পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nম সংখ্যা ] এৰং সখ্যের পরে বসাইয়াছেন। কিন্তু জামাদের নিজ নিজ জীবনের বিবর্তনধারাতে এই সকল রস, এই ক্রমের অনুসরণ করিয়া ফুটিয়া উঠে না। আমরা সকলের প্রথমে, যত সামান্ত পরিমাণে হউক - ন কেন, দাস্যরসেরই আস্বাদন করিয়া থাকি। কারণ, আমাদের প্রথম আসক্তি পিতামাতার উপরে, কিম্বা পিতৃমাতৃস্থানীয় পরিচারক ও পরিচারিকার উপরেই জন্মিয় থাকে এবং এই আসক্তির মধ্যে দাস্যরতির প্রাণ যে দুইটী বভ—ঐশ্বৰ্য্যজ্ঞান ও আনুগত্য—সেই দুইটাই স্বল্পাধিক বিদ্যমান থাকে । আশ্রর-আশ্রিত ভাবট, অতি অলক্ষিতে হইলেও, শৈশবের পিতৃমাতৃভক্তির মধ্যে সৰ্ব্বদাই লুকাইয় থাকে। তার পরে, বয়োবৃদ্ধি সহকারে, নবযৌবনের প্রথম মলয়নিঃস্বনে যখন শরীয়মনের কুঞ্জে কুঞ্জে নূতন প্রাণতা ও নূতন উল্লাস স্পন্দিত হষ্টতে থাকে, এবং যখন আমরা, বাসস্তী বনস্থলীর দ্যায়, নিজেদেরে বিশ্বময় ছড়াইয় দিবার জন্ত লালায়িত হইয়া উঠি ; फर्थन हेझ झ्म्न ঘর করি বাহির, বাহির করি ঘর, পর করি আপন, আপন করি পর । আর এই যে পরকে জাপন করিবার আকাঙ্ক্ষ", ইহা হইতেই সখ্যয়তির জন্ম হয়। বাসস্তী বনস্থলী যেমন আপনি আপনার অভিনব উল্লাস ও কৰ্ম্মচেষ্টার ভাব নিজে বুঝে না, কেন যে তার শুষ্ক তরু মুঞ্জরিরা উঠে, নীরব আকাশ বিহুগের কল কণ্ঠে ও ভ্রমরগুঞ্জনে সঙ্গীত-মুখরিত হইরা উঠে, কেন যে কুঞ্জে কুঞ্জে ফুল ফুটে, চারিদিকে সৌরভ ছুটে, এ সকল কিছুই জানে না ; আমরাও পুর্বরাগ \ు శ్రీ অনেক সময় প্রকৃতি দেবীর এই অপূর্ব বসন্তোৎসবের বরণকিরণগন্ধে ও সঙ্গীতচ্ছনেই কেৱল মুগ্ধ হইয়া থাকি, কিন্তু তাছার নিগুঢ় মৰ্ম্ম যে কি, ইহার অনুসন্ধান করি না। সেইরূপ প্রথম-যৌবন-সঞ্চারে আমাদের শরীরমনে যে অভিনব ভাবের উদয় হয়, তাহার আনন্দ এবং উল্লাসটুকুই কেবল আমরা অমুভব ও প্রত্যক্ষ করি, কিন্তু তাহার ভিতরে যে নিগুঢ় কলাকৌশলট লুকাইয়া আছে, তাহ ধরিতে চাহিও না, পারিও না । ফলতঃ প্রকৃত মৰ্ম্ম কিন্তু দু’এরই এক। ঐ বাহিরের নৈসর্গিকী বাসন্তী লীলার যে অর্থ, জীবের শরীর মনের এই যৌবনলীলারও সেই অর্থ। দুই-ই এককে বহু করিবার, সঙ্কীর্ণকে বিস্তীর্ণ করিবার জন্ত প্রকৃতির অস্তুত কলাকৌশল মাত্র । ভূঙ্গের পারে জড়াইয়া, প্রজাপতির পালকে চড়াইয়া, উদ্ভিদের আপনার প্রাণ-কেশরগুলিকে दनप्रश्न ছড়াইবার জন্তই, রূপের হাট খুলিয়া, মধুগন্ধ বিলাইয়া, বাসস্তীলীলাতে নিযুক্ত হয়। আর আমরাও সখ্য ও মাধুর্য্য-রতিকে জাগাইয়া, তার সাহায্যে আপনাদিগকে বিশ্বমর ব্যাপ্ত করিবার আকাঙ্ক্ষাতেই, সজ্ঞানে এবং অজ্ঞানে, নবযৌবনের রূপরসের পসরা খুলিয়া বসি । যৌবনের স্বচনাতেই সখ্যত্নতির সঞ্চার হয়। তার পরে, যৌবনের প্রস্ফুট পূর্ণতায়, যাহা মাধুর্য্য-রসের ভিতর দিয়া পরিণতি লাভ করিবে,—সেই শ্রেষ্ঠবিদ্যারও এই সখারতিতেই “হাতে খড়ি” আরম্ভ হয়। এই জন্য মাধুর্য্যের অনেকগুলি ভাববিভব এবং কলাকৌশল সথ্যেতেও ফুটিয় উঠে। রূপ-লালসা এবং