পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 e وl\ পশ্চাতে ধাবমান হইলেন। কিন্তু গাড়ীতে উঠিখার চেষ্টা করিবামাত্র ষ্টেশন-মাষ্টার চীৎকার করিয়া উঠিলেন “হুঁ, ই, খবরদার চলতি গাড়ী মে মত চঢ়ে৷ ” ষ্টেশনমাষ্টারের ইঙ্গিতে একজন কুলি শেঠজির কোমর ধরিয়া সজোরে ঝুলির পড়িল । শেঠজি সশবে প্লাট ফৰ্ম্মেয় উপর পড়িয়া গেলেন । খা সাহেব বিশুদ্ধ পারস্ত ভাষায় আপনার দূরদৃষ্ট, “কাহার" গণের নিবুদ্ধিতা, এবং শেঠঞ্জির “সন্ধুতানি” সম্বন্ধে আলোচনা করিতে করিতে টেলিগ্রাম করিবার জন্ত ক্ষুণ্ণমনে “তার ঘরে” প্রবেশ করিলেন । হাকিম সাহেব ও হাজি সাহেব নিজ নিজ আসনে পুনরাসীন হইয়া উভয়েই দুঃখের সহিত বলিলেন যে গাড়ীতে ভদ্রমহিলার “আবরু* রক্ষী হওয়৷ এক প্রকার অসম্ভব । মৌলভি মহুম্মদ মির্জা সাহেব কহিলেন "ইহার একমাত্র উপায় আছে। আমার “ওয়ালিদ” ( পিতা ) বরাবর সেই প্রথা অবলম্বন করিয়া আপিয়াছেন এবং আমি ও এ বিষরে সেই পন্থারই অনুসরণ করিয়া আসিতেছি । আমাদের বাড়ীর স্ত্রীলোকদের কোথাও যাওয়ায় প্রয়োজন হইলে আমর! একখানি করিয়া c&ITM VEeIB slföt ( coal truck ) আনাইয়া লই । তাহারই উপর বেহারার ঘেরা টোপ’ দেওয়া পান্ধী সমেত স্ত্রীলোকদের উঠাইয়া দেয় । যেখানে নামাইবার প্রয়োজন বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩২০ হয়, সেখানে পান্ধীসমেত নামাইয়া লয়। ইছাতে ২• •॥১ • • খরচ ছয় বটে, কিন্তু এরূপ না করিলে কিছুতেই ইজ্জত থাকে না ।” মির্জ। সাহেবের অদ্ভুত আবিষ্কার-কাহিনী শ্রবণে মুগ্ধ হাকিম ও হাজি সাহেব কছিলেন “बाझ्बा ! हेप्प्न श्रा” स्न बश्ड. श् िउभूमा তরিকা ( কৌশল ) নিকাল । সাবাল!” মির্জা সাহেব বলিলেন আমাদের “খানদানে” ( পরিবারে ) ইজ্জতের খেয়ালট বয়াবরই খুব বেশী । একবার আমার “চাচ” প্রসবকালে কিছুতেই প্রসব হইতে পারেন না। প্রতিবেশীরা সকলেই আপিয়া ধরিল একবার ডাক্তার সাহেবকে আনান ইউক, নহিলে জীবন-সঙ্কট । কিন্তু আমার চাচা কিছুতেই বিচলিত হইলেন না। তিনি গম্ভীর ভাবে বললেন “জানসে ভি ইজ্জত বড় ; জান যায় পো কবুল, কিন্তু আমি “বেইজ্জতি’ হইতে দিব না ! চাচী মারা গেলেন, তথাপি চাচা নিজের ইজ্জত নষ্ট হইতে দিলেন না | দীর্ঘশ্মশ্র ৪ জুলিসাহায্যে আলোড়িত করিরা ছাঞ্জি সাহেব বলিলেন “আলবৎ । ইজ্জতকে খেয়াল এইসাই হোন চাহিয়ে ।” গাড়ী নওয়াদা পৌছিল। টেলিগ্রাম পাইয়া টিকিট কলে স্টর আসিয়া শেঠক্তির মোট এবং খ সাহেবের রোদনরত ৰিৰি সাহেবকে নামাইয়া লইল । ঐযতীন্দ্রমোহন গুপ্ত।