পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা ] দু’টিকে যখন দেখলাম, তখন মনে হল,— এদের মা নিশ্চয়ই খুব ভাল, আর কসেটও এদের সঙ্গে হেসে খেলে আপনার বোনের মত বেশ সুখে থাকৃবে —ক’ দিনই ত । তার পর আবার আমি এসে নিয়ে যাবে । কসেটকে আপনি রাখবেন ?” “তাই ত, আচ্ছা ভেবে দেখি।” *“আমি মাসে মাসে তার খরচ বলে ছ’ ফ্রাঙ্ক করে দেবো ।” এমন সময় বাটীর অভ্যস্তর হইতে পুরুষকণ্ঠে কে বলিয়া উঠিল— “সাত ফাঙ্কের কমে হবে না—আর. ছ’ মাসের টাকা আগাম চাই ।” প্রবীণ বলিল—“ছ’ মাসের হিসাবে তা হলে ত ৪২ ফ্রাঙ্ক হয় ।” নবীনা —“বেশ, তা দিচ্ছি।” পুনরায় নেপথ্য হইতে থেনেডিয়ার বলিল —“আর, প্রথম প্রথম বারতি খরচের জন্ত তা ছাড়া ১৫ ফ্রাঙ্ক বেশী চাই—” প্রবীণ। —৪২ আর ১৫,--সবশুদ্ধ তা হলে ৫৭ হয় । নবীনা –“তাও দেবো - আমার কাছে এখন ৮০ ফ্রাঙ্ক আছে ; তা থেকে ৫৭ গেলেও যা থাকবে তাতে এখন কিছুদিন আমার চলে যাবে। না হয় হঁটিাপথেই যাবো, তাতে খরচের ও কিছু সাশ্রয় হবে। তার পর, কাজ কৰ্ম্ম জুটলে, হাতে কিছু টাকা করে, ফিরে এসে আমার সোণাকে নিয়ে যাবো ।” নেপথ্য হইতে—“মেয়ের জামা কাপড় আছে ত ?” এইবার প্রবীণা মৃদুস্বরে নবীনাকে জানাইল—“উনি আমার স্বামী।" \ নবীনা –আমি তা বুঝেছিলাম। জামা দুর্ভাগ্যের কাহিনী Veవని কাপড় আছে বই কি, যথেষ্টই আছে ; ভাল ভাল রেশমী পোষাক,—সব একডজন করে আছে । আমার হাতের এ কাপেটের ব্যাগটা ওরই জিনিষপত্রে ভর । পুনরায় নেপথ্য হইতে —“সে গুলা সব রেখে যাবে ত ?” “নইলে কোথায় নিয়ে যাবে?—এত পোষাক থাকতে কি মেয়ে আমার স্তাংটো হয়ে থাকৃবে ?” এতক্ষণে থেনাডিয়ার বাহিরে আসিল । বলিল “তা হলে আর আমাদের আপত্তি নেই।” সেইভাবেই বন্দোবস্ত হইল। ফ্যানটাইন, রাত্রিটা সেই সরাইথানাতে থাকিয়া, প্রাতঃকালে, থেনেডিয়ারদের প্রাপ্য চুকাইয়া দিয়া, কস্তাকে সেথানে রাখিয়া রওনা হইল। খুব শীঘ্রই ফিরিয়া আসিয়া কস্তাকে আপনার কাছে লইয়া যাইবে, তাহার মনে তখন সেই আশা । তত্ৰাচ সহজভাবে কন্যার কাছে বিদায় লইলেও এক একবার সে দারুণ নিরাশাভারে লুটাইয়া পড়িতেছিল । - ফ্যানটাইন চলিয়া গেলে, থেনেডিয়ার তাহার স্ত্রীকে বলিল—“আঃ, বাচা গেল। সেই ১১ • ফ্রাঙ্কের দেনটি কাল শোধ দেবার দিন, গোট ৫০ ফাঙ্ক কম পড়ছিল—কি করব তাই আকাশ পাতাল ভাবছিলাম ; হয় ত কাল সকালে দোকানে ‘সিলই বা পড়ত! ভাগ্যি তুমি তোমার বাচ্ছাগুলোকে নিয়ে এমন ইদুর-কল পেতে ছিলে!” “হা,-- তবে অজাস্তিতে, এই যা !" বলিয়া প্রবীণা মৃদু হাস্ত করিল। কলে ইন্দুর ধরা পড়িয়ছিল –সে ইন্দুরশিশু কসেট । শিকার ক্ষুদ্র হউক, তাহা