পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] এবং ভাবের ಇಳ್ದ সম্বন্ধে দেশের জনসাধারণের উপকারের জন্য যাহাতে উংকৃষ্ট গ্রন্থ নিৰ্ব্বাচিত হইতে পারে, আপনার তাহার ব্যবস্থা করিবেন। সাহিত্য-প্রচার প্রচারের একটা আকাঙ্ক্ষা মানবহৃদয়ে বোধ হয় চিরদিনই বৰ্ত্তমান আছে । অবশ্য স্থানকাল বিবেচনায় প্রচারের প্রণালীতে পার্থক্য লক্ষিত হইতে পারে, কিন্তু মূল বিষয়ে কোন পার্থক্য আছে বলিয়া বোধ হয় না। প্রচার্য্য বিষয়ের মধ্যে ধৰ্ম্মই শ্রেষ্ঠ আসন অধিকার করিয়া রহিয়াছে, তাহার পরেই রাজনীতি । ধৰ্ম্ম এবং রাজনীতিপ্রচারের জন্য কত লোক খাটিতেছেন, কত অর্থ ব্যয় হইতেছে, তাহার ইয়ত্ত করা দুঃসাধ্য। এই প্রচারকার্য্য দুই প্রণালীতে সিদ্ধ হইয়া থাকে ; প্রথম বক্তৃতার দ্বার, এবং দ্বিতীয় সাহিত্য দ্বারা ৮ জগতে যত গ্রন্থাগার আছে, তাহ ইহঁতে যদি ধৰ্ম্ম এবং রাজনীতি-বিষয়ক গ্রন্থগুলি পৃথক করিয়া ফেলি, তাহ হইলে মূল্যবান গ্রন্থ অল্পই অবশিষ্ট থাকিবে । যিনি যে বিস্বয় উপলব্ধি করেন, যাহার যাহ সমাজের মঙ্গলকর . বলিয়া ধারণা হয়, তিনি তাঙ্গাই প্রচার করিতে ব্যগ্র হন, তবে কৃতকাৰ্য্যতা স্বতন্ত্র কথা । জ্ঞানপ্রচারের আকাজক্ষা মানবহৃদয়ে নিতান্তই স্বাভাবিক ; তাহার উপরে এ বিষয়ে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের নিদেশ , থাকাতে মণি-কাঞ্চনের যোগ ইয়াছে। ধৰ্ম্মশাস্ত্র বলিয়াছেন, সংসারে যে ব্যক্তি নিজে জ্ঞান লাভ করিয়া পরকে তাহা দান না করে, জ্ঞানরূপী ভগবান তাহাকে দয়া করেন না । ষাহা হৃদয়ের স্বাভাবিক পূহ, তাহ ধৰ্ম্মশাস্ত্রের অনুমোদিত হইলে সভাপতির অভিভাষণ Ꮌb←Ꮔ তৎসম্পাদন বড়ই মধুর হইয় উঠে। জ্ঞানপ্রচারের এই মাধুৰ্য্য পূজ্যপাদ মহর্ষিগণ পূ ত্রায় উপভোগ করিয়ছিলেন, তাহদের উচ্ছিষ্টভোজী ক্ষুদ্র আমরাও সেই স্বাভাবিক পিপাসার তাড়নায় তাহদেরই উপদেশরূপ উপাদেয় প্রসাদ মানবজাতির মধ্যে যথাশক্তি বিতরণ করিয়া আপনাদিকে তীর্থ মনে করি। কিন্তু এ বিষয়েও এই ৷ ব্যবস্থা, একটা উদ্যোগ, একটা প্রণালী থাকা নিতান্ত প্রয়োজন। একা এই ব্যক্তিও কাৰ্য্য করে, আবার বহুলোক সমবেত হইয়াও কাৰ্য্য করে ; কিন্তু এই কায্যের ন এবং পরিমাণে তারতম্য কত, বুদ্ধিমান ব্যক্তিমত্রেই তাহা বুঝিতে পারেন। বর্তমান যুগে সাধারণের জন্য একাকী থাটিবার প্রথা একরূপ রচিত হইয়া যাইতেছে, অতি ক্ষুদ্র হইতে অতি মহৎ পর্য্যন্ত সকল কর্য্যেই এক পরামশে, এক উদ্দেণ্ঠে এবং এক যোগে বহুলোকের সমবেতভাবে খাটিবার প্রথ৷ সভ্য জগতের সৰ্ব্বত্র অবলম্বিত হইতেছে । সাধারণভাবে সৰ্ব্বত্র, এবং বিশেষভাবে বর্তমান সময়ে এই উপত্যকায়, বাঙ্গালা-সাহিত্যালোচনার কতদূর প্রয়োজন হইয়া উঠিয়ছে, তাহা যদি আপনার চিন্তা করিয়া থাকেন, তাঙ্গ হইলে এই উপত্যকায় উংকৃষ্ট আদর্শ সাহিত্যের প্রচারের যে কতদূর আবখ্যকত, তাহ। আপনার সহজেই উপলব্ধি করিলেন। কোন কোন গ্রন্থ উৎকৃষ্ট, কোন গ্ৰন্থ কোন শ্রেণীর লোকের বিশেষ উপকারী, তাহ সাধারণকে কেবল বলিয়া দিলেই আপনাদের কৰ্ত্তব্যের পরিসমাপ্তি হইবে না, কিন্তু যাহার যে গ্রন্থের প্রয়োজন, সেই গ্রন্থ লইয় তাহার দ্বারে উপযাচকের