সিলের বৈদেশিক বিভাগের (Foreign Department ) কাৰ্য্য বিশেষভাবে ভারতগভর্ণমেণ্ট ও অন্তান্ত দেশীয় রাজ্যের সঠিত সংস্থষ্ট এবং রাজ্যের সাধারণ ব্যবস্থার ভার ও এই বিভাগের উপর অর্পিত। কাজেই rথম হইতেই রাজ্যশাসন-কার্য্যের প্রধান ভার ংসারচন্দ্রের উপর পড়িল । সংসারচন্দ্র যখন কৰ্ম্মভার গ্রহণ করেন, তথন, জয়পুররাজ্যের বড় দুঃসময় চলিতেছিল। উপর্য্যুপরি কয়েক বৎসর অনাবৃষ্টি হওয়ায় ভীষণ দুর্ভিক্ষের প্রকোপ প্রজাবুন তখনও সামলাইয়া উঠিতে পারে নাই। প্রজাবৎসল মহারাজ মুক্তছন্তে প্রজাদিগকে गाशषा कब्रिग्न उ|इनिशष्य शृङ्ग्राभूष श्रेष्ठ রক্ষা করিতেছিলেন। ইহার উপর আবার রাজ্যে মঙ্গমারী প্লেগ দেখা দিয়াছে। গঙ্গোত্রী হইতে ফিরিয়া অবধি সংসারচন্দ্রের স্বাস্থ্যভঙ্গ হইয়াছিল। এই সকল নানা কারণে সংসারচন্দ্রকে প্রথম বৎসরে বিশেষ কষ্ট পাষ্টতে ইইয়াছিল। কৰ্ত্তব্যfনষ্ঠ সংসারচন্দ্র কিন্তু অবিশ্রাস্ত পরিশ্রম কfরয় রাজ্যে ও রাজকার্য্যে শৃঙ্খলা স্থাপন করিয়া লইলেন। ১৯৯১ খৃষ্টাব্দে সৰ্ব্বজনপিয়া প্ৰাতঃস্মরণীয়া ভারতসাম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া স্বৰ্গারোহণ করিলেন। ভারত সম্রাট্র সপ্তম এডবার্ডের সিংঙ্গাসনারোহণ-উৎসবে যোগদান করিবার জন্ত ১৯৯২ সালে জয়পুরাধিপতি ইংলণ্ডে যাইবার নিমন্ত্রণ প্রাপ্ত হইলেন। স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ হিন্দু নরপতির 'বলাত-গমন এক অভিনব ঘটনা— শুধু জয়পুরের কেন সমগ্র ভারতের ইতিহাসে ইহ নূতন । হিন্দুর চির-ক্ষুণ্ণ পথে চালিত জয়পুররাজ্যের জনসাধারণ এ প্রস্তাবের বিপক্ষে, কেবলমাত্র সংসারচন্দ্রই এক এ বিষয়ে মহারাজের সহায় । তিনি শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদিগকে একত্র করিয়া যে যে কারণে বর্তমানকালে সমুদ্রগমন নিষিদ্ধ, সে সমুদায় নিরীকরণ করলে এ যাত্রার কোন শাস্ত্রসঙ্গত বাধা আছে কি না জানিতে চাহলেন । ভারপর, বহু আলোচনার পর প ওত-বর্গের মত গ্রহণ করিয়া সংসারচন্দ্র মহারাজের বিলাতগমনের ব্যবস্থা করিতে লাগিলেন। নব নিৰ্ম্মিত একটি সমগ্র জাহাজ ভাড়া লওয়া লইল—