পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য়সংখ্যা ] উপভোগ করতে পায় না। ধনীর মুনফার আকারে সে কলের অনেকটাই তাহদেরই করকবলিত হইয়া পড়ে ; জনেরা শুদ্ধ পারিশ্রমিক মাত্র পাইয়া, কায়ক্লেশে জীবনধারুণ করে। এ ব্যবস্থাও রদ হওয়া আবগুক। যেমন সকল কাৰ্য্যের মূলাধার যে জমি, তাহ কাহারো বিশেষ স্বত্বাধীন থাকিবে না, সেইরূপ এই সকল পণ্য উৎপাদন করিবার যন্ত্রতন্ত্রেও কাহারো বিশেষ স্বত্ব বা অধিকার থাকিবে না। এ সকলও রাষ্ট্রেরই অধীন হইয়া, সৰ্ব্ব সাধারণের কাজে আন চাই । সমাজের এক দল লোক থাটিয়া মরিবে, আর একদল অতি মুষ্টিমেয় লোক খাটিবেন না, অথচ সাধারণ লোকের শ্রমের অধিকাংশটাই আত্মসাৎ করিবেন, এ ব্যবস্থা স্তায়ানুমোদিত নহে, ইহারও পরিবর্তন অত্যাবস্তক । পণ্য উৎপাদনের উপায় সকলও (ইংরেজীতে #Elto instruments of production বলে ) জনসাধারণের যে রাষ্ট্রশক্তি তারই কর্তৃত্বাধীনে ও অধিকারে থাকিবে। উৎপন্ন পণ্যের মুনাফা কোনো ব্যক্তি বিশেবে বা সমবায় বিশেষে দাবী করিতে পারিবে না। যে পণ্য হইতে যেরূপ মুনাফা হইবে, তাহার কিয়দংশ রাষ্ট্রের সাধারণ কার্য্যে ব্যয়িত হইবে, আর বাকী সAটাই শ্রমজীবিগণের মধ্যে ভাগ করিয়া দিতে হইবে । কিন্তু কেবল জমি ব৷ কলক জাতেই তো আর পণ্য উৎপন্ন, হয় না। তার জন্য মানুষের শক্তি-সাধ্য ও বিদ্যাবুদ্ধিরও’তো একান্তই আবশ্বক। সুতরাং সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির শক্তি-সাধ্য ও বিদ্যাবুদ্ধি বাড়াইবার বিলাতে সাৰ্ব্বজনীন সাধারণশিক্ষা సిన জন্ত যাহা কিছু ব্যবস্থা করা আবগুক, রাষ্ট্রশক্তিকে তাহাও করিতে হইবে। যেমন জমির খাজান বলিয়া একটা কিছু কাহাকেও দিতে হইবে না, কলকারখানার মুনাফা বলিয়া কেহ এই সকল কলকারখানায় উৎপন্ন পণ্যের মূল্যের কোন একটা ভাগ নিজেরা লইতে পরিবে না, সেইরূপ জনগণের শক্তিসাধ্য ও বিদ্যাধুদ্ধির বিকাশের জন্ত যাহা কিছু ব্যবস্থা আৰপ্তক হয়, তাহার জন্যও কেহ কোন টাকা দাবি করিতে পারিবে না। সকলেই কিছু না দিয়া এই সকল বিধিব্যবস্থার সাহায্যে যথাসস্তব শিক্ষা-দীক্ষা লাভ করিতে পারিবে । সোসিয়ালিষ্ট সম্প্রদায়ের এই মত। বিলাতে বা অপর কোথাও সম্পূর্ণভাবে এ মত এখনো গৃহীত হয় নাই। কিন্তু ক্রমেই যে এ সকল সিদ্ধাস্ত যুরোপের রাষ্ট্রায় বিবর্তনে আত্মপ্রতিষ্ঠা করিতেছে ইহা অস্বীকার করা বায় না। যে সাৰ্ব্বজনীন সাধারণশিক্ষা বিলাত প্রভৃতি দেশে প্রবর্তিত হইয়াছে, তাহা এই সোসিয়ালিষ্ট নীতিরই উপরে প্রতিষ্ঠিত। এই নীতিরই ইংরাজি নাম ষ্টেট (nifolifiew (state socialism) এই ষ্টেট সোসিয়ালিজম যুরোপে প্রজাসত্বের সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে সৰ্ব্বত্রই প্রবল হইয়া উঠিতেছে। বিলাতে গত পচিশ বৎসরের মধ্যে প্রজাসাধারণের সুখসুবিধা-বৃদ্ধির কিম্বা শিক্ষা-দীক্ষা বিধানের জন্য যত কিছু বিধিব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ভার প্রায় সকল গুলিই এই রাষ্ট্রনীতির উপরে প্রতিষ্ঠিত। সেখানে প্রজাসাধারণুে