পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>öbo এসেছিল, আনন্দ স্রোতে নূতন হয়ে আমার বুকে বিকশি’ ! সদানন্দ, চিরকুমার আয়ার প্রকৃতির ক্রোড়ে আত্মদর্শনের সুন্দর কথা । সদানন্দ থোকার বিশেষ গোটাকতক লক্ষণ আছে তাহাতে তাহার জন্মরহস্য বুঝা যায়। আমর, বদ্ধ সংসারী, না পাই ঘারে, চাহিয়৷ তারে আমার কাটে বেলা’ কিন্তু পোক, ‘যা পা ও চারিদিকে তাহাই ধীর তুলিছ গড়ি মনের সুপটিকে এইত গেল নিলিপ্তভাব। কিন্তু থোক নির্লিপ্ত হষ্টয় অন্তঃপুরে থাকে কি করিয়া ? · 'থোক থাকে জগং সংসারের অন্তঃপুরে চরাচরের সকলকৰ্ম্ম করে হেল মা যে আসেন খোকার সঙ্গে করতে পেল ! থোকার তরে গল্প হবে বর্ষ। শরং, পেলার গৃহ হয়ে উঠে বিশ্বজগং ! কিন্তু আমরা থাকি জগং পিতার বিদ্যালয়ে’ । আমাদিগের নিকট সূর্যাচন্দ্র জোতিষশাস্ত্রে মত চলিতেছে। বিশ্ব নীরব । নাগ কন্যার কথা গল্প মাত্র । আমাদিগের নিকট বিশ্বগুরু মহাশয় কঠিন হষ্টয় থাকেন। বদ্ধজীবের জ্ঞান হইতে বহুদিন লাগে। কিন্তু এই যে মায়ার আগার জগত, মুক্ত থোকা তাহা জন্মিয়াই প্রতিপন্ন করিতে চাহে। এই যে নশ্বর পরিবর্তনশালী ক্ষণিক সুখ দুঃখের বিষয়ু-পুত্তলিক, পোকার নিকট তাহার তুচ্ছ। সে যাহা দেখে তাহা ভাঙ্গিয় ফেলে । খোকার সাধ যে বড় হইলে সে খেয়াঘাটের মাঝি হইবে । दत्रघ्नं नि [ ১২শ বৰ্ম, আষাঢ়, ১৩১৯ ‘আমি কেবল যাব একটবর সাত সমুদ্র তেরোনদী পার’ কবির পেয়াঘাটের দিকে খুব টান। ভবনদী, ও সোনার তরী লইয়া কবি-মাঝি অনেক ছবি অকিয়াছেন। সে কথা পরে বলিব । আপাততঃ তাতার কাব্যপটের দুরন্ত থোকার ভাবভঙ্গী দেখিয়া আমাদিগকে বিস্মিত হইতে zĘ I Wifaq. Fitchez Roof, he transce. nds all time and space, সরলভাবে ঘরওয় কথায় কবি সুন্দর ভাবে চিত্রিত করিয়াছেন – দাদ হেসে কেন বল্পে আমায় “পোক তোর মতন দেখি নেইক বোকা! চাদ যে থাকে অনেক দূরে কেমন করে ছুই ?” আমি বলি দাদা তুমি জানন কিছুই ! ম। আমাদের হাসে যখন ঐ জানালার ফাকে তখন তুমি বল্বে কি, ম৷ অনেক দূরে থাকে?" . গোক ইহা অপেক্ষা ও একটি গুরুতর প্রমাণ দিতেছে। চাদ যে নিকটে আসিলে মস্ত বড় দেপাইবে, সেটা কোন কাজের কথা নহে ‘ম। আমাদের চুমে পেতে মাথা করে নীচু তখন কি মার মুখটি দেখায় মস্ত বড় কিছু ? এই যে ন্যায়রত্ব খোক, তার হৃদয় স্নেহে ভর। বৃক্ষ, পুষ্প, সকলেই তাহার নিকট পাঠশালার ছাত্র। তাদের পাঠশালা মাটর নীচে। খেলিতে চাহিলে গুরুমহাশয়,তাহা দিগকে দাড় করিয়া রাখে। তাদেরও ম আছে। যারা মেঘের মধ্যে থাকে তারাও থোকাকে ডাকে কিন্তু মাতৃবংসল থোক। তাহাদিগের সঠিত যাইতে রাজি নয়। ঐস্বরেন্দ্রনাথ মজুমদার।