পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৬ দিয়াই চণ্ডীদাসের শ্ৰীমতী শুiামনামেয় উপরে শুiমরূপের প্রতিষ্ঠা করিলেন । তারপর চিত্রপট-দর্শন। পটের ধৰ্ম্মই এই যে, তাছা কোনও বস্তুর সমগ্রকে কিছুতেই প্রকাশ করে না ও করিতে পারে না । যে রূপ পটে ফুটির উঠে, তার পশ্চাতে তার শতগুণ, সহস্ৰগুণ রূপ অন্মুট থাকিরা, কেবল যেন চারিদিকে উকি-বুকি মারিতে থাকে। প্রথমে যেমন নাম শুনিয়া সেই নামের উপরে শ্ৰীমতী আপনার অস্তরের সৌন্দর্য্যেয় ছবিটা গড়িয়া তুলিয়াছিলেন, সেইরূপ চিত্রপট দেখিয়াও সেই পটের অস্ফুট রূপের উপরে আপনার অস্তরের রূপের চিরন্তন আদর্শের রসান মাখাইরা দিলেন। ইহার পরে যখন র্তার সাক্ষাৎদর্শন লাভ হইল, তথন সে প্রত্যক্ষ রূপের সঙ্গে তার বহুদিনের ধ্যানের রূপট মিলিয়া মিশিয়া, ভিতরবাহির, চক্ষুষ ও আচাঙ্গুষ উভয়কে এক করিয়া দিল । বিদ্যাপতির ঐরাধিক শ্ৰীকৃষ্ণের রূপ বর্ণনা করিতে যাইয়া কি কহব রে সখি কামুক রূপ ! কো পতিয়ায়ব স্বপনস্বরূপ । ইহার চাইতে কোনও বড় কথা আর কহিতে পারিলেন না । তার পরে যাহা কিছু রূপবর্ণনা করিলেন, সকলই যেন ভাসা-ভাসা, কেবল কবিত্বের চাতুরী, উপমার ছলাকলা মাত্র। চণ্ডীদাসের শ্রীরাধিক পুৰ্ব্ব হইতেই গভীর ধানযোগে ও মানস-সম্ভোগের দ্বারা সে স্বপ্নকেই প্রত্যক্ষ ও সত্য করিয়া তুলিয়া ছিলেন। স্বতঃtং সাক্ষাৎদর্শনে তার স্বপ্নাবেশ হইল না ; বরং তন্ত্র টুটিয়া গিয়া সজাগ দৃষ্টিতে সে সত্যরূপ দেখিয়া, তিনি সজ্ঞানে বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩২০ তাছার পদে আপনায় তন্ত্ৰ-মন- প্রাণ সকলি সমৰ্পণ করিলেন। চণ্ডীদাসের শ্রীরাধিকার দৃষ্টি পরিষ্কার, তিনি শ্ৰীকৃষ্ণকে আর ছায়ার মতন দেখেন নাই ! শু্যামের বদনের ছটায় কিবা ছবি । কোটি মদন জন্ম জিনিয়া শুমের তনু উদইছে যেন শশী রবি । সই কিবা সে নরান জুড়ায় চেঞাঁ । শুtমের রূপ হেন মনে লয়, যদি লোক ভয় নয়, কোলে করি যেয়ে ধেঞ । ।

  • {弧歪ー

জলদ বরণ কামু দলিত অঞ্জন জন্ম खेनिम्न श्रब्रtछ् शश्वांभब्र । নয়ন চকোর মোর, পিতে করে উত্তরোল নিমিথে নিমিখ নাহি সয় । 泳 豪 豪 游 修 锋 झहेछौ cमाङ्न नग्नcनम्न दां* দেখিতে পরাণ হানে। পশিয়। মরমে, यूनि। ५ब्रनि পরাণ সহিত টানে । দর্শন ও শ্রবণ-রূপদৰ্শন এবং নামগুণশ্রবণ-ইহা হইতেই পুর্বরাগের জন্ম হয় । সথ্যের পুর্বরাগ প্রায় সৰ্ব্বদাই রূপদৰ্শনে জাগ্রত হয়। মাধুর্য্যের পুর্বরাগ দর্শন ও শ্রবণে —আর আমাদের দেশে বিশেষতঃ প্রিয়জনের নামগুণ শুনিয়াই জাগিতে আরম্ভ করে । কিন্তু এই পূৰ্ব্বরাগেরও একটা পুৰ্ব্বাবস্থা আছে। যৌবন ফুটিতেছে অথচ বাল্যও একেবারে চলিরা যায় নাই, এই বয়ঃসন্ধিকালেই সখের পূর্বাষ্ণুে সঞ্চার হয়। এই সময়ে বাল্য-বন্ধু ও বাল্যসহচরীগণই আমাদের