পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆపిe অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্রসহ কমিটির মন্তব্য, সভাপতির মন্তব্য স্বাক্ষরে তদানীন্তন ডাইরেক্টর স্তার আলফ্রেড করাটু বাহাদুরের দরবারে প্রেরিত হইল । জেলার কর্তা চন্দ্রমোহন বাবুকে ডাকাইয়া বলিয়া দিলেন, “আপনি কলেজ পরিদর্শন জন্ত এই জেলায় কয়েক দিনের জন্ত অপেক্ষা করুন । সঙ্গে সঙ্গে অন্তান্ত বিদ্যালয়ের পরিদর্শনকাৰ্য্য চলিতে থাকুক।” সপ্তাহ অতীত চয় দেখিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট বাহাদুর তাহার তাগিদ দিলেন। নবম কি দশম দিবসে শিক্ষাবিভাগীয় কর্তুপক্ষের নির্দেশ আসিল । সে আদেশ বড়ই চমৎকার । ডাইরেক্টর বাহাদুর লিখিলেন “শিক্ষাবিভাগের ডাইরেক্টরই কেবল প্রথম শ্রেণীর কলেজ-পরিদর্শনের অধিকারী, তন্নিমস্থ কোন কৰ্ম্মচারী নিয়মানুসারে ঐরূপ পরিদর্শনের অধিকারী নহেন । এক্ষেত্রে কমিটির সভাপতি ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব ভ্রমবশতঃ ইন্সপেক্টরকে কলেজ পরিদর্শনে অনুরোধ করার কলেজের অধ্যক্ষ যদি শীলতা ও শিষ্টাচারের খাতিরে সভাপতির অনুরোধ রক্ষা করিতেন, ব৷ এখনও করেন, ভালই ; কিন্তু তাহার আপত্তি থাকিলে, নিয়ম ভঙ্গ করিয়া ইনস্পেক্টর দ্বারা কলেজ পরিদর্শনে তাহাকে বাধ্য করিবার কাহারও অধিকার নাই । অার এক কথা এই যে, শ্রীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল ষত দিন কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যক্ষ তা করিবেন, সে সময়ে কলেজ-কমিটি কলেঞ্জের শিক্ষাবিষয়ক আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করিলেই ভাল হয়।” । এই আদেশ আলিবামাত্র ম্যাজিষ্ট্রেট বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ,অগ্রহায়ণ, ১৩২০ বাহাদুর সভাপতির পদ ত্যাগ করিলেন, র্তাহার স্থলে জেলার জজ বাহাদুরকে সভাপতিপদে বরণ করা হইল । বোধ হয় সেক্ট ব্যবস্থা এ পর্য্যন্ত চলিয়া আসিতেছে । অস্থায়ী ইন্সপেক্টর চন্দ্রমোহন বাবুর আর কলেজ পরিদর্শন করা হইল না । মহামান্ত হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি স্যার আশুতোষ মুসোপা প্যায় মহাশয় দুই জন ইংরাজ জজের সঙ্গে মিলিত বিচার-আসনে উপবিষ্ট হইয়া ঢাকার ষড়যন্ত্রবিষয়ক মোকদ্দমার আপিল শুনিতে ও বিচার করিতে আরম্ভ করেন । আপিলের সময়ে রাজপক্ষ-সমর্থনের ভার ছিল কাউন্সেল গার্থ সাহেবের উপর । গার্থ সাহেব আপিলের উদ্বোধন-অনুষ্ঠান কালে প্রাথমিক বক্তৃতায় কয়েকটা অবান্তর কথার উথাপন করিবামাত্র স্তার আশুতোষ বলিয়াছিলেন “মিষ্টার গার্থ, আপনি যাহার নামে গুরুতর অভিযোগ আরোপ করিতেছেন, তিনি কি এই আসামী দলভুক্ত ?” উত্তরে গার্থ সাহেব বলিলেন "No, my lord.” স্তার আশুতোষ তৎক্ষণtং বলিলেন “তবে তাঙ্গার নাম পরিবার আপনার কি অধিকার আছে?" পুনরায় গার্থ সাহেব বলিলেন “আর, সি, দত্তের ভারতীয় ইতিহাস পাঠে এদেশের ছাত্রবৃন্দের মস্তিষ্ক বিগড়াইয়া যাইতেছে।” স্যার আশুতোষ প্রশ্নের আকারে জিজ্ঞাসা করিলেন মিষ্টার গার্থ কোন ইতিহাস ? যেখনি লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকাভুক্ত, সেই বইখানিকে লক্ষ্য করিয়া এরূপ বলিতে সাবধান হওয়া উচিত।” গার্থ সাহেব পুনরায় বলিলেন “শিবাজি দসু্যদলেয় নায়ক ছাড়া আর কিছুই ছিলেন না।” স্তার আশুতোষ