পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বন্দনাদি সাৰ্ব্বভৌম তৎক্ষণাৎ সেই প্রসাদ তক্ষণ করিলেন। গেীর প্রী ত হইয়। তাঁহাকে আলিঙ্গন করিলেন । সাৰ্ব্বভৌম একদিন নিম্নলিখিত বন্দনাশ্লোক দুইটি জগদানন্দ দ্বারা গৌরসমীপে প্রেরণ করিলেন । বৈরাগাবিদ্যা-নিজ ভক্তিযোগশিক্ষার্থমেকং পুরুষ: পুরাণঃ । শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত শরীরধারী কৃপাম্বুধির্যস্তমহং প্ল পষ্ঠে ॥ ১ নক্ষত্র-পূজা ©ዓ© কালাশ্লষ্টং ভক্তিযোগং নিজং যঃ প্রাদুষ্কৰ্ত্তম কৃষ্ণচৈতন্তনামা । আবিভূর্তস্তস্ত পদারবিন্দে গাঢ়ং গাঢ়ং লীয়তাং চিত্তভূঙ্গ ॥২ মুকুন্দদন্ত গৌরের নিকট পত্রী পৌছিবার পূৰ্ব্বে ভিত্তি-গাত্রে লিখিয়া রাখিয়াছিলেন। তাই শ্লোক ইট আজিও ভক্তের মুখে মুখে উচ্চারিত হইতেছে । গেীর শ্লোক দুইটি পাইয়াই ছিড়িয়া ফেলিলেন। ( ক্রমশ ) ক্রীতারকচন্দ্র রায় । নক্ষত্র-পূজা অতি প্রাচীনকালে আসভা অবস্থায় কি আর্দ্য কি তুর্ক কি স্ট্রি মানবমাত্রেই নক্ষত্ৰ * ইষ্ট সহজেই উপলব্ধি হয় । নিশার ঘের অন্ধকারে ভয়াকুল, কিং জন্থর গর্জনে কম্পবান বনবাসী আদি পুরুষ গণের ভয়ত্রী তা পিত! সূৰ্য্য ভিন্ন আর কে ছিল ? শীতে কাতর বনবাসীর দছে তাপসঞ্চার করিতে “প্রাচীন নক্ষত্র” ব্যতীত কে সক্ষম ছিল ? চন্দ্র ও তারাগণের বিমল জ্যোতি মানবের শ্রান্তচিত্ত দিনাস্তে যেমন স্নিগ্ধ করিতে পারে, তেমন স্নিগ্ধকর মোহিনীশক্তি আর কাহার ও নাই । “সবিতা স ত্যধৰ্ম্মা” উদিত হইলেই বনবাসীর ভয় দূর হুইত, দেহে তাপের সঞ্চার হইত বনবাসী আহার-সংগ্রহে সাহসী হইতেন। দৈনিক পৰ্য্যটন অস্তে সুিহুদি কি চীনেম্যান পূজা করিত ।

  • চন্দ্রস্বর্যাদি নক্ষত্র ।

নৈশ নভোমণ্ডলের মুবিমল জ্যোংস্নায় বনবাসী শ্রী স্ত চিত্ত, ক্লান্ত দেহ স্থস্নিগ্ধ করিতেন । কাজেই তিনি কৃতজ্ঞতার বশে ভক্তির চক্ষে নক্ষত্র দর্শন করিতেন । ক্রমে নক্ষত্র তাহার ভয় হৰ্তা পিতা ও শান্তিদাত্রী মাতা হইলেন । প্রাণ ও রয়ি আদি বনবাসীর পিতা মাতা হইলেন । সবি ও জগতের পাণ, চন্দমা জগতের রয়ি । উভয়ে কৃতজ্ঞ বনবাসীর চিত্তপুত্তলিকা হইলেন। সবিতা ঈগল পক্ষী, শকুনি, রক্তবর্ণ চক্ৰবাক, হংসাদির দ্যায় বিমানে উড্ডীন হয় বলিয়া গরুত্বান, শকুনি, লোহিত পক্ষী ও হংস উপাধি পাইলেন । সবিতা প্রকাণ্ড মহিষের বীরদপে বরাহের অটলবিক্রমে অগাধ পারাবার-বারি হইতে উখিত হয় । সবিতা ঘনঘটী-গর্জন সহ সিংহের লম্ফে লম্ফে উদয়গিরি আরোহণ করে । সিংহের চক্ষুর মত সবিতা মুহূর্তের জন্যও মুদিত হয় না। তাই