পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծԳեր আপনাদিগের অদ্যকার এই জাতীয় যজ্ঞের অনুষ্ঠানে, জাতীয় সাহিত্য-গঠনের আরম্ভে একজন স্থিরবুদ্ধি, ধীরস্বভাব, গম্ভীর চিন্তাশীল এবং লব্ধ-সিদ্ধি সাহিত্য-সাধককে সভাপতির আসনে বসাইতে পারিলে ভাল হইত। কেবল বৃদ্ধ হইলেই কেহ এ আসনের যোগ্য হয় না। আমি জানি, জ্ঞানে, গম্ভীর্ধ্যে, উৎসাহে এবং বাগ্মিতায় আম। অপেক্ষ। যোগ্যতর অনেক মহাত্মাই শ্ৰীহট্টে বর্তমান আছেন। এই আসনে তাহাঁদের কাহাকেও অদ্য বসিবার সুযোগ দিলে তাহাদিগের জ্ঞানগর্ভ উপদেশ এবং বিজ্ঞতাপূর্ণ পরামর্শ শুনিয়া এই আরম্ভের শুভ স্বচনী এমন ভাবে করিতে পারিতেন, যাহাতে আপনাদের মহৎ উদ্বেগু কালক্রমে সুসম্পন্ন হইতে পারিত, প্রণালী বা আদর্শের বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে ভবিষ্যতে কখনও সন্দেহ মাত্র উপস্থিত হইবার সম্ভাবনা থাকিত না । যাহা হউক যখন এই অযোগ্যকেই আপনার যোগ্য বলিয়া মনে করিয়াছেন, তখন ইহাকেই পুরোবর্তী করিয়া আপনাদের আরব্ধ মাতৃযজ্ঞ সম্পাদন করিয়া লইতে হইবে। সম্রাট এবং সম্রাট-প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ আমাদের মহামান্ত সম্রাট রাজ্যলাভ করিয়াই এবার ভারতে পদার্পণ করিয়া প্রজাবাৎসলোর নূতন নিদর্শন প্রদর্শন করিয়াছেন, এবং দিল্লীর সংহাসনে উপবিষ্ট হইয়া অদ্যান্য বর-স্যকে প্র সঙ্গে বঙ্গ ভাষাভাষী প্রজাদিগকে এক শাসকের অধ’ল করিয়া রাখিবেন বলিয়া আশ্বাস দিয়াছেন । তাহার ভারতে আগমন এবং আমাদিগকে এই স্বভাবদত্ত অত্যুচ্চ অধিকার প্রদানের গুপ্ত আমরা সকলেই দণ্ডায়মান হুহয় তাহাকে এবং তাহার দয়াবতী সহ বঙ্গদর্শন ১২শ বর্ষ, আষাঢ়, ১৩১৯ ধৰ্ম্মিণীকে সৰ্ব্বাস্তুকরণে, ধন্যবাদ প্রদান করি, এবং তাছাদের স্বাস্থাযুক্ত শান্তিময় স্বণীর্ঘ জীবনের জন্ত এবং ভারতের প্রতি তাহাদের সপ্তাবের স্থায়িত্বের জন্ত জগজ্জননীর নিকট একান্তচিত্তে প্রার্থনা করি। তাহার যে মহামুভব ভারত-রাজপ্রতিনিধি এবং ভারতসচিবের স্বমন্ত্রণায় এই অভাবনীয় মচুগ্রহে সম্রাট্র ভারতকে কৃতার্থ ও পরিতপিত করিয়াছেন,সেই মহাতুভব ভারতবন্ধুদিগকেও আমাদিগের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রদান করি । প্রান্তবাসী বাঙ্গালী আমাদের সম্মিলনের উদ্বেগু সাহিত্যের চর্চা ; রাজনীতির আলোচনার সঙ্গে আমাদের আদ্যকার সভার কোন সম্পর্ক নাই । কিন্তু প্রজাৰু ধৰ্ম্ম, সাহিত্য,শিক্ষা, সম্মিলন, ব্যবসায়, বাণিজ্য, শান্তি এবং উন্নতি, এ সমস্তই রাজার অখিত। রাজদৃষ্টি এবং রাজামুগ্রহ ব্যতীত এ সকলের কিছুই নিরাপদে তিষ্ঠিতে ৭ সার্থকতা লাভ করিতে পারে না । সুতরাং প্রয়োজন হইলে ভাষা এবং সাহিত্য-চৰ্চার সন্মিলনকেও রাজামুগ্রহের জন্য ভিক্ষার্থী হইতে হয় । বিগত ১৯শে চৈত্র (১লা এপ্রিল ) হইতে । প্রাস্তবাসী বাঙ্গালীর বড়ই দুঃখের দিন উপস্থিত হইয়াছে। দুর্ভাগ্য যখন উপস্থিত হয় তখন সৌভাগ্যও দুর্ভাগেই পরিণত হয়-“মাতৃ জভঘা হি বৎসস্ত স্তম্ভীভবতি বন্ধনে। যে ব্যবস্থা ভারতের জনসাধারণকে আনন্দিত করিয়ছে, যে ব্যবস্থা ১৯শে চৈত্রে সম্মিলিত বঙ্গের ঘরে ঘরে হাস্যময়ী দীপমালা প্রজ্জলিত করিয়া কণ্ঠে কণ্ঠে সম্রাটের জয়ধ্বনি বিঘোষিত করিয়াছে, দুর্ভাগ্যবশতঃ সেই ব্যবস্থাই সেই