পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা এ নীতির প্রতিষ্ঠা সম্ভব হইলেও কদাপি কল্যাণকর হয় না, হইতেই পারে না। আমাদের নকলনবিশী রাষ্টনীতির পক্ষে এ সহজ কথাটা বোঝাও কঠিন হইয়া পড়িয়াছে। যতদিন না শাসনযন্ত্রের উপরে শাসিতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ষ তদিন না শাসনকৰ্ত্তাগণ শাসিতের মুখাপেক্ষী হইয়া সৰ্ব্বদা তাদের স্বত্বস্বার্থের মৰ্য্যাদা রক্ষা করিয়া চলিতে শিথিয়াছেন, ততদিন পর্য্যন্ত রাষ্ট্রশক্তির হস্তে প্রজার পারিবারিক বা বৈষয়িক বা সামাজিক কোনো কৰ্ত্তব্য ও অধিকার অর্পণ করিতে যাওয়া যে একান্তই মূর্খতা, ইংরেজ রাষ্ট্রনীতি ইহা চিরদিনই জানিয়াছে । আমাদের দেশে এখন জোরজবরদস্তির লেখাপড়া প্রবর্তিত করিলে পুলিশের অধিকার ও অত্যাচার কতটা যে বাড়িয়া যাইবে এ •কথা কি সংস্কারকের একটবারও ভাবিয়া দেখিয়াছেন। কারণ এ আইন জারি করিবার ভার হয় পুলিশের উপরে না থিয়সফি >o> হয় নুতন গ্ৰাম্য পঞ্চায়তের সভাপতির উপরেই অৰ্পিত হইবে । আর উভয় ক্ষেত্রেই জেলার রাজকৰ্ম্মচারী যিনি, তারই প্রভুত্ব আমাদের শিশুগণের শিক্ষাদীক্ষার উপরেও যাইয় পড়িবে। একদিকে র্যারা ঢাকায় একটা নূতন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইবে আর পূর্ববঙ্গের লোকশিক্ষার তত্ত্বাবধানের জন্য একজন বিশেষ কৰ্ম্ম$ারী নিযুক্ত হইবেন এই কথা শুনিয়া বুরোক্র্যাসীর প্রভাব বৃদ্ধি পাইবে বলিয়৷ একেবারে ক্ষেপিয়া উঠিয়াছেন, অন্যদিকে ,তারাই আবার জোরজবরদস্তির লেখা পড়ার জন্য এত ব্যাকুল হইয়া পড়িয়াছেন! আমাদের প্রচলিত রাষ্ট্রীয় আন্দোলনআলোচনার পশ্চাতে যে নীতি বলিয়া কোন একটা কিছু নাই, এ সকলে তাহাই প্রমাণ করিতেছে। কিন্তু নীতি-জ্ঞান না থাকিলেও যে বড় বড় রাষ্ট্রনীতিবিদূ হইতে পারা যায়, ইহা কেবল বৰ্ত্তষান ভারতবর্ষেই সম্ভব । ঐবিপিনচন্দ্র পাল । থিয়সফি ( G. De Lafont: Fāfī šES ) এক্ষণে কেবল নব-বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধে এবং যে ধিয়সফি শাক্যমুনির প্রচারিত মতবাদের একটা শাখা বলিয়া দাবী করেন, সেই থিয়যফি সম্বন্ধে আলোচনা করা বাকী আছে । •. আমি এ স্থলে, আধুনিক থিয়সফির মত ও বিশ্বাস কি, অথবা সেই সকল মত ও বিশ্বাসের সহিত বিজ্ঞানের ঐক্য হয় কি ন, তাহার আলোচনায় প্রবৃত্ত হইব না ; আমি শুধু আলোচনা করিব, বৌদ্ধধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত বলিয়া থিয়ুসফির যে দাবী সেই দাবীর প্রকৃত কোন ভিত্তি আছে কি না। যে দার্শনিক সম্প্রদায় হইতে এই নূতন