৮ম সংখ্যা ) কানক্কা ছাদে, কৰরী বন্ধে নবমল্লিকার মালে ॥ সই মরম কছিকু তোরে । আড় নয়নে ঈষৎ হাসিয়া আকুল করিল মোরে ॥ ফুলের গেড়য়া, লুফিয়া ধরয়ে, সঘনে দেখায়ে পাশ । উচ কুচ যুগ, বসন ঘুচায়ে মুচকি মুচকি হাস ॥ অন্যত্র শ্ৰীকৃষ্ণ শ্ৰীমতীর রূপ বর্ণনা করিয়া ৰলিতেছেন ঃ– শ্ৰীফল যুগল, জিনি কুচ যুগ পাতলা কাচলি তাহে । তাহার উপরে, মণিময় হার উপমা কহিব কাহে ॥ শ্ৰীকৃষ্ণমুখে শ্ৰীমতীর রূপ-বর্ণনার সকলের শেষ পদটা এই— কনক বরণ কিৰে দরপণ নিছনি দিয়ে যে তার । কপালে ললিত, চাদ শোভিত সিন্দুর অরুণ আর । সই, কিবা সে মধুর হাসি । হিয়ার ভিতর, পাজর কাটিয়া মরমে রহুল পশি ॥ গলার উপর, মণিমল্প হার গগন মণ্ডল হের । কুচযুগ গিরি, কনক গাগরী, উলটি পড়ল মেরু ॥ গুরু উরুতে, লম্বিত কেশ— ইত্যাদি । নায়কের পুর্বরাগের ৰণনায়, চণ্ডীদাস শ্ৰীকৃষ্ণের মুখে শ্রীরাধিকার ষে রূপেয় ৰণন o পূৰ্বরাগ ఆషాహి এখানে করিয়াছেন, প্রচলিত অর্থে তাছা কৈশোর রূপ হইতেই পারে না। একাদশ, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ কি পঞ্চদশ বর্ষ পৰ্য্যন্তও অঙ্গ-গঠনের এতটা বিকাশ প্রায় হয় না । গুরুনিতম্ব, পীনপয়োধর প্রভৃতি প্রস্ফুটযৌবনেরই লক্ষণ, বিকাশোন্মুখ যৌবনে ইহা পাওয়া ষায় না । অতএব চণ্ডীদাসের কৈশোর কাল কিছুতেই একদশ হইতে পঞ্চদশ বর্ষ পর্য্যস্ত নির্দেশ করা যার না। কদাচিৎ কোনও স্থলে চতুর্দশ বা পঞ্চদশবর্ষীয়া বালিকার মধ্যে এতটা অসাধারণ অঙ্গবিকাশ দেখা গেলেও, সচরাচর আমাদের গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ষোড়শ হইতে অষ্টাদশ এবং শীতপ্রধান স্কুরোপে অষ্টাদশ হইতে বিংশতি বর্ষ পৰ্য্যগুই চণ্ডীদাস কৈশোর-নামে যে প্রস্ফুট যৌবনের বর্ণনা করিয়াছেন, তাছার উপযুক্ত কাল ৰলিয়া নির্ণয় করিতে হয়। চণ্ডীদাসের কিশোরী অমৃদ্ভিল্লযৌৰনা বা সন্তোভিন্নধেীৰনা নহেন, কিন্তু প্রস্ফুট বা বিকশিতধেীবন । তাছার কিশোরাও সেই রূপ বালক নহেন, কিন্তু ৰুবক । ত্রীরাধিক শ্রীকৃষ্ণের যে রূপের বর্ণনা করিয়াছেন, তাঁহাতেই ইহার সম্পূর্ণ প্রমাণ-পরিচর পাওয়া যায় । সাক্ষাদর্শনের পরে শ্ৰীমতী সখী সম্বোধনে বলিতেছেন— সই এমন মুঙ্গর বর কান । হেরিয়৷ সেই মুরতি, সভা ছাড়ে নিজ পতি তেমুগিয়া লাজ ভয় মান ॥ এ বড় কারিকরে কুঁদিলে তাহারে প্রতি অঙ্গে মজনের শরে । যুবতী ধরম, ६थर्थी ड्रछजभ দমন করিৰার তরে ॥