পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ বংসর সম্ভব হইলেও চিবদিন কদাপি সম্ভব হইবে না। সুতরাং এখন হইতেই অল্পে অল্পে ভারতের এই নবপ্রবুদ্ধ জাতীয় চৈতন্যের সঙ্গে ব্রিটিশ-প্রভূশক্তির সন্ধি ও সখ্য সাধন করিয়া, আত্মরক্ষা করা আবখ্যক হইয়াছে। ব্রিটেন যুরোপের শক্তিপুঞ্জের মধ্যে আজি যে শ্রেষ্ঠ আসন অধিকার কবিয়া আছে, ভারতের সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় সম্বন্ধ যদি কোনে কারণে ছিন্ন হইয়া যায়, কিছুতেষ্ট অব সে পদ ও সে মৰ্য্যাদা, সে প্রতীপ ও প্রভূত্ব থাকিবে না " ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্বন্ধ ছিন্ন হইলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাম্রাজ্যত্ব একেবারেই লোপ পাইবে । যে কোনো প্রকারে হউক এই সম্বন্ধটা রক্ষা কর, গ্রিটেনের স্বার্থেব দিক্ দিয়া দেখিলেও, ব্রিটিশরাষ্ট্রনীতির মূললক্ষ্য হওয়া বিধেয়। আর এই মূললক্ষ্যের প্রতি দৃষ্টি রাথিয়াই ভারতের ব্রিটিশ প্রভূশক্তির পক্ষে দেশের নবপ্রবুদ্ধ জাতীয় চৈতন্যের সঙ্গে যথাসাধ্য লখ্য স্থাপন করা অবশ্যক হইয়াছে। লাট হার্ডিঞ্জেব শাসন-নীতির ইহাই মূল-স্বত্র। §- Rr 岑 আর যে কারণে আমাদের এই নবপ্রবুদ্ধ জাতীয়-চৈতন্তের সঙ্গে স্থাসাধ্য সখ্য রক্ষা করিয়া চল ব্রিটিশ প্রভূশক্তির আত্মপ্রয়োজনেই আজ কৰ্ত্তব্য হইয়া উঠিয়াছে, ঠিক সেই কারণেই ভারতের কল্যাণ-কামনা র্যাহার করেন, তাহাদিগের পক্ষে ও আত্মপ্রয়োজনেই ব্রিটেনের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন না হইয়া, আপনাদের জাতীয় জীবনের যথাসঙ্গত সফলতা অন্বেষণ করাই বিধেয় । সভ্যজগতের বর্তমান অবস্থায় ভারতের সঙ্গে সৰ্ব্ববিধ রাষ্ট্রীয় সম্বন্ধ নষ্ট হইয়া গেলে, ব্রিটেনের যেমন আপনার পদ ও মর্য্যাদা রক্ষা করা অসম্ভব হইবে, সেইরূপ এই সম্বন্ধ একেবারে ভাঙ্গিয় দিলে ভারতের পক্ষে আত্মরক্ষা ও আত্মপ্রতিষ্ঠা করা সাধ্যায়ত্ত হইবে না। আর কেন যে আমরা আত্মরক্ষা ও আত্মপ্রতিষ্ঠা বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, \లి)న করিতে পারিব না, তার কারণ প্রধানত: দুইট,—এক চীনের পুনরুখান, অপর প্যান্‌ ইস্লামিজমের অভু্যদয় । এ জগন্তে কেৰল এক চীনই ভারতের অপরিমে প্রকৃতিপুঞ্জকে শুদ্ধ কায়িকশক্তির দ্বার অভিভূত করিয়া রাখিতে পার্থ। আর ভারতের পাঁচকোট মুসলমান প্যান্‌ ইস্লামের মোহিনী মায়ায় মুগ্ধ হইয়া যদি আশিয়ার ও আফ্রিকার সৈকতবালুকালম বিরাট মুসলমান সমাজের সঙ্গে একাঙ্গ হইয়া উঠিতে পারে, তবে ভারতের স্বরাজ-প্রতিষ্টারই আশ চিরদিনের জন্য আকাশকুমুমবং শুন্তে মিলাইয়া যাইবে । চীনের নবজাগরণ ৪ প্যান্‌ ইস্লামের অভু্যদয়, এই দুইটী যেমন ব্রিটেনের তেমনি ভারতের ভবিষ্ণুংকে ভীতিগ্রস্ত করিয়া তুলিয়াছে। ভারতের ও ব্রিটেনের পরস্পরের রাষ্ট্রীয় স্বত্বস্বার্থের মধ্যে একটা উচ্চতর মিলন ও সামঞ্জস্য সাধিত না হইলে, এই দুই শক্তির হস্তে উভয়েরই ভবিষ্যং আশাভরসা একবারে নির্শ্বল হইয়া যাইতে পারে। লাট হার্ডিঞ্জ এটা দেখিয়ছেন ৪ বুঝিয়াছেন। আর এই দূরদৃষ্টির উপরেই র্তার ভারত-শাসন-নীতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তিনি স্বদেশের ও স্বজাতির অকল্যাণ করি! আমাদের ভাল করিবার চেষ্টা করিতেছেন, ইহ সত্য নহে। তিনি আমাদের অকল্যাণ করি স্বদেশের ও স্বজাতির স্বার্থাম্বেষণ করিতেছেন, ইহাও সত্য নহে। সত্য কথাটা এই ংে তিনি এমন এক ভূমিতে যাইয়া দাড়াইয়াছেন যেখানে ব্রিটেনের কল্যাণ-কামনাতেই তাহরে ভারতের আত্মচৈতন্তের সফলতালাভের প। প্রমুক্ত করির দিতে হইতেছে, আর ভারতে কল্যাণকল্পেই এদেশে ব্রিটিশের স্বত্বস্বার্থকে? যথাসঙ্গতভাবে রক্ষা করা আবশ্যক হইয়াছে। আর এই সম্যকদৃষ্টির উপরে তার ভারতশাসন নীতি,প্রতিষ্ঠিত বলিয়াই, ইহাকে আমাদের সৰ্ব্বতোভাবেই আলিঙ্গন করা কৰ্ত্তব্য। سعيك في صددي