পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] · ஆ81 ৪১১ মজিয়া আপন জ্ঞানে আপন বাথানি । রোগে শোকে ভাবি ডরে জন্মি নই মৃত্যু তরে – যদিও এ জন্ম-মৃত্যু কেন নাছি জানি ! জনি—মন: প্রাণ দেঙ্গ - নহে আপনার কেহু – তোমারে তে মারি দান দিতে অভিমানী ! দও প্রেম-আরো প্রেম, চির-প্রেমময় ! আরো জ্ঞান, শু রো শুক্তি, আরো আত্মজয়-শক্তি— তোমার ইচ্ছায় কর মোর ইচ্ছা লয় । জীবন-মরণ-পানে ব’হে যাব স্বরে গানে, হোক্ প্রেমামৃত-পানে অমর হৃদয় ! ক্ষম” এ ক্রনন-গীতি—শোক-অবসাদ ! সে ছিল তোমারি ছায়! — তোমাfর প্রেমের মায় ! তার স্মৃতি আনে আজ তোমারি আম্বাদ ! এখনো সে যুক্ত করে মাগিছে আমার তরে— তোমার করুণ-স্নেহ শুভ-আশীৰ্ব্বাদ । এই দুইট কবিতাই এক রূপ একই বিষয়ে, একই উপলক্ষে রচিত । দুইটীতেই মানবপ্রাণের একটা গভীর প্রার্থনা, মানবমনের একটা গভীর সমস্তা, মানবহৃদয়ের কতকগুলি গভীর ও জটিল রসকে অভিব্যক্ত করিবার চেষ্ট হষ্টয়াছে । টেনিসনের কবিতাটা পূর্বে রচিত, অক্ষয়বাবুরট পরের লেখা । অক্ষয়বাবুর কবিতার দু’একটি স্থানে মনে হয় যেন টেনিসনের একটু ছায়া আসিয়া পড়িয়াছে। ছে দেব, মঙ্গলময়, মঙ্গল-নিদান ! তোমারে হেরিনি, প্ৰভু, বিশ্বাস করি হে তবু— সৰ্ব্বজীবে, সৰ্ব্বকালে দাও পদে স্থান।